একসময়ের বর্জ্য ফেলার মাঠ পরিণত হল বৈদিক উদ্যানে।
নয়ডার সেক্টর ৭৮-এর এই মাঠটি একেবারেই অবহেলিত অবস্থায় পড়ে ছিল। বর্জ্যের স্তূপ জমে থাকত গোটা মাঠে। এবার সেখানেই বেদ-ভান নামের বিশেষ বৈদিক থিম উদ্যান তৈরি হল। এখানে এলে দর্শনার্থীরা ভারতবর্ষের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য এবং আধ্যাত্মিকতাকে অনুভব করতে পারবেন। বৈদিক সাহিত্যের ওপর নির্ভর করে এখানে ৫০ হাজার বৃক্ষ রোপণ করা হয়েছে। দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করতে বেদ ভানে শব্দ ও লেজার শো-এর আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া বৈদিক স্থাপত্য অনুযায়ী এখানে বিভিন্ন স্থাপত্য তুলে ধরা হয়েছে। সাম বেদ, ঋক বেদ, যজুর্বেদ এবং অথর্ববেদকে কেন্দ্র করে মোট ২৭ কোটি টাকা খরচে নয়ডায় এই বেদ ভান উদ্যানটি তৈরি করা হয়েছে। নয়ডা কর্তৃপক্ষের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, একটি বর্জ্য ফেলার মাঠকে এভাবে বৈদিক উদ্যানে পরিণত করার আগে এখানকার মাটিকে আগে উর্বর করা হয়েছে।এই প্রকল্পের নেতৃত্বে থাকা আধিকারিক বন্দনা শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, এই মাঠে যাতে বৃক্ষ রোপণ এবং নির্মাণ কাজ করা যায় তা নিশ্চিত করতে আগে এখানকার মাটিকে সেভাবে তৈরি করা হয়েছে। তারপরেই কাজ শুরু হয়। তিনি বলেন, ‘একসময়ের বর্জ্যের স্তূপে ভর্তি মাঠে এখন দেশের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, বিনোদন, ইতিহাস, প্রকৃতি এবং ধর্মীয় দিক, সব কিছু এক জায়গার মধ্যে পেয়ে যাবেন দর্শনার্থীরা।’বেদ ভানকে সাতটি জেলা জোনে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কাশ্যপ, ভরদ্বাজ, গৌতম, অত্রি, বশিষ্ট্য, বিশ্বামিত্র এবং অগস্ত।প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭ টা ৪৫ মিনিটে এখানে শব্দ এবং লেজার শো- এর আয়োজন করা হচ্ছে, বৈদিক যুগের নানা তথ্য তুলে ধরা হচ্ছে। সব মিলিয়ে এই উদ্যানে এক অন্য অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করছেন দর্শনার্থীরা।