বেহালা নতুন দলের এবারের থিম ‘ আশ্রয় ‘ । কর্মকর্তা সন্দীপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান , ” এবছর ৫৭ বছরের পুজো । থিমশিল্পী অয়ন সাহা । চারদিকের অশান্তি , হানাহানি , যুদ্ধ – বিগ্রহের নিশ্চিত আশ্রয় হচ্ছে মায়ের আঁচল । শৈল্পিক মাটির ঠাকুর হচ্ছে । মণ্ডপসজ্জায় কংক্রিটের টুকরো , কয়লা , কাচ ব্যবহার করা হয়েছে । ‘ শিল্পী অয়ন সাহা জানান , ‘ করোনা অতিমারি আর যুদ্ধর পরের টুকরো হয়ে যাওয়া জীবনকে একসঙ্গে করছি উৎসবের মাধ্যমে । ব্রাত্য ফেলে দেওয়া রাবিশ দিয়ে মণ্ডপ গড়ছি । আত্মপরিচয়কে ফের আবিষ্কার করা বোঝাতে দর্পণের ব্যবহার করছি । বাখারি আর কাপড়ের ব্যবহার করছি । মা দুটো আঁচল ধরে আশ্রয়ের খোঁজ দিচ্ছেন । খোলা মণ্ডপ হচ্ছে । প্রতিমার সাজসজ্জা ও গয়নায় লোহা , টালি আর ইটের ব্যবহার করা হচ্ছে । ‘ শিবমন্দির সর্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতির ৮৬ তম বছরের থিম বিশ্বাস ‘ ।
কর্মকর্তা পার্থ ঘোষ জানান , আমাদের ভাবনা , ‘ তাঁর কৃপাতে বিনাশ হবে সমাজের অসুর । বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর । দেবদূতের নিবেদনে সমর্পণের সুর । বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর । প্রতিমাশিল্পী দীপেন মণ্ডল । আলো প্রেমেন্দুবিকাশ চাকী । আলো সহযোগী সুশান্ত হালদার । গ্রন্থনা দেবদূত ঘোষঠাকুর আর সৃজনে সৌরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় । ৮১ তম বছরে সিংহী পার্কের এবারের ভাবনা ‘ নারায়ণে নারায়ণী ’ । কর্মকর্তা অভিজিৎ মজুমদার জানান , ‘ এবছর কার্টুনিস্ট নারায়ণ দেবনাথকে শ্রদ্ধা জানিয়ে থিম করেছি নারায়ণে নারায়ণী । নারায়ণ দেবনাথের অসাধারণ সব কার্টুন চরিত্র হাঁদা ভোঁদা , বাঁটুল দ্য গ্রেট , নন্টে – ফন্টে দিয়ে মণ্ডপসজ্জা হচ্ছে । চন্দননগরের লাইটের মাধ্যমে কার্টুন চরিত্র তুলে ধরা হবে । সাবেকি একচালা প্রতিমা গড়ছেন প্রদীপরুদ্র পাল । মণ্ডপ পরিকল্পনা মিঠুন দত্তের । কাঁকুরগাছি মিতালি সংঘের ৮৬ তম বছরের থিম ‘ দুর্গোৎসব ‘ । কর্মকর্তা নীলকমল পাল জানান , ‘ কাঠামো পুজো থেকে বিসর্জন পর্যন্ত দুর্গাপুজোর প্রতিটি আচার অনুষ্ঠান পটচিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে । মণ্ডপের ঢোকার মুখে থাকবে কাঠের বাক্সের তৈরি ২ টো তোরণ , তার মধ্যে খড়ের তৈরি ১ টা দেবীমূর্তি ।
শিল্পী সন্দীপ মুখোপাধ্যায় দুর্গাপুজোর আভিজাত্য ও জৌলুসের বার্তা পৌঁছে দিতে প্রচুর শঙ্খ ও ঘণ্টার ব্যবহার করছেন । সনাতনী ডাকেরসাজের প্রতিমা । বেলেঘাটা ৩৩ পল্লির ২২ বছরের নিবেদন ‘ চুপকথা ’ । কর্মকর্তা পরিমল দে কাব্য করে বলেন , দেখুন দেখুন সবই দেখুন / চোখ দুখানি খুলে । বললে কথা বিপদভারি চড়িয়ে দেবে শূলে । অনেক কথা যায় না শোনা ফিসফিসিয়ে বলা / যদি তুমি চেঁচিয়ে ওঠো ধরবে টিপে গলা । যেই না তুমি রোলার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিলে সব / আমরা সে শব টানিয়ে দিয়ে সাজাবো উৎসব । / মুখে কোনো রা করি না / বুকে রাখি তেজ । / চুপের ওজন বড্ড বেশি / নাড়িও না লেজ । / খেলতে পারি খেলাতে পারি উঁচু থেকে নীচু , মুখে এবার আঙুল রেখে বলব না আর কিছু / বাকিরা সব বলুক কথা আমরা এবার চুপ । / কুলুপ এঁটে দেখতে এসো চুপকথাদের রূপ । হাজরা পার্ক দুর্গোৎসবের ৮০ তম বছরের থিম ‘ তাণ্ডব ’ । কর্মকর্তা সায়নদেব চট্টোপাধ্যায় জানান , সমুদ্রের ঢেউ যেমন প্রতিনিয়ত ধাক্কা খায় বালির চরে তেমনই মানুষের জীবনও নিয়ত ভাঙাগড়ার পাকেচক্রে আটকে রয়েছে । হিন্দুশাস্ত্রে বর্ণিত তাণ্ডব এমনই এক বৈজ্ঞানিক সত্য , মহাবিশ্বের নিরন্তর প্রক্রিয়া যা অনবরত ঘটে চলেছে দৃষ্টির অগোচরে আর আমরা তা জানছি ঐশ্বরিক প্রেক্ষিতে । হাজরা পার্ক দুর্গোৎসবের থিমশিল্পী কৃশানু পাল , আলোকশিল্পী আশিস সাহা , আবহ আশু চক্রবর্তী । রাজডাঙা নব উদয় সংঘ এবার দূষণরোধের বার্তা দিচ্ছে ‘ অশনি সংকেত ‘ থিমের মাধ্যমে । শিল্পী মলয় শুভময় ।
কর্মকর্তা সুশান্তকুমার ঘোষ জানান , ‘ প্রত্যেক বছর সমুদ্রে বিশাল পরিমাণে টন টন প্লাস্টিক জমা হচ্ছে । এটা সারা বিশ্বের সামনে বিশাল এক সমস্যা । প্রায় ৮০০ প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণী ও জলজ উদ্ভিদ ধ্বংস হয়ে গেছে । মূলত প্লাস্টিক বন্ধ করার বার্তা দিচ্ছি । চট্ট , বাঁশ , বাখারি , হোগলার মতো ইকো ফ্রেন্ডলি জিনিস দিয়ে মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে । মাটির সাবেকি প্রতিমা , চালচিত্র ও সাজসজ্জা , অস্ত্র সব পাটের হচ্ছে । ‘ বড়িশা ক্লাবের এবারের নিবেদন সাঁঝবাতি ’ । কর্মকর্তা অনিমেষ চক্রবর্তীর কথায় , ‘ অমঙ্গলের কালো মেঘ আজ সারা বিশ্বকে গ্রাস করেছে । অতিমারির বিপন্নতার মাঝেই বেজে উঠেছে যুদ্ধের দামামা । চলছে প্রাণহানি ও সম্পদের বিনাশ । লোভ , হিংসা , মিথ্যা রেষারেষিতে জড়িয়ে মানুষ আজ বিবেকহীন । তাই এই চরম দুর্গতি থেকে মুক্তি পেতে আজ আমরা দেবী দুর্গার শরণাপন্ন । সংসারে সবার মঙ্গল কামনায় মা যেমন সন্ধেয় সাঁঝবাতি জ্বালিয়ে গৃহদেবতার কাছে প্রার্থনা জানান তেমনই হৃদয়ের পূর্ণ আকুতি দিয়ে মায়ের কাছে আমাদের প্রার্থনা পাপমুক্ত পৃথিবী । পুরো পরিকল্পনা ও সৃজনে শিল্পী রিন্টু দাস । ” ৭৮ তম বছরে খিদিরপুর ২৫ পল্লি ক্লাবের পুজোর এবারের ভাবনা নিরন্তর ‘ । কর্মকর্তা কালী সাহা জানান , ‘ মানুষের জীবন এক বয়ে যাওয়া নদীর মতো । সময়ের হাত ধরে জীবন নদীর দু’পাড়ে স্মৃতি ও অভিজ্ঞতার পলি জমা হতে থাকে । এরমধ্যে দিয়েই বয়ে চলে জীবননদী ।
চূড়ান্ত গন্তব্যে পৌঁছনোই লক্ষ্য আমাদের প্রত্যেকের । এই যাত্রাপথে আমরা নিরন্তর খুঁজে চলেছি সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বরকে । আমরা দেখতে পাই জড় ও আধ্যাত্মিক জগতের মধ্যে বারবার প্রাণশক্তি আসে আবার সময়ের সঙ্গে ফিরে যায় । এই নিরন্তর যাত্রাকে মণ্ডপে তুলে ধরেছেন দীপ দাস ও ঈশিকা চন্দ্র । প্রতিমাশিল্পী সৈকত বসু । ‘ . ‘ খিদিরপুর পল্লি শারদীয়া’র এবারের ভাবনা ‘ ব্ল্যাকহোল ‘ । কর্মকর্তা সুদীপ রায় জানান , ব্রহ্মাণ্ডের মাঝে অপার বিস্ময় হল কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাকহোল। রহস্যময় কৃষ্ণগহ্বরে লুকিয়ে আছে সৃষ্টির আদি রহস্য। সবকিছুকে মুহূর্তের মধ্যে গ্রাস করে নেয় সেই কৃষ্ণগহ্বরের মধ্যে বিরাজকরা আদিশক্তি মহামায়া । আমাদের জীবনেও নৈরাশ্যের অন্ধকার কখনোসখনো চেতনাকে গ্রাস করতে চায় । অথচ আত্মশক্তির আলোয় সেই আঁধার দূর করা সম্ভব । আমাদের শিল্পী বিশ্বনাথ দে । মেকানিজম বিশেষত যন্ত্রপাতির ব্যবহারের ওপর কাজ হচ্ছে । অফ হোয়াইট রঙের প্রতিমা । ৭৮ বছরে বেহালা ক্লাব সর্বজনীন দুর্গোৎসবের নিবেদন ‘ আবুলিশ ‘ । সৃজনে অদিতি , প্রতিমাশিল্পী দীপেন মণ্ডল ও অদিতি , আবহ অর্পণ ঠাকুর চক্রবর্তী । কর্মকর্তা সায়ন্তন ভট্টাচার্য জানান , ‘ আমরা আমাদের ছোটোবেলায় বাড়ির , বয়োজ্যেষ্ঠদের মিঠেকড়া শাসন এড়িয়ে থেকে ফিরেই মাঠে খেলতে চলে যেতাম । প্রতিটি বিকেল উঠত কচিকাঁচাদের কলরবে ।
কিন্তু আজকের শিশুদের শৈশব বড্ড বেশি যান্ত্রিক , নিয়মের বেড়াজালে বন্দি । ওরা বাঁধা পড়েছে মা – বাবার ইচ্ছেপূরণের গণ্ডিতে । অর্ধচন্দ্রাকার মণ্ডপ হচ্ছে । ঝাড়গ্রাম থেকে আনা বিশেষ ধরনের ঘাস দিয়ে মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে । মণ্ডপের ভেতরে শিশুদের নানান মডেল থাকবে । শিশুরা যেমন বাবা মায়ের ইচ্ছার বোঝা টেনে চলেছে তা ফুটিয়ে তোলার জন্য মণ্ডপের বাইরে ১ টা ভ্যান থাকবে । মা দুর্গা বসে থাকবেন । মা যেন সন্তানদের গল্প শোনাচ্ছেন এমন ভঙ্গিমায় বসে থাকা মা দুর্গার কোলে থাকবে গণেশ ও কার্তিক । দু’পাশে লক্ষ্মী ও সরস্বতী দাঁড়িয়ে থাকবে । ট্যাংরা ঘোলপাড়া সর্বজনীন দুর্গোৎসবের নিবেদন ‘ সৃষ্টির জন্যই ধ্বংস ‘ । কর্মকর্তা সমীর ঘোষ জানান , “ পুরাণমতে দেবাদিদেব মহাদেব হলেন স্বয়ম্ভু । একাধারে সৃষ্টিকারী অন্যদিকে ধ্বংসকারী হলেন শিব । মণ্ডপের ঢোকার মুখে দ্বিখণ্ডিত পৃথিবীর মাঝে শিবের তাণ্ডবনৃত্য ও ধ্বংসের ছবি ফুটে উঠবে। মূল মণ্ডপে শঙ্খশোভিত শিবলিঙ্গ । কমলেশ সেনগুপ্ত , প্রতিমাশিল্পী পরিমল পাল । ‘ সেলিমপুর পল্লির এবারের থিম বন্ধন । কর্মকর্তা পার্থ রায় জানান , ‘ মানুষের মধ্যে আত্মিক যোগাযোগ এখন কমে গেছে । বিষয় ভাবনা তুলে ধরা হচ্ছে মণ্ডপে । শৈল্পিক ভাবনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিমা হচ্ছে । ভাবনা অনির্বাণ দাস , প্রতিমা গড়ছেন নব পাল । ‘
ডায়াবেটিস বা মধুমেহ আজকের সমাজে একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে পরিচিত।এই রোগটি ধীরে ধীরে বাড়ছে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পরীক্ষাসূচি এগিয়ে আনা হবে।২০২৫ সালে রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের মাধ্যমিক এবং…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠার পর রাজ্যের কৃষকদের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সরকারের…
গুণ-বিচার পরে, আগে তো দর্শনধারী!এই আপ্তবাক্য আজকের ডিজিটাল জেট যুগে একেবারে সর্বাংশে সত্য। দর্শন অথে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ডবলইঞ্জিনের সরকারের ক্ষমতা ঠুনকো।কোনও প্রতিশ্রুতি পালন বা পদক্ষেপ নিতে পারছে না।অন্তত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস…
অনলাইন প্রতিনিধি :-সোমবার উত্তরাখণ্ডের গারওয়াল থেকে কুমায়ুন এর দিকে গন্তব্য ছিল বাসটির। বাসে তখন কমপক্ষে…