উত্তরপ্রদেশে নতুন প্রজাতির আঁখের চাষ করছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা

 উত্তরপ্রদেশে নতুন প্রজাতির আঁখের চাষ করছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

করোনার প্রথম ঢেউ যখন আসে সেই সময়েই আখ চাষের মাধ্যমে মহিলাদের স্বনির্ভর করার উদ্যোগ নেয় উত্তরপ্রদেশ সরকার। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের হাতে আখের বীজ তুলে দেওয়া হয় । আর সেই বীজ বপন করেই কাজ শুরু করেন মহিলারা । আর এই গোষ্ঠীর মহিলারাই এখন নতুন প্রজাতির আখের চাষ করে সাফল্য পাচ্ছেন । এইভাবে মহিলাদের মধ্যে আখের বীজ বিলি করার কারণে ৩০০৪ টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ৫৯ হাজারের বেশি মহিলার আর্থ সামাজিক জীবনযাত্রার উন্নয়নে সাহায্য করেছে । সরকারি এক মুখপাত্র জানিয়েছেন , এই মহিলারা ২৪.৪১ কোটির বেশি আখ গাছের চারা তৈরি করেছেন । মহিলাদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে এবং এন্ট্রাপেনরশিপে উৎসাহ দিতে দীনদয়াল অন্ত্যোদয় ন্যাশনাল রুরাল লাইভলিহুড মিশনের আওতায় মহিলাদের ব্যাঙ্ক ঋণ পাওয়ার বিষয়টিকেও নিশ্চিত করেছে রাজ্য সরকার । আর সেজন্য এই প্রকল্পে বহু মহিলা এগিয়ে আসেন । করোনাকালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তেই বহু মানুষের কাজ চলে যায় । আর সেই সময়ে উত্তরপ্রদেশে মহিলাদের স্বনির্ভর করে তোলার লক্ষ্যে এমন পদক্ষেপ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ । এই সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন , মহিলারা যাতে আখ চাষের মাধ্যমে রোজগার করতে পারেন এবং জীবনযাত্রার মানকে উন্নত করতে পারেন সেই লক্ষ্যেই এমন একটি উদ্যোগ নেওয়া হয় রাজ্য সরকারের তরফে । গোটা দেশের মধ্যে উত্তরপ্রদেশেই সবচেয়ে বেশি পরিমাণে আখের চাষ হয় । ২৭ লক্ষ হেক্টরের থেকেও বেশি জমিতে এখানে আখের চাষ হয় । ফলে আখের উৎপাদনের সঙ্গে রাজ্যের একটা বড় অংশের মানুষের রোজগারের বিষয়টি জড়িয়ে রয়েছে । সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন , সাফল্যের নতুন দিশা দেখাতেই গ্রামের মহিলাদের হাতে এই উন্নতমানের বীজ তুলে দেওয়া হয় । সরকারের এই নতুন প্রকল্পে উত্তরপ্রদেশের ৩৭ টি আখ উৎপাদনমুখী জেলায় ৩০০৪ টি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠার মাধ্যমে কাজ শুরু করে দেওয়া হয় । আর এই মহিলা উদ্যোগপতিদের তৈরি গোষ্ঠীগুলি ২৪ কোটির বেশি আখের চারা উৎপাদন করে ফেলেন । ওই সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন , একেকটি গোষ্ঠী গড়ে বছরে ১.৭০ লক্ষ টাকা রোজগার করেছে । শুধু তাই নয় , এই মহিলাদের পরিবারের সদস্যরা এই আখের চারা রোপণ করেও রোজগারের পথ খুঁজে পেয়েছেন । এই প্রকল্পে ৫৮,৯০৫ জন গ্রামীণ মহিলা কাজের সুযোগ পেয়েছেন । আর সব মিলিয়ে ১,৫২,৪৪০ টি কর্মদিবস তৈরি করা গিয়েছে বলেও জানানো হয়েছে সরকারের তরফে । গ্রামের মহিলারা যাতে উন্নতমানের আখ নার্সারির মাধ্যমে আখের বীজ বিলি করতে পারেন সেজন্য তাদের জাতীয় খাদ্য সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় রাজ্য সরকারের তরফে । আবার অনুদানের মাধ্যমে এবং সুগার মিলগুলির সহায়তায় মহিলাদের মধ্যে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিও তুলে দেওয়া হয়েছে ।এর ফলে আখচাষের ক্ষেত্রে মহিলাদের কর্মসংস্থানের একটি নতুন দিগন্ত খুলে গিয়েছে বলেই জানিয়েছেন ওই সরকারি মুখপাত্র । বুলন্দশহরের জাগৃতি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী , বরেলির অন্নপূর্ণা মহিলা গোষ্ঠী এবং সাহারানপুরের গঙ্গা মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী ইতিমধ্যে আখের বীজ উৎপাদন করছে এবং ১০ লক্ষের বেশি চারাগাছ উৎপাদন করে ফেলেছেন । আরও মহিলারা যাতে এই কাজে এগিয়ে আসেন সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছে রাজ্য সরকার ।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.