মণিপুরে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হামলা, বন্ধ ইন্টারনেট,, কার্ফু জারি!!
উত্তর-পূর্বের উন্নয়নে বিজেপিই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে একমাত্র বিকল্প, দাবি বিপ্লবের
অনলাইন প্রতিনিধি :- রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে কাজের খতিয়ান তুলে ধরলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। মঙ্গলবার রাজ্য অতিথিশালায় সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্যবাসীর কাছে তাঁর রিপোর্ট কার্ড পেশ করলেন। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী দেব রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই এগারো মাসের কার্যকালে তিনি তার সাংসদ তহবিল থেকে দশটি কাজের জন্য মোট ৩ কোটি ৩৯ লক্ষ ৬০ হাজার ২৬৮ টাকা প্রদান করেছেন। এই সময়ে সংসদে তিনি দুইটি জনস্বার্থ বিষয়ক বিল-এ আলোচনায় অংশ নিয়েছেন । এছাড়াও রাজ্যের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ১৮টি বিষয় সংসদে প্রশ্ন আকারে উত্থাপন করেছেন। শ্রী দেব বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে দলের সমস্ত সংস দেশবাসীর প্রতি দায়বদ্ধ। দলের প্রত্যেকটি সাংসদের কাজের হিসাব দিতে হয়। কী কাজ করছে? কাজের ফলাফল কী? তা জনসমক্ষে তুলে ধরতে হবে। শ্রীদেব বলেন, ২০১৮ সালের আগে ত্রিপুরা গত পাঁচ বছরে অনেকটা পরিবর্তন হয়ে গেছে। সব থেকে বড় কথা হচ্ছে, রাজ্যের যুব সমাজের মানসিকতায় বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। রাজ্যের যুবক যুবতীরা এখন নিজেরাই নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে চায়। জব ক্রিয়েটার হতে চায়। এটা মুখের কথা নয়।, সরকারি তথ্য। কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া পরিসংখ্যান মোতাবেক, ২০১৮ থেকে ৩০ জুন ২০২৩ পর্যন্ত রাজ্যের যুবক যুবতীরা ১৩ হাজার ৫১৭ কোটি টাকা মুদ্রা লোন নিয়েছে ব্যবসা বা ছোট- মাঝারি শিল্প করার জন্য। আগে লোন নিতে ভয় পেত। এখন পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। মুদ্রা লোনে ত্রিপুরা এখন উত্তর পূর্বে দ্বিতীয় রাজ্য। প্রথম রয়েছে আসাম। শুধু তাই নয়, দেশের বারোটি রাজ্যের আগে রয়েছে ত্রিপুরা। শ্রীদের বলেন, রাজ্যের উৎপাদিত ফসলের বাজারজাতকরণ নিয়ে সংসদে বেশ কয়েকবার আলোচনা করেছি। সংসদে আলোচনা হলে প্রচারটা অনেকাংশে ভালো হয়। ত্রিপুরার কুইন আনারস সহ একাধিক ফসল এখন দেশ-বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। কৈলাসহরে বিমানবন্দর চালু করা। রাজ্যের জনজাতিদের উন্নয়ন সংক্রান্ত একাধিক প্রকল্প সংসদে উত্থাপন করেছি। বিভিন্ন প্রকল্পে রাজ্যের জনজাতিরা কীভাবে সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে, এর খতিয়ান তুলে ধরেন শ্রীদেব। শুধু তাই নয়, মঞ্জুরিকৃত অর্থের পরিমাণও বিস্তারিত তুলে ধরেন। বর্ডার হাটগুলি খোলার বিষয় নিয়েও এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন শ্রী দেব । তিনি বলেন, বর্ডার হাট বাংলাদেশের চাইতে ত্রিপুরার জন্য অনেক লাভদায়ক। কোভিডের সময় রাজ্যের দুটি বর্ডার হাট বন্ধ হয়ে গেলেও, সঠিক শ্রীনগর বর্ডার হাট পুনরায় চালু করা হয়েছে। কমলাসাগর বর্ডারহাট পুনরায় চালু করা নিয়ে আলোচনা চলছে। এছাড়াও প্রস্তাবিত বর্ডার হাটগুলির নির্মাণ কাজ করার শীঘ্রই শুরু করা নিয়েও বাংলাদেশ সরকারের সাথে আলোচনা চলছে। এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের দুইটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন নিয়েও গ্রীসের ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। বিশেষ করে প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ ও তিপ্রামথা সম্পর্কে। তিনি বলেন, রাজ্যের জনজাতিদের উন্নয়নই যদি মূল অ্যাজেণ্ডা হয় তাহলে প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণও ভালো করে জানেন, কারা জনজাতিদের পাশে আছে। জনজাতিদের সাথে ভারতীয় জনতা পার্টিই ছিলো আরে আছে এবং থাকবে। এটা প্রমাণিত সত্য। উত্তর-পূর্বের উন্নয়নের জন্য বিজেপি একমাত্র বিকল্প। উত্তর-পূর্বের উন্নয়ন যদি কেউ করে থাকে, সেটা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি সরকারই করছে। যা আগে সম্ভব হয়নি। তাই | ক্যা আগে কে কত ভোট পেয়েছে, তা বিচার্য বিষয় নয়। কারণ জনগণ কারও ফিক্সড ডিপোজিট নয়। যদি তাই হতো, তাহলে ২০১৮ সালে রাজ্যে পরিবর্তন হতো না। ২০২৩ সালে ধনপুরে প্রতিমা ভৌমিক জয়লাভ করতেন না। শ্রীদেব বলেন, “উন্নয়ন চাইলে শান্তি দরকার। উন্নয়ন চাইলে আলোচনার টেবিলে বসতে হবে। তাই এই রাজ্যের জনজাতিদের উন্নয়ন তো বিজেপি সরকার করছে। তাহলে কংগ্রেস বা সিপিএমের মাধ্যমে ভায়া যেতে হবে কেন? প্রদ্যোত কিশোর মাণিক্য তো সরাসরি সেই কাজটা করতে পারেন। শ্রীদেব বলেন, জয় যখন নিশ্চিত হয়ে যায়, তখন কোন সমীকরণই আসে না। ধনপুর ও বক্সনগরে বিজেপি প্রার্থীর জয় নিশ্চিত হয়ে গেছে। জনগণ মনে মনে ঠিক করে নিয়েছেন। ফলে কোন দল প্রার্থী দিলো, কোন দল প্রার্থী দিলো না, এ নিয়ে জনগণের কোনও মাথা ব্যথা নেই। ত্রিপুরার মানুষ সচেতন। তারা জানে কী করতে হবে। তাই ধনপুরে প্রতিমা ভৌমিক যত ভোটে জয়ী হয়েছিলেন, বিন্দু দেবনাথ আরও বেশি ভোটে জয়ী হবেন। সেই সাথে বক্সনগর কেন্দ্রেও এবার নয়া ইতিহাস রচিত হবে বলে দাবি করেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শ্রীদেব।