ইলনের স্বপ্ন সফল, মানুষের মস্তিষ্কে ই-চিপ বসাতে ছাড়পত্র।
গত বছর ডিসেম্বরে তিনি ঘোষণা করেছিলেন,আগামী ছয় মাসের মধ্যে মানুষের মস্তিষ্কে ব্রেন চিপ প্রতিস্থাপনের ক্রিনিক্যাল ট্রায়াল তারা শুরু করতে চান। সেখানে মাস্কের প্রতীক্ষার সময়টা তিন মাস বাড়ল। অবশেষে মার্কিন সরকারের স্বাস্থ্য নিয়ামক সংস্থা থেকে মানুষের মস্তিষ্কে ব্রেন-মেশিন বসানোর ছাড়পত্র পেল ইলনের গবেষণা সংস্থা ‘নিউরালিঙ্ক’।মানুষের মস্তিষ্কে এই চিপ বসানোর ট্রায়াল সফল হলে আগামী দিনে চিকিৎসা বিজ্ঞানে আমূল বদল আসবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।মাস্কের মালিকানাধীন এই সংস্থা দাবি করেছে, খুব শীঘ্রই তারা ক্রিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করবে।সংস্থার দাবি, এই প্রযুক্তির সাহায্যে প্রতিবন্ধী রোগীরা আবার সহজে চলাফেরা করতে পারবেন। ছাড়পত্র পাওয়ার পর এক্স হ্যান্ডেলে(আগের টুইটার, যার মালিকও তিনি) মাস্ক বলেছেন,’এই প্রযুক্তির সাহায্যে যাদের আংশিক দৃষ্টিশক্তি নেই, তাদেরও দৃষ্টি ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।
কয়েক মাস আগে ব্রেন চিপ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে মাস্ক বলেছিলেন, ‘মানুষের মস্তিষ্কে চিপ প্রতিস্থাপন করার আগে আমাদের ভীষণ সতর্ক হতে হবে ডিভাইসটি নিয়ে।কোনও ক্ষেত্রে যেন কোনও রকম খামতি না থাকে সে বিষয় বিশেষ নজর দিতে হবে।’ তিনি সেদিন দাবি করেন, ‘জন্ম থেকেই যাদের দৃষ্টিশক্তি নেই, আমাদের আশা, তাদেরও দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে আনতে পারবে এই ডিভাইস।’ এই চিপটির বৈজ্ঞানিক নাম হল ‘এন১ চিপ’। এটি হল একটি ছোট মাইক্রো- প্রসেসর যা এক জন ব্যক্তির মস্তিষ্কের মধ্যে দৃঢ় ভাবে প্রতিস্থাপন করা হবে। এই চিপটি মানুষের মস্তিষ্কের কার্যকলাপ রেকর্ড করার ও মস্তিষ্ককে উদ্দীপিত করার ক্ষমতা রাখে। রিপোর্ট অনুসারে, এ ক্ষেত্রে কানের চার পাশে পাতলা ইলেক্ট্রোড বসানো হবে যা সরাসরি মস্তিষ্কের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। এই ইলেক্ট্রোড দ্বারা প্রেরিত বৈদ্যুতিক তরঙ্গ মস্তিষ্ককে উদ্দীপিত করবে।