ঊনকোটি জেলা হাসপাতালের সিটি স্ক্যান মেশিন অচল, দুর্ভোগ!!

 ঊনকোটি জেলা হাসপাতালের সিটি স্ক্যান মেশিন অচল, দুর্ভোগ!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-কৈলাসহর ভগবাননগরে অবস্থিত জেলা হাসপাতালের সিটি স্ক্যান পরিষেবা আজও বন্ধ।পক্ষকালের অধিক সময় ধরে সিটি স্ক্যান পরিষেবা থেকে বঞ্চিত জেলার রোগীরা।জেলার একমাত্র সিটি স্ক্যান পরিষেবা বন্ধ থাকায় জরুরি প্রয়োজনে সিটি স্ক্যান করার জন্য রোগীদের ছুটতে হচ্ছে আগরতলা অথবা রাজ্যের বাইরে। স্বাভাবিক ভাবেই নিম্নবিত্ত রোগীদের পক্ষে বাইরে গিয়ে পরিষেবা গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাছাড়া জেলা হাসপাতালে যেভাবে বিনা পয়সায় সিটি স্ক্যান করা হচ্ছে রাজ্যের বাইরে গিয়ে তা করতে হলে অনেক টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে।কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের মাধ্যমে আগরতলার একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান জেলা হাসপাতালে বিনামূল্যে সিটি স্ক্যান পরিষেবা দিয়ে আসছে। পরিষেবা প্রদানকারীকে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের মাধ্যমে টাকা প্রদান করা হয়ে থাকে। কিন্তু পক্ষকাল পূর্বে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে জেলা হাসপাতালে সিটি স্ক্যান পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। আজ এ ব্যাপারে হাসপাতালের মেডিকেল সুপার ডা. রোহন পাল জানান, তিনি মেশিনটি সারাইয়ের জন্য চারবার উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নিকট চিঠি পাঠিয়ে এই বিষয়ে অবহিত করেছেন। কিন্তু জানা গেছে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের উদাসীনতায় পক্ষকাল অতিক্রান্ত অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও আজও পরিষেবা স্বাভাবিক করা সম্ভব হয়নি।পরিষেবা প্রদানকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের বকেয়া বিল পরিশোধ করা হচ্ছে না দীর্ঘ দিন ধরে।জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় এই অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। সিটি স্ক্যান মেশিন সারাইয়ের কাজ ধীরগতিতে হবার পেছনে বিল পরিশোধ না করার বিষয়টি একটি অন্যতম কারণ হতে পারে বলে অনেকের ধারনা। জাতীয় স্বাস্থ্য : মিশন কর্তৃপক্ষ সব কিছু জেনেও তৎপরতার সাথে পরিষেবা শুরুর উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ। যার ফলে সিটি স্ক্যান পরিষেবা থেকে পক্ষকাল ধরে বঞ্চিত জেলার রোগীরা। বর্তমানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে রোগীদের কিছু বলতে পারছে না। এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে হাসপাতালে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীদের দিন কাটছে। জানা গেছে, রাজ্যের সব কয়টি হাসপাতালে ১০২ অ্যাম্বুলেন্স *পরিষেবা, ২৩ টি হাসপাতালে প্যাথলজি পরিষেবা এবং আইজিএম সহ জেলা * হাসপাতালগুলিতে ডায়ালিসিস পরিষেবা চলছে বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আউটসোর্সিং ব্যবস্থাপনায়। সব কয়টি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান সন্তোষজনক পরিষেবা দেবার চেষ্টা করলেও জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় তাদের বিল পরিশোধ করা হচ্ছে না দীর্ঘদিন। এরকম পরিস্থিতি চলতে থাকলে যে কোন দিন রোগী সহ রোগীর আত্মীয়স্বজনদের সাথে স্বাস্থ্যকর্মীদের বচসা বেধে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.