৪ কোটি টাকা দিলেই মন্ত্রিপদ, অমিত শাহের ছেলে সেজে বিধায়কদের ফোন!!
এই বাজেট বিকশিত ভারতের স্বপ্ন ভবিষ্যতের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-এবারের
কেন্দ্রীয় বাজেট ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারত গঠন করার যে সংকল্প প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর নেতৃত্বে পরিচালিত গ্রহণ করেছে,তারই দিশা ও রূপরেখা।এবারের বাজেট দেশের যুব সমাজ,মধ্যবিত্ত এবং কৃষকদের আর্থিক বিকাশ ও ভবিষ্যৎ তৈরি করার আশা ও স্বপ্ন দেখিয়েছে।
মঙ্গলবার লোকসভায় ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের কেন্দ্রীয় বাজেট ও অতিরিক্ত ব্যয় বরাদ্দের দাবির উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এমনই অভিমত ব্যক্ত করেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং বর্তমান সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব।এ দিন প্রায় ত্রিশ মিনিট শ্রীদেব বাজেটের বিভিন্ন ইতিবাচক দিকগুলি তুলে ধরে সংসদে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শাসক-বিরোধী সকলেরই নজর কাড়েন।এ দিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে শ্রীদেব প্রথমেই দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অর্থমন্ত্রী
নির্মলা সীতারামনকে ধন্যবাদ জানান। বিকশিত ভারত গড়ার লক্ষ্যে অত্যন্ত দূরদর্শীতার সাথে এবং সাহসী বাজেট
পেশ করেছেন,তার জন্য অর্থমন্ত্রীকে তিনি ঝাঁসীরাণী লক্ষ্মীবাই হিসাবে আখ্যায়িত করেন।এই বাজেট দেশের আর্থিক ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে।হিম্মত না থাকলে এমন সাহসী বাজেট প্রস্তুত করা সম্ভব নয়।প্রধানমন্ত্রী মোদি সেই সাহস দিয়েছেন।এবারের বাজেটে পঞ্চাশ লক্ষ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।গত বছরের তুলনায় ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের বাজেট ৭.৪ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। জিডিপি গ্রোথ ১০.১ শতাংশ নিয়ে যাওয়ার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।যা অত্যন্ত সাহসী পদক্ষেপ। শ্রীদেব বলেন, ইউপিএ জমানায় বিশাল পরিমাণ আর্থিক দায়বদ্ধতা এনডিএ সরকারের কাঁধে চাপিয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সেই দায়বদ্ধতা কমিয়ে আনার জন্য রাস্তাও তৈরি করে দিয়েছেন।
বিপ্লব দেব বলেন,মণিপুরে কি হয়েছে কেন হয়েছে?সবাই জানে।মণিপুর নিয়ে বিরোধীদের অনেকেই অনেক কথা বলছেন।এদের মধ্যে অনেকেই মণিপুর সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই। একটা সময় ছিল নর্থ ইস্ট বলতে সকলে আসাম মনে করতো।
আমিও নর্থ ইস্টের ছোট রাজ্য ত্রিপুরা থেকে এসেছি।আগে আগরতলা বললেও, সেটা কোথায় পাল্টা প্রশ্ন করতো। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্য আজ নর্থ ইস্টকে সবাই চিনেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্যই আজ নর্থ ইস্টের উন্নয়ন তরান্বিত হচ্ছে। একটা দীর্ঘ সময় নর্থ ইস্টে সন্ত্রাসবাদ ছিল। মোদির জন্যই আজ নর্থ ইস্টে শান্তি ফিরেছে। মণিপুরে দীর্ঘ সময় কংগ্রেস দল ক্ষমতায় ছিলো। তখন কি করেছে মণিপুরের জন্য? আজ মণিপুরে রেল লাইন সম্প্রসারণ হয়েছে। তিনটি ন্যাশনাল হাইওয়ে হয়েছে।
আরও অনেক কিছুই হয়েছে এবং হচ্ছে। সবই হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঐকিান্তিক প্রয়াসের কারণে। আমরা সকলেই চাই মণিপুরে পুনরায় শান্তি ফিরে আসুক। সংবিধান মেনেই মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়েছে, জোর করে করা হয়নি। আমাদের বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বে শীঘ্রই মণিপুরে শান্তি ফিরে আসবে।বিপ্লব দেব বলেন,এবারের বাজেট সব থেকে বড় দিক হচ্ছে নিউক্লিয়ার এনার্জি মিশন। এর জন্য ত্রিশ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এটা প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শিতা এবং ভবিষ্যতে দেশে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার স্থায়ী রূপরেখা তৈরি করার জন্য এই অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। কেননা, বিদ্যুৎ ছাড়া কিছুই হবে না। একটা সময় আসবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস, কয়লা ফুরিয়ে যাবে। এই ক্ষেত্রে সরকারী এবং বেসরকারী বিনিয়োগের বিষয়টিও অনেক সরলীকরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়কর মকুব মধ্যবিত্তের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। একাধিক জীবনদায়ী ওষুধের উপর শুল্ক মকুব করে দেওয়া হয়েছে।৭০ বছরের উপরে নাগরিকদের চিকিৎসা ব্যয় বহন করা মোদি সরকারের যুগান্তকারি সিদ্ধান্ত। ডাক্তারি পড়ায় ইংরেজির বদলে আঞ্চলিক ভাষাকে গুরুত্ব দেওয়া এবং ব্যবস্থা করা হয়েছে। ডাক্তারি পড়তে হলেই ইংরেজি জানতে হবে কেন? দেশের গ্রামগুলিতে কয়টি ইংরেজি মাধ্যমে স্কুল রয়েছে? কংগ্রেস দল শুধু মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণের কথা মুখেই বলে গেছে। সংসদে তৎকালীন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী শুধু মুখে মুখেই মহিলাদের অধিকারের কথা বলে গেছেন।কাজের কাজ কিছুই করেননি। প্রধানমন্ত্রী মোদিই দেশের মহিলাদের অধিকার দিয়েছেন। ৩৩% মহিলা সংরক্ষণ মোদিই করেছেন।মোদি মুখে যা বলে বাস্তবে তা করেও দেখায়।
কৃষকদের জন্য গোটা বিশ্বের মধ্যে সব থেকে বড় যোজনা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।কিষান সম্মান নিধি তার প্রকৃত উদাহরণ।কৃষকদের জন্য এবারের বাজেটে তিনটি ইউরিয়া প্ল্যান্ট গড়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে একটি হবে নর্থ ইস্টের রাজ্য আসামে। উড়ান স্কিম দেশের এবং নর্থ ইস্টের রাজ্যগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও উন্নত ও মজবুত করেছে। বিপ্লব বলেন, আগে আগরতলা থেকে দিল্লী সরাসরি কোনও বিমান চলাচল ছিলো না। এখনো দুটি বিমান দিল্লী- আগরতলা সরাসরি চলাচল করে।২০১৭-১৮ সালে ত্রিপুরায় মাথাপিছু আয় ছিল এক লাখ টাকা। এখন সেটা বেড়ে হয়েছে এক লাখ সাতাত্তর হাজার টাকা।এটাই নর্থ ইস্টের উন্নয়ন। ডোনার মন্ত্রণালয় হয়েছে বিজেপি সরকারের আমলেই। অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকারের সময়। এর আগে হয়নি। উত্তর-পূর্বের উন্নয়নের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়েছে।
বিপ্লব বলেন, এ আই প্রযুক্তি আগামীদিনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। তাই প্রধানমন্ত্রী মোদি এই দিশাতে অনেক আগে থেকেই কাজ শুরু করে দিয়েছেন। এ আই সম্পর্কে দেশের যুব সমাজের কি জানার অধিকার নেই? যুবরাই তো দেশের আগামী ভবিষ্যৎ। প্রধানমন্ত্রী মোদি এ আই প্রযুক্তি ক্ষেত্রে দুই হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ রেখেছেন। শুধু তাই নয়, এ আই গবেষণার জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ছয় হাজার কোটি টাকা। বিপ্লব যখন এই সব তুলে ধরে বক্তব্য রাখছিলেন, তখন বিরোধী কংগ্রেস এবং তৃণমূলের সদস্যরা হৈ চৈ শুরু করে। অনেকে হাউজ ছেড়ে বেড়িয়ে যায়। তখন বিপ্লব বিরোধীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, দেশের কৃষক, যুবক, মহিলাদের কথা বললে বিরোধীরা, শুনতে চায় না। এতে তাদের কোনও ইন্টারেস্ট নেই। বিপ্লব বলেন, ডিজিটাল ইন্ডিয়া আজ গোটা বিশ্বে নজির স্থাপন করেছে। ডিজিটাল লেনদেন ভারত আজ বিশ্বে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।বিপ্লব বলেন, এই বাজেট নতুন ভারতের স্বপ্ন এবং ভবিষ্যতের আশা আকাঙক্ষা ।পূরণ করবে।