উপনির্বাচনের ইঙ্গিত দিলেন মুখ্যমন্ত্রী, ভোটে দাঁড়াবেন নিজেও

 উপনির্বাচনের ইঙ্গিত দিলেন মুখ্যমন্ত্রী, ভোটে দাঁড়াবেন নিজেও
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অবশেষে অনিশ্চয়তা কাটিয়ে রাজ্যের চার কেন্দ্রের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে । এখনও নির্বাচন কমিশন ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা না করলেও , সূত্রের দাবি যে কোনও সময়ই তা ঘোষণা হতে পারে । শুধু তাই নয় , সরাসরি না হলেও সোমবার রাজ্যের নয়া মুখ্যমন্ত্রী ডা . মানিক সাহাও এক প্রশ্নের জবাবে উপনির্বাচনের ইঙ্গিত দিয়েছেন । দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধির প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী শ্রী সাহা স্পষ্টভাবেই বলেন , তিনি উপনির্বাচনে লড়াই করবেন । কোন্ কেন্দ্র থেকে তিনি লড়বেন ? সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ্য , রাজ্যের চারটি বিধানসভা কেন্দ্র বিধায়ক শূন্য । এই চার কেন্দ্রে উপনির্বাচন করা নিয়ে যাবতীয় প্রস্তুতি যখন চূড়ান্ত করে নেওয়া হয়েছিল , তখনই উপনির্বাচন নিয়ে নানা জল্পনা ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয় ।

এরই মধ্যে রাজ্য রাজনীতিতে অনেক তোলপাড় গেছে । বিপ্লব কুমার দেব আচমকাই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন । এই নিয়ে বহু জল ঘোলা হয়েছে । এখনও জল ঘোলা হচ্ছে । বিপ্লব দেবের জায়গায় নয়া মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছে বিজেপির প্রদেশ সভাপতি এবং রাজ্যসভার সাংসদ ডা . মানিক সাহাকে । পরবর্তীতে এই পরিস্থিতিতে এখন উপনির্বাচন জরুরি হয়ে পড়েছে । কেননা , নয়া মুখ্যমন্ত্রী ডা . মানিক সাহা রাজ্য বিধানসভার সদস্য নন । মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকতে হলে তাঁকে বিধায়ক হিসাবে ভোটে নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে । অর্থাৎ ছয় মাসের মধ্যে। রাজ্যে আগামী বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা ২০২৩ এর ফেব্রুয়ারী মার্চ মাসে । এই ভোট যদি আরও এক দুই মাস এগিয়ে আনা হয় তাহলে গুজরাট ও হিমাচল প্রদেশের সাথে ত্রিপুরার বিধানসভা ভোট হতে পারে ডিসেম্বর মাসে । যদি না হয় , তাহলে মার্চে নাগাল্যাণ্ড এবং মেঘালয়ের সাথে ত্রিপুরার ভোট হতে পারে । দুটোই বিকল্প আছে । তবে পুরো বিষয়টি নির্ভর করবে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের উপর । এখন এই দুই বিকল্প ধরে এগোলেও পরিবর্তি পরিস্থিতিতে উপনির্বাচন করতে হবে । কেননা , বিধায়ক হওয়া ছাড়া মানিকবাবু ছয়মাসের বেশি মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন না । পাশাপাশি মানিকবাবু মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকার জন্য বিধায়ক হলে তাঁকে রাজ্যসভার সদস্যপদ ছাড়তে হবে । সেই ক্ষেত্রে রাজ্যসভার আসনটি পুনরায় শূন্য হবে এবং রাজ্যসভার আসনেও পুনরায় নির্বাচন করতে হবে । মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর সোমবার প্রথম প্রদেশ সভাপতি হিসাবে ডা . সাহা দলীয় কার্যালয়ে দলের বিভিন্ন মোর্চার পদাধিকারী ও অফিস বেয়ারাদের নিয়ে সাংগঠনিক বৈঠক করেন । বৈঠক শুরুর আগে দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধির প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী সাহা স্পষ্টভাবেই বলেন , তিনি উপনির্বাচনে লড়াই করবেন । তিনি বলেন , মুখ্যমন্ত্রী যখন হয়েছি তখন উপনির্বাচনে তো লড়াই করতেই হবে । সেইক্ষেত্রে তার পছন্দের কেন্দ্র কোন্‌টি হবে ? জানতে চাইলে তিনি বলেন , দল যে কেন্দ্রেই বলবে সেই কেন্দ্রেই লড়াই করবো । আমরা প্রস্তুত । তবে আমার বাড়ি কোন্ কেন্দ্রে সেটা সকলেই জানে ‘ । নাম না করলেও , মানিকবাবুর পছন্দ যে ৮ নং বড়দোয়ালী কেন্দ্র – তা ইঙ্গিতই স্পষ্ট করেছেন । কারণ , মানিকবাবুর বাড়ি ৮ নং বড়দোয়ালী বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত । তিনি বড়দোয়ালী কেন্দ্রেরই ভোটার । বিজেপি দলীয় সূত্রে খবর , চার কেন্দ্রের প্রার্থীই দল চুড়ান্ত করে নিয়েছে । চার কেন্দ্রেই আসছে নয়া মুখ । জানা গেছে , ৬ নং আগরতলা কেন্দ্রে প্রার্থী হতে পারেন সাংবাদিক ও আইনজীবী প্রণব সরকার । যুবরাজ নগর কেন্দ্রে প্রার্থী হতে পারেন একজন চিকিৎসক । এই নিয়ে জল্পনা চলছে । সুরমা কেন্দ্রেও প্রার্থী করা হবে নতুন মুখ । তবে রাজ্যসভার আসনটি শূন্য হলে , চার বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী অদলবদল হতে পারে বলে সূত্রের খবর ।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.