গোটা দেশ যখন স্বাধীনতার হীরকজয়ন্তী বর্ষ উদযাপন করছে , সেই ১৫ আগষ্ট স্বাধীনতা দিবসের রাতেই প্রান্তিক রাজ্য ত্রিপুরায় রচিত হলো এক কলঙ্কজনক অধ্যায় । খোদ রাজ্য পুলিশের সদর কার্যালয় থেকে অতি গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র সহ ১৬৫ টি ফাইল চুরি হয়ে গেছে । রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক থেকে শুরু করে পুলিশের প্রথম সারির প্রায় সব শীর্ষ অফিসার যে বাড়িতে বসে দিনরাত কাজ করেন , সেই বাড়ি থেকেই রাতের অন্ধকারে চোরের দল চুরি করে নিয়ে গেছে গুরুত্বপূর্ণ ফাইল ! এই একটি ঘটনা গোটা রাজ্যের নিরাপত্তা নিয়ে বড় ধরনের প্রশ্ন তুলে দিয়েছে । শুধু তাই নয় , ফাইল চুরির ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্যবাসীর চোখ কপালে উঠেছে । সব মহলে একই প্রশ্ন , কী করে এবং কীভাবে এতবড় ঘটনা সংঘটিত হলো ? এখানেই শেষ নয় , চোরের দল খোদ পুলিশ সদর কার্যালয়ে হানা দিয়ে আবার এতগুলি গুরুত্বপূর্ণ নথিসহ ফাইল নিয়ে নিরাপদে চলেও যেতে পেরেছে ! স্বাভাবিকভাবেই জনমনে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে , রাজ্য পুলিশ যেখানে নিজের প্রধান কার্যালয় পর্যন্ত সুরক্ষিত রাখতে পারছে না , সেখানে জনগণের নিরাপত্তা কীভাবে নিশ্চিত করবে ? না , এই বিষয়টিকে একেবারেই হাল্কা বা ছোট করে দেখার কোনও সুযোগ নেই । কারণ , এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে খোদ রাজ্য পুলিশের সদর কার্যালয়ে নিরাপত্তার কতটা ঘাটতি ও চূড়ান্ত গাফিলতি রয়েছে । স্মার্ট সিটিতে রাস্তায় রাস্তায় সিসি ক্যামেরা , পুলিশ সদর দপ্তরে একাধিক সিসি ক্যামেরা , কম করেও চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ জন পুলিশ ও টিএসআর জওয়ানের রাত – দিন চব্বিশ ঘন্টা পালা করে পাহারা চলে রাজ্য পুলিশের প্রধান কার্যালয়ে । এক কথায় হাই সিকিউরিটি জোন । এই হাই সিকিউরিটি জোনের মধ্যে , তাও পুলিশের সদর প্রধান কার্যালয়ে এমন দুঃসাহসিক কাণ্ড সংঘটিত হলো কী করে ? জনমনে প্রশ্ন এখানেই । যদিও ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর সাথে সাথেই তৎপর হয় পুলিশ । চুরি যাওয়ার চব্বিশ ঘন্টার মধ্যেই পশ্চিম থানার ওসি সুব্রত চক্রবর্তী এবং বটতলা ফাঁড়ির ওসি অভিজিৎ মণ্ডল অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার গভীর রাতে সেইসব নথি ও ফাইল উদ্ধার করে আপাতত পুলিশের মানসম্মান রক্ষা করেছেন । সেই সাথে এই দুঃসাহসিক ঘটনার সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে আটক করেছেন । কিন্তু এই দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় রাজ্য পুলিশের গায়ে যে কলঙ্কের দাগ লেগেছে , সেই দাগ কি এত সহজে মুছে যাবে ? সবথেকে বড় প্রশ্ন হচ্ছে , এই ঘটনার পেছনে কি অন্য কোনও রহস্য বা ষড়যন্ত্র রয়েছে ? যদি থেকে থাকে তাহলে এর পেছনে কে বা কারা ? চোরের দল যেভাবে হাই সিকিউরিটি জোনের মধ্যে থাকা খোদ পুলিশের সদর দপ্তরে ঢুকে গেছে এবং কাজ শেষ করে আবার নিরাপদে চলে গেছে তা কিন্তু রহস্যজনক । উদ্দেশ্য যদি চুরি করাই হয় তাহলে শুধুমাত্র ফাইল কেন ? চোর তো আরও মূল্যবান সামগ্রী কম্পিউটার , ল্যাপটপ ইত্যাদি নিয়ে যেতে পারতো । শুধুমাত্র কাগজপত্র , ফাইল চুরি করে তাদের কী লাভ হবে ? এইগুলি বিক্রি করে কত টাকা আয় হবে , যার জন্য এতবড় ঝুঁকি নিয়েছে ? তাছাড়া কাগজপত্র , ফাইল এগুলি কি চুরি করার সামগ্রী ? যদি না এর পেছনে বড় কোনও বদ উদ্দেশ্য ও চক্রান্ত না থাকে । ফলে পুলিশ সদর কার্যালয়ে সংঘটিত এই চুরিকে সাধারণ একটি চুরির ঘটনার তকমা দিয়ে বা হাল্কা করে দেখার কোনও সুযোগ নেই । এই ঘটনার উচ্চপর্যায়ের বিচারবিভাগীয় তদন্ত হওয়া জরুরি । ভিতর থেকে কারও সহযোগিতা না থাকলে খোদ পুলিশ সদর দপ্তরে ঢুকে চোরের দল শুধু ফাইল নিয়ে যাবে— এটা মোটেও বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে না । এর পিছনে গভীর কোনও চক্রান্ত ও পরিকল্পনা থাকার বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া যায় না । এমনই যদি হয় , তাহলে তো রাজ্য পুলিশের সদর দপ্তরে ঢুকে যে কেউই হামলা চালিয়ে নিরাপদে চলেও যেতে পারবে । বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর । তাই রাজ্যবাসীর মনে যেসব প্রশ্নের জন্ম হয়েছে , তার জবাব দেওয়ার দায়ও রাজ্য পুলিশের । যারা নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে পারে না , তারা কী করে সাধারণ মানুষের জীবনমান রক্ষা করবে ? এই কলঙ্কের দায় কিন্তু সারাজীবন রাজ্য পুলিশকে বয়ে বেড়াতে হবে । এমনটাই অভিমত রাজ্যবাসীর।
অনলাইন প্রতিনিধি :-বাংলায় চুনি, ইংরেজিতে রুবি।চুনির রং কতটা টকটকে লাল, তার উপর এই মানিকের দাম…
অনলাইন প্রতিনিধি :-চাঁদারজুলুম নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে তথাকথিত সুশাসনের রাজ্যে প্রশাসনের নির্লজ্জ দ্বিচারিতা প্রকাশ্যে এলো।…
কেন্দ্রে ১০০ দিন পূর্ণ করল তৃতীয় মোদি সরকার।যদিও বর্তমান ক্ষমতাসীন কেন্দ্রীয় সরকারকে মোদি সরকার আখ্যা…
নিগো বাণিজ্যের রমরমা চালানোর জন্যই কি ১৮ সালে রাজ্যের মানুষ বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছিলো?রাজ্যের আকাশ…
অনলাইন প্রতিনিধি :-এয়ারইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের কর্মীর চরম গাফিলতি ও উদাসীনতার কারণে রীতা বণিক (৫৯) বিমান যাত্রীর…
হরিয়ানা কি বিজেপির হাত থেকে ফসকে যাচ্ছে?শাসক বিজেপির হাবভাব দেখে তেমনটাই অনুমান করছে রাজনৈতিক মহল।প্রধানমন্ত্রী…