উপভোটে জিততে মরিয়া সব প্রার্থী

 উপভোটে জিততে মরিয়া সব প্রার্থী
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

হোক না উপভোট । তাই বলে কি ছেড়ে দেওয়া যায় ? অন্তত বিধানসভা নির্বাচনের আগে আসন্ন উপভোটেও এমনটাই লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে প্রার্থীরা । পরিস্থিতির নিরিখে এই ভোট যতটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে শাসক বিজেপির কাছে ঠিক ততটাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিরোধী সিপিএম এমনকী কংগ্রেসের কাছেও । কারণ তারা প্রত্যেকেরই মূল লক্ষ্য ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচন । অর্থাৎ এর আগে উপভোটের সুযোগে কে কতটা এগিয়ে রাখতে পারে নিজেদেরকে এরই মহড়া — বলা চলে আগামী ২৩ জুন । শাসক বিজেপি মনে করছে ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনের আগে উপভোটের চারটি আসনই নিজেদের হেপাজতে নিয়ে আসতে । আর তাতেই মসৃণ হবে দ্বিতীয়বারের মতো রাজ্যে বিজেপি শাসিত সরকারকে প্রতিষ্ঠিত করা । সিপিআই ( এম ) র মতে , পালে হাওয়া তুলতে গেলে এখন থেকেই তা জরুরি ।

অন্তত বিরোধী হাওয়া একবার বইয়ে দিতে পারলে মনোবল বৃদ্ধি পাবে কর্মী – সমর্থকদের । কংগ্রেস মনে করছে , মানুষ শাসকের কাজে মোটেই খুশি হতে পারছে না । বীতশ্রদ্ধ ভোটারদেরকে একবার কাছে টানা গেলে আর পেছন ফিরে তাকাতে হবে না । কারণ সাম্প্রতিক অতীতে মানুষ বামেদের শাসন যেমন পরিলক্ষিত করেছে তেমনি শাসক বিজেপির বর্তমান অবস্থা দেখেও অনেকটাই অভিজ্ঞতা অর্জন করে নিয়েছে । ভোট প্রচারে চারটি উপনির্বাচনি কেন্দ্রেই যে যার মতো করে প্রচার চালাচ্ছে ইতিমধ্যেই । এর মধ্যে দুটি নির্বাচনি কেন্দ্রকে উপভোটের মূল আকর্ষণ বলে ধরে নিয়েছে , প্রায় সবক’টি রাজনৈতিক দল । শাসকের কাছে যেমন বাড়তি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে ৮ – বড়দোয়ালী বিধানসভা কেন্দ্রটি , তেমনি বিরোধী কংগ্রেসের কাছেও একপ্রকার চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে ৬ – আগরতলা বিধানসভা কেন্দ্রটি । কারণ ৮ – বড়দোয়ালী বিধানসভা কেন্দ্রে উপভোটে শাসকের হয়ে প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা নিজেই ।

৬ – আগরতলার ক্ষেত্রে অন্যদের পাশাপাশি রয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী সুদীপ রায় বর্মণও । টানা পাঁচবার তিনিই জয়ী হয়েছেন এই এলাকা থেকে । স্বাভাবিকভাবেই জয়ের ব্যাপারে এই কেন্দ্র থেকে একপ্রকার নিশ্চিত রয়েছেন তিনি । প্রচারে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় শাসকদলের পক্ষে ৬ আগরতলা বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী ডা . অশোক সিন্‌হা বলেন , বামেদের পরাস্ত করতেই চিকিৎসা শাস্ত্র থেকে তার রাজনীতিতে আসা । সেই অনুযায়ী ডান – বামের মিলিঝুলির কারণে তেরোয় চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি । পরে আঠারোয় বিজেপির হয়ে কাজ করার পর তা সম্ভব হয়েছে । সোজাসাপ্টা এই প্রার্থী নিজের হয়ে ভোট চাইতে গিয়েও গণদেবতাদের প্রতি পূর্ণ আস্থা রাখেন ।

বলেন , ‘ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া দেখে আমি বিশ্বাস রাখি তারা আমার পাশে থাকবেন ‘ । ৬ – আগরতলা বিধানসভা কেন্দ্রে এ বছর একপ্রকার হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবেই রয়েছেন সুদীপ রায় বর্মণ । প্রচার থেকে রবিবারও তিনি বলেন , ত্রাস সৃষ্টি করে কেউ যদি ভাবে ভোটের বৈতরণী পার হবে তবে তা সম্ভব হবে না । কারণ লড়াইটা গণতন্ত্র রক্ষার লড়াই । তিনি বিশ্বাস করেন , হারিয়া যাওয়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পক্ষেই রায় দেবেন মানুষ । তিনি মনে করিয়ে দেন যে এটি পুরসভা কিংবা লোকাল বডি নির্বাচনের মতো নয় । এটি সরাসরি দেশের নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হবে । এক্ষেত্রে বিশ্বাস তো রাখতেই পারি । বাম প্রার্থী কৃষ্ণা মজুমদারও ছেড়ে কথা বলতে চান ভোটের ময়দানে থেকে তিনিও জয় নিয়ে অনেকটাই আশাবাদী ।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.