অনলাইন প্রতিনিধি :কোভিডের পর রাজ্যে নয়া উদ্বেগ তৈরি হয়েছে ডেঙ্গু নিয়ে।সোনামুড়া মহকুমার কাঁঠালিয়া বিধানসভার অন্তর্গত কয়েকটি গ্রামে প্রথম ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। সেখান থেকে এখন বলতে গেলে গোটা রাজ্যেই ডেঙ্গুর প্রকোপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্তমানে রাজ্যে প্রতিদিনই কোনও না কোনও জায়গা থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।সামনে শারদোৎসব। সারা রাজ্যেই এখন উৎসবের প্রস্তুতি চলছে।মহালয়া থেকে একেবারে আলোর-উৎসব দীপাবলি পর্যন্ত সারা দেশের সাথে রাজ্যবাসীও টানা একমাস উৎসবের আনন্দে মেতে থাকবেন।কিন্তু এই উৎসবের আনন্দে নয়া আতঙ্ক ও উদ্বেগ বাড়িয়েছে মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগ।
খবরে প্রকাশ,ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চলতি সেপ্টেম্বর মাসেই রাজ্যের প্রধান দুটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ২২২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী।সংখ্যাটা নেহাত কম নয়।সারা রাজ্যে অন্যান্য স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে কতজন রোগী ভর্তি আছেন,সেই পরিসংখ্যানটা যদিও পাওয়া যায়নি।তবে রোগী যে আছে, তা নিশ্চিত করেই বলা যায়। সবথেকে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, বৃহস্পতিবার শুধু একদিনেই জিবি হাসপাতালে ২০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছেন।এইভাবে যদি চলতে থাকে, তাহলে আগামী কয়েকদিনে সংখ্যাটা কোথায় গিয়ে পৌঁছবে তা সহজেই অনুমেয়।পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র বাংলাদেশে প্রতিদিন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু ঘটছে। মৃত্যুর সংখ্যা ইতিমধ্যে হাজারের ঘর পার করে নিয়েছে।পশ্চিমবঙ্গে প্রতিদিন ডেঙ্গু আক্রান্ত ও ডেঙ্গুতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। অথচ রাজ্য সরকারের ডেঙ্গু নিয়ে কোনও মাথাব্যথা আছে বলে- এখনও পর্যন্ত মনে হয়নি। রাজ্য সরকারের এমনকী স্বাস্থ্য দপ্তরের তেমন কোনও হেলদোল এখনও পর্যন্ত লক্ষ্য করা যায়নি।এ বিষয়ে অনেকটা উদাসীন মনোভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে।রাজ্যে ডেঙ্গুর প্রকোপ উদ্বেগজনকভাবে বাড়লেও এ ব্যাপারে রাজ্য সরকার এবং স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফ থেকে ব্যাপকভাবে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কোনও বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে জনগণের কী কী করণীয়,এই ব্যাপারে কোনও কর্মসূচি নেই।রাজ্য সরকার ও স্বাস্থ্য দপ্তরের এহেন মনোভাব ও উদাসীনতা নিয়ে ইতিমধ্যে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।সরকারী তথ্য অনুযায়ী রাজ্যে এখনও ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর খবর নেই।এটা সুখবর, এ নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই। কিন্তু মৃত্যু ঠেকানোর জন্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা কই? কোভিড মহামারিকালেও আমাদের রাজ্যে অনেক পরে সংক্রমণ এবং মৃত্যু শুরু হয়েছিল। সেই পরিস্থিতি থেকে কি রাজ্য সরকার ও স্বাস্থ্য দপ্তর শিক্ষা গ্রহণ করেনি? যেখানে অন্য রাজ্যগুলিতে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর ঘটনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, সেখানে আমাদের রাজ্যে এমন ঘটনা ঘটবে না, তা কি নিশ্চিত করে বলা যায় ? এই গ্যারান্টি কি কেউ দিতে পারবে?অথচ অবাক করার বিষয় হচ্ছে,এ ব্যাপারে রাজ্য সরকার ও স্বাস্থ্য দপ্তর যেন অনেকটা রিলাক্স মুডে রয়েছে। অন্যদিকে রাজ্যে হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। প্রশ্ন হচ্ছে, সরকার কি কোনও কিছু আড়াল করতে চাইছে? তা না হলে ‘ডেঙ্গু’ নামক নয়া আতঙ্ক এসে হাজির হওয়া সত্ত্বেও সরকার ও স্বাস্থ্য দপ্তর এমন রিলাক্স মুডে থাকে কি
করে? তবে কি ভয়ানক পরিস্থিতির জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে?এর উত্তর সময়েই পাওয়া যাবে।
অনলাইন প্রতিনিধি :-"ঈদুল ফিতর" যার অর্থ হলউপবাস ভাঙার আনন্দ। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় দুটো ধর্মীয় উৎসবের…
অনলাইন প্রতিনিধি :-২০১৮ সালে নতুন নিয়োগনীতি চালু করেছে রাজ্য সরকার। ২০১৯ সাল থেকে রাজ্য সরকারের…
অনলাইন প্রতিনিধি :-কেন্দ্রীয় সরকার ঢাকঢোল পিটিয়ে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সস্তায় ভালো গুণমানসম্পন্ন জনঔষধি তথা জেনারিক মেডিসিন…
অনলাইন প্রতিনিধি :-শান্তিরবাজারে সিনিয়র টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন হলো জগন্নাথপাড়া প্লে সেন্টার টিম। রবিবার বাইখোড়া ইংলিশ…
অনলাইন প্রতিনিধি :-২০২৩-২৪ অর্থ বছর পর্যন্ত রাজ্য সরকারের মোট ঋণের পরিমাণ গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২১.৮৭৮ কোটি…
অনলাইন প্রতিনিধি :-বিগত ছয় মাসে ত্রিপুরা পুলিশ ক্রাইম ব্রাঞ্চকে ২২টি মামলা হস্তান্তর করা হয়েছে।২০২৪ সালের…