এই প্রথম রাজ্যে ৭% মুসলিম ছেলে-মেয়েরা চাকরি পেয়েছে!!

এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

বর্তমান বিজেপি-আইপিএফটি সরকারের মূল স্লোগান হচ্ছে ‘এক ত্রিপুরা-এক পরিবার-এক ভবিষ্যৎ’। এই একই সাথে ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ সবকা প্রয়াস।’ এই নীতিকে সামনে রেখেই সরকার গত আটান্ন মাস ধরে কাজ করে গেছে। এই নীতি ও স্লোগান যে শুধু কথার কথা নয়, সেটা আরও একবার তুলে ধরলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ। শনিবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন করে শিক্ষামন্ত্রী জানান, ত্রিপুরা রাজ্যে আট শতাংশ সংখ্যালগু অংশের মানুষ রয়েছে। অথচ সরকারী চাকরিতে এক শতাংশও সংখ্যালঘু অংশের সরকারী কর্মচারী নেই। তিনি বলেন, বিষয়টি বিগতদিনে বিরোধী দলে থাকাকালীন বহুবার বিধানসভায় উত্থাপন করেছিলাম। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। শিক্ষামন্ত্রী জানান, রাজ্যবাসী এবং বিশেষ করে সংখ্যালঘু অংশের মানুষ জেনে খুশি হবে গত ৫৮ মাসে শিক্ষা দপ্তরে (টেট ওয়ান, টেট-টু) প্রাথমিক বিভাগে ৩,১৫৪ জন শিক্ষকের চাকরি হয়েছে। এর মধ্যে এই প্রথম সাত শতাংশ সংখ্যালগু অংশের ছেলে মেয়েরা চাকরি পেয়েছে। আরও খুশির খবর হচ্ছে, এই সাত শতাংশের মধ্যে সবথেকে বেশি চাকরি পেয়েছে মুসলিম মেয়েরা। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গুণগত শিক্ষার কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। মুসলিম মেয়েরাও এখন বুঝতে পারছে শিক্ষাই হচ্ছে প্রকৃত উন্নয়ন। এছাড়া বিকল্প কোনও পথ নেই। মুসলিম মেয়েদের মধ্যেও এখন শিক্ষার প্রতি আগ্রহ দারুণভাবে বাড়ছে। তার প্রকৃত প্রমাণ হলো টেটের মাধ্যমে মুসলিম মেয়েদের শিক্ষকতার চাকরি অর্জন করা।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সংখ্যালঘু উন্নয়ন দপ্তর থেকে ছাত্রছাত্রী বি এড কোর্স করার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। এর সুযোগ গ্রহণ করছে অনেকেই। যে যার সুবিধা মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বি এড কোর্স করছে। শুধু তাই নয়, গুণগত শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে শিক্ষা দপ্তর ডিজিটাল লাইব্রেরি নামে অভিনব প্রকল্প চালু করেছে। নবম-দশম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের জন্য এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের ৩০৪টি হাই ও হায়ার সেকেণ্ডারি স্কুলে মোট ৯,১২০টি ট্যাবলেট প্রদান করা হয়েছে, প্রতিটি স্কুলে ৩০টি করে। এই ট্যাবলেটগুলিতে শিক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়, বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষকদের বক্তব্য সহ শিক্ষা সংক্রান্ত কনটেন্ট রয়েছে। আগে ছাত্রছাত্রীরা লাইব্রেরি থেকে প্রয়োজনে যেমন বই নিয়ে যেতে পারতো এবং পরে ফেরত দিয়ে দিতো। ঠিক একইভাবে এখন স্কুল থেকে প্রয়োজনে সাতদিনের জন্য ছাত্রছাত্রীরা ট্যাবলেট নিয়ে যেতে পারবে। প্রয়োজন শেষ হলে স্কুলে আবার ফেরত দেবে। জ্যাম এর মাধ্যমে ই-টেণ্ডারে এই ৯,১২০টি ট্যাবলেট ক্রয়ে খরচ হয়েছে ৯ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকা। যাদের বাড়িতে স্মার্টফোন নেই, ওই সব ছাত্রছাত্রীরা অগ্রাধিকার পাচ্ছে। এতে ছাত্রছাত্রীরা দারুণভাবে উপকৃত হচ্ছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ।

Dainik Digital

Recent Posts

ছুটির দিনে ক্রেতার ঢল বাজারে,চৈত্র মেলা আগামী বছর থেকে শিশু উদ্যানে: মেয়র!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-শহরে সূর্যের প্রচণ্ড তাপদাহের মধ্যেও চৈত্রের শেষ 'সময়ে রিডাকশন সেল মেলা তথা বাজার…

20 hours ago

ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া, মামলা প্রত্যাহার!তদন্ত ঘিরে প্রশ্ন,ক্ষুব্ধ কর্মীদের নালিশ দিল্লীতে!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের অফিযানে ক্ষুব্ধ কর্মচারীরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে করলেন নালিশ।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায়…

20 hours ago

কাব্যলোকের বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণ!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-পুরাতনকে বিদায় জানিয়ে নতুনকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বাঙালিরা। বাঙালির ১২ মাসের ১৩ পার্বণের…

2 days ago

নয়া স্ট্র্যাটেজিতে কংগ্রেস!!

গুজরাটে কংগ্রেসের সদ্য সমাপ্ত অধিবেশনে নয়া স্ট্র্যাটেজি নেওয়া হয়েছে।কংগ্রেস এখন থেকে পিছিয়ে পড়া বিশেষ করে…

2 days ago

জিবি হাসপাতালে ক্যান্টিন ভাড়ার ১ কোটি টাকা কোষাগারে জমা পড়েনি!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-জিবি হাসপাতালে ক্যান্টিনের ঘর ভাড়া দিয়ে প্রায় এক কোটি টাকা না মিটিয়ে দিয়ে…

3 weeks ago

ধসে পড়া সুড়ঙ্গে ভেসে উঠল দ্বিতীয় মৃতদেহ!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-৩০ দিন অতিক্রান্ত।কিন্তু তেলেঙ্গনার সেই সুড়ঙ্গ নিয়ে কাটছে না জট।তারই মধ্যে আবার সুড়ঙ্গ…

3 weeks ago