দেশের রাজনীতিতে শাসক দলের একখানা আলকটপকা কথা রাজনৈতিক ইস্যু বানাইয়াছে বিরোধী দলগুলি। কংগ্রেস, বাম কিংবা অন্য কোনও অবিজেপি আঞ্চলিক দল, সকলেই একটি রাজনৈতিক লব্জ ব্যবহার করিতেছে শাসক দল বিজেপির স্বৈরতান্ত্রিক মানসিকতা বুঝাইতে যাইয়া। নির্বাচনে যে দলই জয়ী হউক, সরকার গড়িবে বিজেপি। এই তত্ত্বের উদাহরণ হিসাবে তাহারা কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশের উদাহরণ দিয়া থাকেন। ঝাড়খণ্ডেও একই প্রকার খেলা চলিতেছে বলিয়া দাবি করিতেছেন হেমন্ত সোরেন। আর বিহারে তো বিজেপির সংসর্গ ছাড়িবার আগে এই কথাই বলিয়াছিলেন নীতীশ কুমার।
বিরোধীদের দাবি, ভোটে জিতিতে না পারিলে বিজেপি রাজনৈতিক লড়াইয়ে ইডি, সিবিআই আনিতেছে। ভয় দেখাইয়া, কখনো প্রলোভন দেখাইয়া আর তাহাতেও না হইলে জেলে পুরিয়া দিবার কৌশলে সরকার গড়িতে চাহিতেছে। সকল দল এই অবধি বলিয়া থাকে বটে কিন্তু ইহাকে রুখিতে প্রথম পদক্ষেপ কিন্তু দেখাইলেন ঝাড়খণ্ডের হেমন্ত সোরেন। সোরেনকে রাঁচির অফিসে গিয়া হাজিরা দিতে বলিয়াছিল ইডি। কিন্তু তার দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা জানাইয়া দিয়াছে হেমন্ত সোরেন যদি অপরাধী তাহা হইলে গ্রেপ্তার করিয়া দেখাইয়া দিন ইডি। জিজ্ঞাসাবাদের দরকার নাই।
হেমন্ত সোরেনের অভিযোগ, একজন উপজাতি মুখ্যমন্ত্রীকে নাকাল করিতে চাহিতেছে ইডি। তিনি ইডির দপ্তরে যাইয়া হাজিরা দিতে অস্বীকার করিয়াছেন। নিঃসন্দেহে রাজনীতির ময়দানে ইডি, সিবিআই অভ অস্ত্র ব্যবহারের অভিমুখ উল্টা করিয়া দিলেন। ইহাতে শাসকের তথাকথিত অস্ত্র ভোঁতা প্রতিপন্ন হইতেছে প্রাথমিকভাবে। অর্থাৎ সোরেন ইডির রাজনীতিকে রাজনীতির ময়দানেই ফিরাইলেন। আবার ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা জানাইয়া দিয়াছে, তাহারা একজন উপজাতি মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি এই ধরনের হেনস্তায় মুখ বুজিয়া থাকিবেন না। লড়াইটা তাহারা ইডির বাতানুকূল গৃহে লড়িবেন না, তপ্ত ময়দানেই লড়িবেন।
প্রয়োজন হইলে ঝাড়খণ্ডের খনিজসম্পদ রাজ্যান্তরে লইয়া যাওয়া স্তব্ধ করিয়া দিবে। অর্থাৎ খনিজ সামগ্রীতে রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করিয়া লইবে।
ইহার পূর্ব প্রস্তুতি কিন্তু চলিতেছে রাজ্যজুড়িয়া। হেমন্ত সোরেন ইডির ডাক প্রত্যাখ্যানের পর রাঁচিতে এক সমাবেশে জানাইয়াছেন, বিজেপির এই ছকের রাজনৈতিক মোকাবিলা তাহারা করিবেন। সোরেন বলিলেন, গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত ঝাড়খণ্ড সরকারের স্থিতিশীলতা নষ্ট করিতে বিজেপি সকল কেন্দ্রীয় সংস্থাকে মাঠে নামাইয়াছে। আমি সিবিআই, ইডির ভয়ে ভীত নই।
দেশে বিজেপির বিরোধিতা যাহারাই করিয়াছে তাহাদের সকলকেই দমাইতে তাহারা সকল সাংবিধানিক সংস্থার ক্ষমতার অপব্যবহার করিয়াছে। এই রাজ্যেও করিতেছে। দলীয় কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করিতে যাইয়া সোরেন জানাইয়াছেন, বিজেপির এই চক্রান্তের সম্যক জবাব দেওয়া হইবে। হাজার কোটি টাকা মারিয়া যে সকল ব্যবসায়ী পগারপার হইয়াছে, তাহাদের দেশ ছাড়িতে সহায়তা মান করিয়াছে বিজেপি, এই বিজেপি আবার দেশের অভ্যন্তরে বিরোধী দল সকলের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করিতে চাহিতেছে। প্রসঙ্গত, সারা দেশে বিরোধীরা যে সুরে শাসক বিজেপিকে স্বৈরশাসক বলিয়া বর্ণনা করিয়া থাকে সোরেন সেই সুরেই কথা বলিলেন।
বিরোধীদের সমস্বর, দুর্নীতি তদন্তের প্রশ্নে বিজেপি সরকার পক্ষপাতিত্ব করিয়া চলিয়াছে। ইডি, সিবিআই, সিভিসি, আয়কর, ইত্যাকার কেন্দ্রীয় সকল তদন্তকারী সংস্থা যে সকল তদন্ত চালাইয়াছে ও যাহাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেছে তাহার পঁচানব্বই ভাগ বিরোধী দলের লোকজন। শাসকদলীয় লোক কিংবা শাসকপ্রিয় ব্যবসায়ীরা এই তদন্তের আওতায় আসিতেছে না। প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী যে সময়ে এই হুঙ্কার দিলেন সেই সময়ে ভিজিলেন্স অ্যাওয়ারনেস সপ্তাহ পালনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলিলেন, দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করিতেই হইবে। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সিভিসির মতন যে সকল সংস্থা নিরলস লড়াই চালাইতেছে তাহারা যেন থমকাইয়া না যায়।
আপনারা ভয় পাইবেন না। এই লড়াইয়ে আত্মরক্ষামূলক মনোভাবের জায়গা নাই। দুর্নীতিবাজ যত শক্তিশালীই হউক উহাদের বাঁচানো যাইবে না। এই কর্তব্য আপনাদের পালন করিতে হইবে। দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তি যাহাতে রাজনৈতিক সামাজিক সমর্থন না পায় উহা নিশ্চিত করিতে হইবে। আবার হেমন্ত সোরেনের বক্তব্য ছিল, বিজেপি টাকা ছড়াইয়া বিধায়ক কিনিতে চাহিয়া ব্যর্থ হইবার পর দুর্নীতির অভিযোগ আনিয়াছে। কিন্তু আমাদের পূর্বসূরিরা আমাদিগকে হারতে শিখান নাই। কী করিয়া লড়িয়া জিতিতে হয় সেই পথ দেখাইয়াছেন।
উল্লেখ্য, অফিস অব প্রফিট -এর অভিযোগে বলা হইয়াছিল, শিবু সোরেন নিজের এবং নিজের পরিবারের সদস্যদের জন্য জমি এবং খনি ইজারা লইয়াছেন। নির্বাচন কমিশন এই জন্য তাহার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করিয়াছিল রাজ্যপালের কাছে। রাজ্যপাল কোনও ব্যবস্থা নেন নাই ।
দিল্লী বিধানসভা ভোটকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে যেন প্রতিশ্রুতির প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ভোটারদের মন…
অনলাইন প্রতিনিধি:- বাংলাদেশ থেকে কাঞ্চনপুর মহকুমার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে মিজোরামে যাওয়ার পথে মামিত জেলার…
অনলাইন প্রতিনিধি :- নিরাপত্তার কাজে নয়, টিএসআর জওয়ানদের খাটানো হচ্ছে আর্দালি হিসাবে। পুলিশ আধিকারিকদের ও…
অনলাইন প্রতিনিধি :- ইন্ডিগো আগরতলা- দিল্লী রুটের উভয় দিকে যাতায়াতে আরও একটি বিমান চালু করছে।…
দিল্লীর বিধানসভা ভোট নিয়ে সরগরম দিল্লী। দিল্লীতে এবার এক আঙ্গিকে বিধানসভা ভোট হচ্ছে। গত পরিস্থিতির…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরায় উৎপাদিত" অর্গানিক বার্ড আই চিলি " স্হানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ধানি…