মণিপুরে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হামলা, বন্ধ ইন্টারনেট,, কার্ফু জারি!!
উদ্বোধনের বছর না ঘুরতেই বন্ধ জিবির জেরিয়াট্রিক ওয়ার্ড!!
অনলাইন প্রতিনিধি:- রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়নে গত বছর জিবি হাসপাতালে ঘটা করে মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহার হাত ধরে উদ্বোধন করা হয়েছিল রিজিওনাল জেরিয়াট্রিক মেডিসিন ওয়ার্ডের। গত ১৪ অক্টোবর ২০২৩ইং মুখ্যমন্ত্রী এই ওয়ার্ডের উদ্বোধন করেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, বছর ঘুরতে না ঘুরতেই জেরিয়াট্রিক মেডিসিন ওয়ার্ড মুখ থুবড়ে পড়েছে। ৩০ শয্যা বিশিষ্ট এই ওয়ার্ড গত এক সপ্তাহ ধরে তালাবন্ধ অবস্থায় রয়েছে। ফলে ওই ওয়ার্ডে কর্মরত ২৯ জন স্বাস্থ্যকর্মী অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখে এসে দাঁড়িয়েছেন। এমনিতেই কর্মরত ওই ২৯ জন বিভিন্ন স্তরের স্বাস্থ্যকর্মী গত চার মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। এরমধ্যে ওয়ার্ডটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নিযুক্ত ২৯ জন বিভিন্ন স্তরের স্বাস্থ্যকর্মী আশঙ্কার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দকৃত অর্থে জিবি হাসপাতালের জয়ন্তী ওয়ার্ডে আধুনিক চিকিৎসা পরিষেবাযুক্ত এই রিজিওনাল জেরিয়াট্রিক মেডিসিন সেন্টারটি চালু করা হয়েছিল। এই সেন্টারটি অত্যন্ত সুন্দরভাবে সাজানোগোছানো এক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ছিল। এইসেন্টারটি জন্য স্বাস্থ্য দপ্তর ইন্টারভিউর মাধ্যমে
২৯ জন গ্রুপ-সি, গ্রুপ-ডি স্বাস্থ্যকর্মী এ নিয়োগ করে। পরবর্তীকালে রাজ্য মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক এবং অর্থ দপ্তরের অনুমোদনক্রমে জেরিয়াট্রিক ওয়ার্ডের জন্য ২০টি পদ সৃষ্টি করা হয়। অর্থাৎ ২০টি পদের জন্য অর্থ দপ্তর অনুমোদন দেয়। এই ২০টি পদের মধ্যে ১ জন প্রফেসর, ১ জন অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর, ১ জন অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর, ২ জন সিনিয়র রেসিডেন্ট, ২ জন জুনিয়র রেসিডেন্ট, ৮ জন নার্সিং অফিসার, ১ জন প্রোগ্রাম অ্যাসিস্টেন্ট, ২ জন হসপিটাল অ্যাটেন্ডেন্ট (গ্রুপ-ডি) এবং ২ জন স্যানিটারি অ্যাটেন্ডেন্ট (গ্রুপ-ডি) নিয়োগের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়। যে ২৯ জনকে ইন্টারভিউর মাধ্যমে নিয়োগ করা হয়েছিল তাদের মধ্য থেকেই এই ২০ টি পদ পূরণ করার কথা। সেন্টার উদ্বোধনের একমাস পরেই অর্থ দপ্তর থেকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু বিস্ময়ের ঘটনা হলো, সুশাসনে সেই ফাইল আজও বর্তমান স্বাস্থ্য সচিবের টেবিলে আটকে আছে বলে খবর। নিয়োগপ্রাপ্ত ২৯ জন স্বাস্থ্য কর্মী যেখানে নিয়মিত প্রতিমাসে বেতন পাওয়ার কথা, অভিযোগ, গত চার মাস ধরে তারা বেতন পাচ্ছেন না। এখন তো ওয়ার্ডেই তালা ঝুলছে। জানা গেছে, পূর্বতন স্বাস্থ্য সচিব দেবাশিস বাবুর সময় নাকি এদের নিয়োগ করা হয়েছিল। বর্তমানে নিয়োগ সংক্রান্ত ফাইল আটকে থাকার পিছনে এটাই অন্যতম কারণ বলে মনে করছে অনেকে। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থে ঘটা করে চালু করা জেরিয়াট্রিক মেডিসিন ওয়ার্ড বছর না ঘুরতেই বন্ধ করে দেওয়ায় জনমনে নানা প্রশ্ন উঠেছে। শুধু তাই নয়, এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। একই সাথে রহস্য দানা বেঁধেছে। অন্যদিকে ২৯ জন স্বাস্থ্যকর্মীও বড় ধরনের উৎকণ্ঠার মধ্যে পড়েছেন।