একজন শিক্ষক দিয়ে চলছে এডিসির স্কুল!
অনলাইন প্রতিনিধি :-এডিসি এলাকার বেহাল শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে পাল্লা দিয়ে রাজ্য সরকারের আওতাধীন উত্তর জেলার অধিকাংশ স্কুলে শিক্ষক সংকটে পঠনপাঠন লাটে উঠেছে। কঞ্চননপুর মহকুমার চল্লিশটি এডিসির সিনিয়র বেসিক স্কুলে মাত্র একজন শিক্ষক দিয়ে গোটা স্কুল চালানো হচ্ছে।অন্যদিকে রাজ্য সরকারের অধীনস্থ কাঞ্চনপুর মহকুমার সবকয়টি স্কুলেই শিক্ষক শিক্ষিকাদের স্বল্পতায় স্কুলগুলি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে।কাঞ্চনপুর মহকুমার তিনটি বিদ্যাজ্যোতি স্কুলেই পঠনপাঠন লাটে উঠেছে। স্কুলের পড়াশোনা স্বাভাবিক রাখতে যেখানে ন্যূনতম পঁচিশজন করে শিক্ষক শিক্ষিকার প্রয়োজন সেখানে আছে বারো থেকে পনেরো জন শিক্ষক-শিক্ষিকা। কোথাও কোথাও এর থেকে কম। ফলে অধিকাংশ স্কুলে শিক্ষক শিক্ষিকাদের ইউটিলাইজেশন অ্যাডজাস্টমেন্ট) করে স্কুলগুলির পঠনপাঠন সক্রিয় রাখতে চেষ্টা চালাচ্ছেন শিক্ষা অধিকর্তা এবং যুগ্ম অধিকর্তা।এখনও রাজ্যে বেশ কিছু স্কুলেই শিক্ষক শিক্ষিকা স্বল্পতায় স্কুলগুলির পঠনপাঠন ঠিকমতো হচ্ছে না।এইসব সমস্যার দিকে নজর না দিয়ে বিভিন্ন জেলার দপ্তরের ডেপুটি ডাইরেক্টর তাদের মর্জিমতো ইউটিলাইজেশন করে বা ডেপুটেশনের নামে শিক্ষক শিক্ষিকাদের বদলি করায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। দেখা যাচ্ছে এমন স্কুল আছে সেখানে শিক্ষক স্বল্পতা থাকা সত্বেও সেখান থেকে আরও এক- দুজন শিক্ষককে ডেপুটেশনের নামে সুবিধাজনক স্থানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু যেখান থেকে ডেপুটেশনের নামে বদলি করে নেওয়া হয়েছে এসব স্কুলে বিকল্প কাউকে না দেওয়ায় শিক্ষক-স্বল্পতায় পঠনপাঠন লাটে উঠার উপক্রম ওই স্কুলগুলিতে এই ধরনের প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন ধরে চলছে। এতে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর কার্যত সীমাহীন সমস্যার মধ্যে পড়েছে। তাছাড়া বর্তমান শিক্ষা অধিকর্তা এবং যুগ্ম অধিকর্তা যেভাবে শিক্ষা দপ্তরকে সাজিয়ে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে মডেল হিসেবে তুলে ধরার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন তাতে আঘাত করার জন্য একটা গোষ্ঠী গোটা দপ্তরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। যার ফলে বাধ্য হয়ে শিক্ষা অধিকর্তা সমস্ত ডিডিওদের ডেপুটেশনের নামে শিক্ষক শিক্ষিকাদের বদলি করার ক্ষমতা বাতিল করে দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এখন থেকে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে পঠন পাঠনে স্থিরতা আনার জন্য কোনও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। কাঞ্চনপুর মহকুমার বিদ্যাজ্যোতি স্কুলগুলির অবস্থা কার্যত শোচনীয়।