উপজাতি উন্নয়নে নয়া প্রকল্প হচ্ছে।
অনলাইন প্রতিনিধি :-বুধবার অ রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে একাধিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সিদ্ধান্তগুলির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, রাজ্যের জনজাতিদের সার্বিক কল্যাণে এবং জনজাতি এলাকার উন্নয়নে একটি নতুন প্রকল্প চালু করা হচ্ছে। প্রকল্পের নাম ‘মুখ্যমন্ত্রী জনজাতি এলাকা উন্নয়ন স্কিম’।এই প্রকল্পে প্রতিবছর ত্রিশ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।এই প্রকল্পে জনজাতি এলাকার রাস্তাঘাট, শিক্ষা,স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি জনজাতি যুবক-যুবতীদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়।বুধবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন খাদ্য ও পরিবহণমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রী শ্রীচৌধুরী আরও জানান, বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের অধীন বিদ্যাজ্যোতি স্কুলগুলির জন্য ১২৫টি শারীর শিক্ষা শিক্ষকের (পিইটি) নতুন পদ সৃষ্টির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে, একই সাথে আরও ১২৫টি লাইব্রেরিয়ানের নতুন পদ সৃষ্টিরও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।এছাড়াও এমবিবি বিশ্ববিদ্যালয়ে চৌদ্দজন অধ্যাপক নিয়োগ করা হবে।এর মধ্যে চারজন প্রফেসর, চারজন অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর এবং ছয়জন অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর নিয়োগ করা হবে।এই পদগুলিতে শীঘ্রই নিয়োগ করা হবে।রাজ্যের সাধারণ ডিগ্রি কলেজগুলিতে ৭৫টি শূন্যপদে অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর নিয়োগ করা হবে। এই পদগুলিও শীঘ্রই নিয়োগ
করা হবে।পর্যটনমন্ত্রী শ্রীচৌধুরী জানান,রাজ্যের যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের অধীনে আটটি স্পোর্টস অফিসারের শূন্যপদে সরাসরি নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত। মন্ত্রিসভায় গৃহীত হয়েছে। গ্রুপ-বি গ্যাজেটেড স্পোর্টস অফিসার পদে তিনটি পর্যায়ের যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষার মাধ্যমে টিপিএসসি নিয়োগ করবে। জনজাতি কল্যাণ দপ্তর এবং তপশিলি জাতি কল্যাণ দপ্তরে পঞ্চাশটি গ্রুপ-সি সুপারভাইজরের শূন্যপদে লোক নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে। দপ্তর এই পদে ফিক্সড-পে ভিত্তিক লোক নিয়োগ করবে।এর জন্য অর্থ দপ্তরের প্রয়োজনীয় অনুমোদন পাওয়া গেছে বলে তিনি জানান।কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ধীরে ধীরে কাগজহীন প্রশাসন গড়ে তোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে গোটা দেশজুড়েই। সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক ত্রিপুরা সরকারও প্রক্রিয়া শুরু করেছে। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কাজকর্ম অনেকটাই ডিজিটাল মোডে নিয়ে আসা হয়েছে।সম্প্রতি রাজ্য বিধানসভাকেও ই- বিধানসভা করা হয়েছে। এখন চালু হতে যাচ্ছে ই-ক্যাবিনেট।শীঘ্রই এই পরিষেবার উদ্বোধন হবে বলে জানান মন্ত্রী শ্রীচৌধুরী।এই ক্ষেত্রে ত্রিপুরা হতে যাচ্ছে দেশের চতুর্থ রাজ্য। ইতিমধ্যে উত্তরপ্রদেশ, অরুণাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে ই-ক্যাবিনেট চালু করা হয়েছে।ফলে মন্ত্রিসভার যাবতীয় সিদ্ধান্ত এখন ফাইল ছেড়ে বন্দি হবে ট্যাবে।