শেষ পর্যন্ত ইউরিয়া সার পাচারচক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে কাঞ্চনপুর কৃষি দপ্তরের ডাইনছড়া এবং মনুছৈলেংটা স্টোরের ইনচার্জ দীপঙ্কর রিয়াংকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে কৃষি দপ্তর । চলতি মাসের ২ জুন দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় “ রেজিস্টারে ভুয়ো কৃষকের নামে ইউরিয়া সার পাচারে রমরমা ” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পরই দপ্তর নড়েচড়ে বসে । কাঞ্চনপুরে ছুটে আসেন কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরা । ভুয়ো কৃষকদের নাম সেলস রেজিস্টারে নথিভুক্ত করে কাঞ্চনপুর কৃষি দপ্তরের আওতাধীন ডাইনছড়া এবং মনুছৈলেংটা স্টোর থেকে বছরের পর বছর ধরে ইউরিয়া সার পাচার বাণিজ্যে দপ্তরের বড়সড় রাঘববোয়াল জড়িত থাকার বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে । কিন্তু কৃষি দপ্তর প্রাথমিকভাবে স্টোর ইনচার্জ দীপঙ্কর রিয়াংকে বরখাস্ত করে আসল অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে । কৃষি দপ্তরের রাঘববোয়ালরা এই কাণ্ডে জড়িত থাকলেও বলির পাঁঠা করা হচ্ছে অধীনস্থ কর্মচারীদের । জানা গেছে , গত দুই বছরে কাঞ্চনপুর কৃষি দপ্তরের বিভিন্ন স্টোর থেকে সাত হাজার কেজি ইউরিয়া সার প্রতিবেশী মিজোরাম রাজ্যে পাচার হয়েছে ।
দেখা যাচ্ছে স্টক এবং সেলস রেজিস্টারে ভুয়ো কৃষকদের নাম নথিভুক্ত করে এডজাস্টমেন্ট দিয়ে হাজার হাজার কেজি ইউরিয়া পাচার হয়েছে। সরকারীভাবে এক কেজি ইউরিয়া সারের মূল্যের কুড়িগুণ বেশি দাম মিজোরাম রাজ্যে । ফলে কিছু পাচারকারীর যোগসাজশে উত্তর এবং ঊনকোটি জেলাসহ রাজ্যের বিভিন্ন কৃষি দপ্তরের স্টোর থেকে ইউরিয়া সার বাঁকা পথে মিজোরামে পাচার হচ্ছে । বছরের পর বছর ধরে কৃষি দপ্তরের প্রায় অধিকাংশ সারের সরকারী গুদাম থেকে এভাবে ইউরিয়া পাচার হচ্ছে । কয়েক বছর ধরে কৃষি দপ্তরের সরকারী গুদামের ইউরিয়া সার পাচারের সময় বেশ কয়েকটি লরি পানিসাগর , কাঞ্চনপুর এবং দামছড়ায় ধরা পড়েছে । চলতি বছরের মে মাসে পেচারথল কাঞ্চনপুর সড়কের মনুমনপুই এলাকায় মিজোরামে যাওয়ার সময় দুটি লরিতে ২৬৮ ব্যাগ ইউরিয়া সার উদ্ধার করা হয়েছিল । এই বিপুল পরিমাণ সারগুলি কৃষি দপ্তরের সরকারী গুদামের প্রমাণিত হওয়ায় সারগুলি বাজেয়াপ্ত করে আদালতের নির্দেশে কাঞ্চনপুর সারের গুদামে রাখা হয়েছে । ইউরিয়া সার কাঞ্চনপুরের মধ্য দিয়ে দামছড়া হয়ে মিজোরামে পাচার হতে যাচ্ছিল ।
এদিকে , কাঞ্চনপুর কৃষি দপ্তরের মহকুমা আধিকারিক আর টি ডার্লং তার বিভিন্ন স্টোর থেকে ইউরিয়া পাচার বাণিজ্যের ঘটনা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছেন । তাকে দপ্তরের যে কোনও বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেই জানান তিনি কাঞ্চনপুরে নতুন দায়িত্ব নিয়েছেন । যা অনিয়ম ধরা পড়ছে তার তার সময়ে হয়নি । মুখে না বললেও আর টি ডার্লং বোঝাতে চাইছেন তার আগের সুপার এর জন্য দায়ী । অথচ কৃষকদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী সহ দপ্তরের জিনিপত্র নিজের মর্জিমতো বাঁকা পথে কিনছেন বর্তমান এসএ । অভিযোগ উঠেছে কৃষকদের নয় দপ্তর কর্তার ব্যক্তিগত লাভের জন্য নিয়ম বহির্ভুত কাজ হচ্ছে কাঞ্চনপুর কৃষি দপ্তরে । ইউরিয়া পাচারের বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসা করলে তদন্ত চলছে বলে এস এ আর টি ডার্লং জানান । এদিকে , গত এক পক্ষকাল ধরে দামছড়াস্থিত দশরথ সেতু দিয়ে ইউরিয়া সার পাচারের সময় এখন পর্যন্ত সাতটি লরি আটক করা হয়েছে । জানা গেছে , গত একমাসে প্রায় এক হাজার বস্তা ইউরিয়া সার পাচার হয়ে মিজোরামে গেছে । দামছড়ার এক নব্য শাসকদলীয় নেতা এতে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে । তাছাড়া কৃষি দপ্তরের একটা বড় চক্র , এই ইউরিয়া সার পাচারের সাথে সরাসরি জড়িয়ে পড়েছে ।
অনলাইন প্রতিনিধি :-স্বাস্থ্য পরিষেবার সুযোগ নিতে গিয়ে এমপ্লয়িজ স্টেট ইনশিয়োরেন্স কর্পোরেশন (ইএসআইসি) ভুক্ত সাধারণ কর্মচারী…
২০১৯ সালে করোনা মহামারির পাঁচ বছর পর ফের শিরোনামে চিন।এবার এইচএমপিভি (HMPV) নামক নয়া ভাইরাসের…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যসরকারের বিদ্যাজ্যোতি স্কুলের পড়াশোনাও লাটে উঠেছে। বিদ্যাজ্যোতি স্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়ন করছে না শিক্ষা…
অনলাইন প্রতিনিধি :-তিব্বতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে কমপক্ষে ৫৩ জনের মৃত্যু। তাছাড়াও ৬০ জন আহত হয়েছেন। তবে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-কেন্দ্রীয়সরকারের সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রক ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন মহকুমার জাতীয় সড়ক নির্মাণের জন্য…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ফ্লোরেন্সনাইটিঙ্গেলের কথা স্মরণ করে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই পৃথিবীতে এমন কিছু মানুষ জন্মগ্রহণ…