বিরোধী দলগুলির সম্মিলিত জোট ইন্ডিয়ার বৈঠক সদ্য সমাপ্ত হয়েছে মুম্বাইতে। পাটনায় যে বৈঠকের সূচনা হয়েছিলো আপাতত মুম্বাইতে এই জোটের সমন্বয় কমিটি গঠনের মধ্যে দিয়ে প্রচারে নেমে পড়ার ডাক দেওয়া হয়েছে। উদ্দেশ্য একটাই মোদিকে হটানো। বিরোধী দলগুলির মত হচ্ছে, দেশের সংবিধান বাকরুদ্ধ হয়ে রয়েছে। দেশের গণতন্ত্র বিপন্ন। তাই বিজেপিকে হটানো দরকার।তাই ঐক্যবদ্ধ লড়াই দরকার। ২০২৪ সালে তাই বিরোধীরা মোদিকে হটানোর ডাক দিয়েছে এবং নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ডাক দিয়েছে। রাজ্যে রাজ্যে একে অপরের বিরোধী তবে বৃহত্তর স্বার্থে বিরোধীরা চাইছে একজোট হতে। পাটনায় প্রথম বৈঠক হয়েছিলো জুন মাসে, যেখানে প্রাথমিক আলোচনা হয় বিরোধী জোটের। দ্বিতীয় বৈঠক হয় বেঙ্গালুরুতে, সেই বৈঠকে জোটের নামকরণ হয়। জোটের নাম দেওয়া হয় ইন্ডিয়া। ইন্ডিয়া (India) মানে Indian National Developmental Inclusive Alliance পাটনার বৈঠকে যোগ দিয়েছিলো ১৭ টি বিরোধী দল। পরবর্তী সময় বেঙ্গালুরু বৈঠকে যোগ দেয় ২৬ টি দল।বেঙ্গালুরু বৈঠকে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ‘আপ’ যোগ দিয়েছিলো। ছিলেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী স্বয়ং। এবার মুম্বাইর বৈঠকে যোগ দেয় ২৮টি দল।এবারের বৈঠকের বিশেষত্ব হলো বিরোধী দলগুলি নিজেদের মধ্যে একটি সমন্বয় কমিটি গড়ে। এই কমিটিকে সর্বোচ্চ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সিদ্ধান্ত নেবার। এই কমিটির রাজ্যে রাজ্যে বিরোধী দলগুলির মধ্যে আসন সমঝোতার বিষয়গুলি দেখভাল করবে এবং এ মর্মে সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর মধ্যে এই আসন সমঝোতার একটা চিত্র স্থির করতে হবে কো- অর্ডিনেশন কমিটিকে। অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে দলগুলি একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করলেও আসন সমঝোতা কিভাবে হবে-এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। তাই কোঅর্ডিনেশন কমিটিকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যদিও সাংবাদিক সম্মেলনে জোটের নেতৃবৃন্দ দাবি করেছে, বৃহত্তর স্বার্থে তারা জোটবদ্ধ হয়েছে। রাজ্যে রাজ্যে রাজনৈতিক ভাবে শত্রু হলেও জাতীয় স্বার্থে তারা একজোট হয়েছে। সেজন্য যতই রাজ্যে রাজ্যে বিবাদ হোক না কেন, তারা কোনমতেই বিজেপির সামনে ঝুঁকবে না। সেজন্যই জোটবদ্ধ লড়াই তারা চান। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী তো বলেই দিয়েছেন যদি আমরা শেষপর্যন্ত একজোট থাকতে পারি তা হলে ইন্ডিয়া জোটের জয় নিশ্চিত। কেননা দেশের মোট জনসংখ্যার ৬০% ই বর্তমানে ইন্ডিয়ার শরিক দলের প্রতিনিধিত্ব করছে।
অন্যদিকে, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান, বৈঠক হোক অন্যদিকে প্রচারও যত তাড়াতাড়ি শুরু করা হোক। কেননা রাস্তায় নামতে হবে। আর দেরি করা চলবে না। বিজেপিকে অলআউট আক্রমণ করতে চান তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ইন্ডিয়া জোটের যতই কো অর্ডিনেশন কমিটি গঠিত হোক না কেন, আসন সমঝোতা যে এত সহজ হবে না তা জোটের নেতৃত্ব বিলক্ষন জানেন। বিশেষ করে দিল্লী, পাঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ, কেরল ইত্যাদি রাজ্যে ইন্ডিয়া জোটকে আসন সমঝোতা করতে গিয়ে নানা সমস্যার মুখে পড়তে হতে পারে। দিল্লীতে আম আদমি পার্টিকে সিংহভাগ আসনই ছাড়তে হবে কংগ্রেসকে। পাঞ্জাবেও তাই। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস সিংহভাগ আসনেরই দাবিদার। এই রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস বাম এবং কংগ্রেসকে কতখানি আসন ছাড়বে তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। সে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস চাইছে বেশিরভাগ আসনে তারাই লড়াই করতে। কিন্তু কংগ্রেস এবং বামেদের সঙ্গে এ নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের দ্বিমত হতে পারে। একই অবস্থা কেরলেও। কেরলে কংগ্রেস এবং সিপিএম একেবারে যুযুধান শিবির। সে রাজ্যে ইন্ডিয়া জোটের কী হবে? অন্যদিকে কংগ্রেস যে রাজ্যে শক্তিশালী কিংবা ক্ষমতায় তারা চাইবে অধিকাংশ আসনে তারাই লড়াই করতে। এই পরিস্থিতিতে ইন্ডিয়া জোট আসন সমঝোতার বিষয়টি অনেকটা আগে থেকেই শুরু করতে চাইছে। যাতে আলাপ আলোচনার জন্য অনেকটা সময় পাওয়া যায়। এছাড়া মুম্বাই বৈঠকে জোট স্লোগানও তৈরি করে ফেলেছে। জোটের স্লোগান হচ্ছে জুড়েগা ভারত, জিতেগা ইন্ডিয়া, স্লোগানে ‘ভারত’ এবং ‘ইন্ডিয়া’ এই দুটি শব্দ রেখে আসলে বিজেপিকে মাত দিতে চাইছে বিরোধী দল। তবে ইন্ডিয়া জোটের এই রণকৌশল আগামীদিনে কতখানি বেগ দিতে পারে বিজেপিকে তাই এখন দেখার।
অনলাইন প্রতিনিধি :-নতুন সিবিআই কর্তা নিয়োগ করতে হবে আর সেই উদ্দ্যেশ্যেই লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে ইন্ডিয়ান আইডল জয়ী সিজন ১২ এর পবনদীপ রাজন ৷ উত্তর…
অনলাইন প্রতিনিধি :-আগামী ১৮ মে দু'দিনের জন্য কেরল সফরে যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ৷ সেই…
অনলাইন প্রতিনিধি :-উজ্জ্বয়ন মহাকালেশ্বর মন্দিরে বিভীষিকাময় আগুন। মন্দিরের উপর থেকে গলগল করে নির্গত হচ্ছে কালো…
অনলাইন প্রতিনিধি :-জেলবন্দি সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী ওরফে চিন্ময় প্রভুকে নতুন করে আবার হত্যা…
অনলাইন প্রতিনিধি :-যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন অঙ্গরাজ্য থেকে প্রায় ৬৩ বছর আগে নিখোঁজ হয়েছিলেন অড্রে ব্যাকেবার্গ নামে…