উন্নয়নের প্রশ্নে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি কাম্যঃ মুখ্যমন্ত্রী!

 উন্নয়নের প্রশ্নে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি কাম্যঃ মুখ্যমন্ত্রী!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করার পর প্রথম প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকেই সরকারী কর্মচারীদের ভূমিকা নিয়ে অসন্তুষ্টি ব্যক্ত করেছিলেন ডা. মানিক সাহা। দক্ষিণ জেলার রিভিউ মিটিংয়ে মুখ্যমন্ত্রী উষ্মা ব্যক্ত করেছিলেন। মুখ্যসচিব, জেলাশাসক সহ পদস্থ আধিকারিকদের পাশে বসিয়ে। এরপর তিনি বেশ কিছু অনুষ্ঠানেই প্রশাসনিক কর্মীদের মতিগতি নিয়ে প্রশ্ন উসকে দেন। সোমবার রবীন্দ্রভবনে ওয়ার্ল্ড ওরাল হেল্থ দিবসে বক্তব্য রাখতে গিয়েও এই প্রসঙ্গ মেলে ধরেন। সরকারের কর্মকাণ্ড বিস্তৃত পরিসরে মেলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী ডা. সাহা বলেন,বর্তমান সরকার অনেক কিছু করলেও তার যথাযোগ্য ফলাফল পাচ্ছে না। ফলাফলে অন্যরকম প্রতিফলন দেখা দেয়।মুখ্যমন্ত্রী ডা. সাহা অনেকটা আক্ষেপের সুরেই বলেন,সরকার কর্মচারীদের পাশেই থাকতে চায়। কর্মচারীরা না থাকতে চাইলে তা কি করে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এত স্বচ্ছতা, আন্তরিকতার সাথে কাজ করার পর কেন হচ্ছে না। কারা করছেন না ৷ কেন কাঙিক্ষত সহযোগিতা মিলছে না তার চুলচেরা বিশ্লেষণ হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার রাষ্ট্র ও রাজ্যের স্বার্থে যেভাবে কর্মযজ্ঞ চালাচ্ছে তাতে রাজ্যের মানুষের স্বার্থে সহমত পোষণ করাটাই কাঙ্ক্ষিত ছিল। মুখ্যমন্ত্রী এও বলেন, দৃষ্টিভঙ্গীতে ভিন্নতা থাকতেই পারে। তবে উন্নয়নের প্রশ্নে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গীই কাম্য। কাজের দিকে মনোযোগ দিতেও মুখ্যমন্ত্রী এ দিন সতর্ক করে দেন। তিনি বলেন, সরকার সবার জন্য অজস্র উদ্যোগ নিয়েছে। এবার সে সব প্রকল্প যথাযথভাবে রূপায়ণে প্রশাসনিক কর্তাদের নিজেদের কাজটা যথাযথভাবে করতে হবে। সরকার মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ ৷ দায়বদ্ধতা নিয়েই মানুষের কাজ করতে হবে। সময়ের কাজ সময়ে শেষ করতেও তিনি আহ্বান রাখেন।এ দিন জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন এবং ইণ্ডিয়ান ডেন্টাল অ্যাসোসিয়েশন ত্রিপুরা রাজ্য শাখার উদ্যোগে ওই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। তাতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা বলেন, দেহের প্রবেশদ্বার হল মুখ। তাই একে অবহেলা করলে মোটেও চলবে না। মুখের ভেতর সমস্যা থাকলে চেহারায় হাসি থাকবে না। ব্যক্তির চেহারায় হাসি না থাকলে তার পরিবারের চেহারায় হাসি থাকবে না বলেও চিকিৎসক মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে স্বাস্থ্যনীতিতে অনেক পরিবর্তন আনা হয়েছে উন্নত পরিষেবা দানের প্রশ্নে। তিনি বলেন, ২২৭ জন ডেন্টাল সার্জন নিয়োগ হবে। প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রেও ডেন্টাল সার্জনের পরিষেবা মিলবে। তিনি আরও বলেন, ডেন্টাল মেডিকেল কলেজেও পঁচিশ থেকে ত্রিশজন ডেন্টাল সার্জন নিয়োগ হবে। এ দিনের কর্মসূচিতে স্বাস্থ্য সচিব দেবাশিস বসু, স্বাস্থ্য অধিকর্তা সহ অন্যান্যরা ছিলেন।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.