উত্তর-পূর্বের দুই রাজ্যের সিড্ সার্টিফিকেশনের দায়িত্ব ত্রিপুরাকে!!

এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজধানীর
অরুন্ধতীনগরস্থিত রাজ্য কৃষি গবেষণাগারের ইতিহাসে আরও একটি সাফল্যের মুকুট যুক্ত হলো।রাজ্যের কৃষি বিজ্ঞানীদের নিরলস প্রয়াস ও নিরন্তর গবেষণায় উন্নতমানের উচ্চ ফলনশীল ধানবীজ,ডাল জাতীয় শস্য ও তৈলবীজ উৎপাদনে ত্রিপুরা এখন স্বয়ম্ভর।কৃষি গবেষণাগারে উৎপাদিত উন্নতমানের উচ্চ ফলনশীল ধানবীজ এখন শুধু রাজ্যেই নয়,বহি:রাজ্যেও সরবরাহ করা হচ্ছে।ত্রিপুরার কৃষি গবেষণাগারের এই সাফল্য পর্যালোচনা করে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার উত্তর পূর্বের দুই রাজ্য মিজোরাম এবং মণিপুরের সিড্ সার্টিফিকেশনের দায়িত্ব দিয়েছে ত্রিপুরা রাজ্যকে। উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলির মধ্যে বর্তমানে আসাম বাদে- ত্রিপুরাই একমাত্র রাজ্য, যেখানে সিড্ সার্টিফিকেশনের ব্যবস্থা রয়েছে।শুধু তাই নয়, ত্রিপুরা রাজ্য ‘উচ্চ ফলনশীল জাতের’ ধানবীজ উৎপাদনে সার্টিফিকেশনে স্বয়ংসম্পূণ।কেন্দ্রীয় সরকারের এই স্বীকৃতি এবং দায়িত্ব অর্পণ রাজ্যের পক্ষে,রাজ্যের কৃষি গবেষণার ক্ষেত্রে,কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তর ও কৃষকদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয় বলে মনে করা হচ্ছে।
কৃষি বিজ্ঞানীদের মতে, রাজ্যকে খাদ্যশস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে হলে বীজ পরিবর্তন অত্যন্ত জরুরি। বিজ্ঞানীদের এই পরামর্শকে গুরুত্ব দিয়ে রাজ্য সরকারের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তর উচ্চ ফলনশীল বীজ কৃষকদের মধ্যে ভর্তুকিতে বিতরণ করে থাকে।যার মূল উদ্দেশ্যই হল’ প্রতি তিন বছর অন্তর উচ্চ ফলনশীল জাতের বীজ পরিবর্তনের মাধ্যমে ফলন বাড়িয়ে কৃষকদের আয় বাড়ানো এবং একই সাথে খাদ্যশস্য উৎপাদনে রাজ্যকে স্বাবলম্বী করা।অপরদিকে,হাইব্রিড জাতের বীজ প্রতি বছর পরিবর্তন করতে হয়। এতে ফলন ভালো হয়।
ত্রিপুরা রাজ্যে ২০০২ সাল থেকে নথিভুক্ত বীজ উৎপাদকদের মাধ্যমে ধানবীজ উৎপাদন শুরু করা হয়।একইসাথে অরুন্ধতীনগরস্থিত কৃষি গবেষণাগারে ‘ত্রিপুরা স্টেট সিড্ সার্টিফিকেশন এজেন্সি’ ও ‘স্টেট সিড্ টেস্টিং ল্যাবরেটরি’ স্থাপন করা হয়। যাতে উৎপাদিত বীজধানের সার্টিফিকেশন করতে পারে। পরবর্তীকালে এই গবেষণাগারে ডাল জাতীয় শস্য ও তৈলবীজ উৎপাদন এবং সার্টিফিকেশনের ব্যবস্থা চালু করা হয়।বর্তমানে দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মধ্যে আসাম বাদে ত্রিপুরার একমাত্র রাজ্য যেখানে সিড্ সার্টিফিকেশনের ব্যবস্থা রয়েছে।শুধু ধানবীজই নয়, উন্নতমানের উচ্চ ফলনশীল আলুবীজ উৎপাদনেও রাজ্যের কৃষি বিজ্ঞানীরা বিশেষ সাফল্য অর্জন করেছে।নতুন বীজ এবং নতুন পদ্ধতিতে আলু চাষে আগের চাইতে তিন থেকে চারগুণ বেশি ফলন হচ্ছে। এতে কৃষকরাও উৎসাহিত এবং লাভের আশা করছেন।
এ বিষয়ে রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথ বলেন, মিজোরাম ও মণিপুর এই দুই রাজ্যের সিড্ সার্টিফিকেশনের দায়িত্ব আমাদের রাজ্যকে দেওয়া নি:সন্দেহে গর্বের।এতে আমাদের দায়িত্ব আরও বেড়ে গেলো।মন্ত্রী বলেন, রাজ্যকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে সকলে মিলে আমরা নিরন্তর কাজ করে চলেছি। সাফল্য আসছে, কিন্তু আরও অনেক পথ হাঁটতে হবে।

Dainik Digital

Recent Posts

ঈদের দিনে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অতর্কিত হামলায় মৃত্যু ৪২ ফিলিস্তিনির!

অনলাইন প্রতিনিধি :-পবিত্র ঈদুল আজহার দিনেও থেমে থাকল না গাজার মৃত্যমিছিল। স্থানীয় চিকিৎসা সূত্রের দাবী,…

3 hours ago

কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দিদের নামাজ আদায়!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে পবিত্র ঈদুল আজহারে তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। একটি বন্দিদের জন্য…

3 hours ago

দুবাইয়ের নতুন মহা-প্রকল্প, ছাপিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বুর্জ খলিফাকেও!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-দুবাইয়ের আগামী প্রকল্প বুর্জ খলিফার থেকেও "বৃহৎ এবং সুন্দর" হতে পারে—এমনটাই ইঙ্গিত দিলেন…

4 hours ago

অনূর্ধ্ব ১৪, ১৮ মহিলা ক্রিকেট, বিশালগড় দল গঠনে শীঘ্রই ওপেন ট্রায়াল!!

অনলাইন প্রতিনিধি :- রাজ্যভিত্তিক অনূর্ধ্ব চৌদ্দ ও অনূর্ধ্ব আঠারো মহিলা ক্রিকেটকে সামনে রেখে বিশালগড় ক্রিকেট…

4 hours ago

কৃষি সংকল্প অভিযানে নয়া জাগরণ,৮ দিনে ১.২০ লক্ষ কৃষকের কাছে পৌঁছেছে কৃষিরথ, প্রশংসিত রাজ্য!!

অনলাইন প্রতিনিধি :- টার্গেট ছিলো বারোদিনে সারা রাজ্যে এক লক্ষ বাহাত্তর হাজার কৃষককে এই মেগা…

4 hours ago

পরিবেশ দিবস ও মশকরা!!

গোটা বিশ্বজাড়ের ৫জুন ঘটা করে আর ও একবার আন্তর্জাতিক পরিবেশ দিবস উদ্যাপন করা হলো।এদিন আমাদের…

4 hours ago