উদ্ভট নিয়মে যাত্রীদের পকেট কাটছে বিমান সংস্থা!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-বিমান সংস্থাগুলি মুনাফা লাভের পেছনে ছোটায় যাত্রীর স্বার্থ বিঘ্নিত হচ্ছে। বিমান সংস্থাগুলি অসহায় যাত্রী সাধারণের পকেট কাটতে এমন সব উদ্ভট নিয়ম চালু করছে যে বিমানবন্দরে গিয়ে যাত্রীরা বিপাকে পড়ছেন। বিমান সংস্থার উদ্ভট নিয়ম চালু করে যাত্রীর পকেট কাটলেও কেন্দ্রীয় সরকারের অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক কোন টু শব্দ করছে না। বিমান উড়ান পরিষেবা দেখভাল ও নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে রয়েছে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। বিনামূল্যে বিমানে লাগেজ নেওয়ার সীমাবদ্ধতা, সীমাহীন ঊর্ধ্বভাড়া, সিট পছন্দে মোটা চার্জ নেওয়া, বিমান বাতিল হলে আটক যাত্রীদের বিনামূল্যে হোটেলে রাখা ও খাওয়ার ব্যবস্থা না করা, টিকিট বাতিলে ভাড়া ফের না দেওয়া ইত্যাদি নানা পরিষেবায় বিমান সংস্থাগুলি আগের মতো সুবিধা দিচ্ছে না।প্রশ্ন উঠেছে যাত্রী পরিষেবায় এই সব সুবিধা বিমান সংস্থাগুলি তুলে নিলেও কেন্দ্রীয় সরকার কেন নির্বিকার ভূমিকা পালন করছে। কেন্দ্রীয় সরকারকে ম্যানেজ করে বিমান সংস্থাগুলি যাত্রীর স্বার্থসংশ্লিষ্ট এইসব পরিষেবা উঠিয়ে নিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। তাতে কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকায় বিমান যাত্রীরা প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। শুধু যে আগরতলা সেক্টরে বিমান যাত্রীর স্বার্থসংশ্লিষ্ট পরিষেবাগুলি তুলে নিয়েছে তাই নয়, দেশের সব জায়গা বিমান পরিষেবায় একের পর এক উদ্ভট, অযৌক্তিক যাত্রী ঠকানোর নিয়ম চালু করছে। বিমানে যাতায়াতে বিমান যাত্রীর পরিপন্থী এই সব নিয়ম চালু কীভাবে বিমান সংস্থাগুলি করে রেখেছে তা নিয়ে বিস্ময় দেখা দিয়েছে। বিমানবন্দরের সঙ্গে যুক্ত একটি সূত্রের দাবি বিমান সংস্থাগুলি যাত্রী ঠকানোর এইসব অদ্ভুত নিয়ম চালু রাখা নিয়ে আইন-আদালত করা হলে তার সুষ্ঠু নিরসন হতে পারে। কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘন্টা কে বাঁধবে প্রশ্ন সেখানেও। বিমান সংস্থাগুলির উদ্ভট একটি নিয়মের মধ্যে রয়েছে যাত্রীপিছু ফ্রি লাগেজ নেওয়ায় উর্ধ্বসীমা ১৫ কিলো হলেও এই ১৫ কিলো ওজনের মধ্যে মাত্র ১ টি লাগেজ নেওয়া যাবে। ফ্রি ১৫কিলোর মধ্যে একের বেশি লাগেজ নিলে প্রতি লাগেজে ১০০০ টাকা করে বিমান সংস্থার কাউন্টারে গুনে দিতে হয়। আগে যখন নিয়ম ছিল তখন ১৫ কিলো ফ্রি লাগেজের মধ্যে একজন যাত্রী একাধিক লাগেজ নিতে পারতেন। কিন্তু প্রায় দুই আড়াই বছর হবে ইন্ডিগো, এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস, আকাশা এয়ার সহ প্রায় সব কমার্শিয়াল বেসরকারী বিমান সংস্থা যাত্রীর নথিভুক্ত ফ্রি লাগেজ নেওয়ার ক্ষেত্রে যাত্রীর পকেট ফাঁক করতে এই উদ্ভট নিয়ম চালু করেছে। যাত্রী ঠকানোর ফ্রি লাগেজে এই উদ্ভট নিয়ম ও পদ্ধতি দ্রুত প্রত্যাহার করে নেওয়ার দাবি করছেন যাত্রীরা। আগে কোন কারণে বিমান বাতিল করা হলে বাড়ি ফিরতে যে সব দূরান্তের যাত্রী বিমানবন্দরে আটকে পড়তেন তাদের জন্য থাকা
খাওয়ার বিমান সংস্থা ফ্রি হোটেল দিত। যাত্রীরা তাতে উপকৃত হতো। কারণ বিমান বাতিল করেছে সেই বিমান সংস্থাই। তাদের বিমান বাতিলের কারণেই বিমান যাত্রীরা বিমানবন্দরে আটকে পড়েন। আটক যাত্রীদের সেই দিন না হলে পরদিন অতিরিক্ত বিমানে গন্তব্যস্থলে পাঠানো হতো। যাত্রীর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট পরিষেবাগুলি বিমান সংস্থাগুলি কেন্দ্রীয় সরকারের মাথায় টুপি পরিয়ে ও কেন্দ্রীয় সরকারকে ম্যানেজ করে তুলে নিয়েছে বলে অভিযোগ। আগে বিমানের ভেতর ফ্রি জলখাবার দিলেও তাও দেওয়া হচ্ছে না। বিমানের ভেতর খাবার জিনিস যাত্রীর কাছে আগুন মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। সেই বিষয়েও কেন্দ্রীয় সরকার মুখে কুলুপ এঁটে বসে রয়েছে। এয়ার হস্টেজরা বিমানের ভেতর ঘুরে ঘুরে যাত্রীর কাছে আগুন মূল্যে খাবার বিক্রি করছেন। আগে যখন এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান চালু ছিল তখন এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে বিনামূল্যে জলখাবার মিলতো।