অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যের
বিমান যাত্রীদের দুর্ভোগ ক্রমেই আরও চরমে উঠছে। কিন্তু বিমান যাত্রীদের দুর্ভোগ অবসানে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকার কারোর এদিকে নজর নেই।আর সেই কারণে বিমান সংস্থাগুলি যখনতখন আগরতলা সেক্টরে বিমান যেমন বাতিল করে দিচ্ছে,তেমনি গলাকাটা ভাড়া নিচ্ছে।এমনটাই অভিযোগ ক্ষুব্ধ বিমান যাত্রীদের।বৃহস্পতিবারও এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের সকালের বিমান বাতিল করা হয়।বিমান বাতিল করায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েন কলকাতাগামী বিএড পরীক্ষার্থী বহু ছাত্রছাত্রী এবং রোগীরা।বিমান বাতিলে আগরতলা এমবিবি বিমানবন্দরে আটক বিএড
পরীক্ষার্থীরা তাদের কলকাতায় পাঠানোর দাবিতে বিমানবন্দরে ধরনা- বিক্ষোভও করেছেন।
শুক্রবার কলকাতা ও আশপাশের বিভিন্ন কলেজে তাদের বিএড পরীক্ষা থাকায় আটকে পড়া পরীক্ষার্থীরা বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহার দৃষ্টি আকর্ষণ করে আবেদন জানান আজকেই তাদেরকে কলকাতায় পাঠানোর জন্য।কিন্তু দুর্ভাগ্য পরীক্ষার্থীদের,তাদের কাতর আবেদনে রাজ্য সরকার, প্রশাসন,বিমান সংস্থা কারো টনক নড়েনি।ফলে বিমান বাতিলে আটক, উদ্বিগ্ন পরীক্ষার্থীরা শুক্রবার কলকাতায় কী করে পরীক্ষায় বসবেন তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েন। বৃহস্পতিবার রাতে বাতিল বিমান সংস্থার এক সিনিয়র অফিসার জানান, শুক্রবার পরীক্ষার্থী ১০-১২ জনকে সকাল ৯টার বিমানে কলকাতায় পাঠানোর জন্য টিকিট বুকিং করে দেওয়া হয়েছে।কতজন পরীক্ষার্থী আটকে পড়েছেন সেই বিষয়ে সঠিকভাবে বিমান সংস্থায় তরফে না জানালেও বিমানবন্দর সূত্র জানিয়েছে ৩০-৩৫ জন পরীক্ষার্থী আটকে গেছেন।আটক পরীক্ষার্থীদের মধ্যে কোন কোন পরীক্ষার্থী ইন্ডিগোর ‘বিমানে ১৪ হাজার,১৫ হাজার টাকায় টিকিট কেটে বৃহস্পতিবারই কলকাতায় গেছে। সকালের বিমান বাতিলের পর এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বিকালের বিমান পুরো আসনের টিকিট বুকিং থাকায় ও ইন্ডিগোর অন্যান্য বিমানে চড়া, গলাকাটা ভাড়া সত্ত্বেও পুরো আসন টিকিট বুকিং থাকায় চেষ্টা করেও পরীক্ষার্থী,রোগী এবং জরুরি কাজে কেউ কলকাতায় যেতে পারেননি।বিএড পরীক্ষার্থীরা আটকে যাওয়ায় শুক্রবার সকাল ৯ টায় এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বিমানে কলকাতা পাঠানো হলেও কলকাতায় পৌঁছে সময়ের অভাবে কী করে পরীক্ষায় বসবেন তা নিয়ে পরীক্ষার্থীরা গভীর অনিশ্চয়তায় পড়েছেন। পরীক্ষার্থীরা বিমান বাতিলে আটকে পড়লেও দিনভর রাজ্য সরকার ও তার প্রশাসন এবং পরিবহণ দপ্তরের তরফে এই সঙ্কট মেটাতে এগিয়ে আসেনি বলে অভিযোগ।এদিকে বৃহস্পতিবার এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বিমান যে বাতিল করা হয়েছে তা বুধবারই অনেক রাতে বিমান সংস্থার তরফে ঘোষণা দেওয়া হয়। অনেক রাতে ঘোষণা দেওয়ায় ১৭৬ আসনের বিমানে বুকিং বহু যাত্রী মোবাইলে মেসেজ দেখেননি। আইএক্স ১৫৯১ সকাল ৯ টায় বিমান কলকাতায় রওয়ানা দেওয়ার সময় সূচি থাকায় খুব সকালেই বহু যাত্রী বিমানবন্দরে চলে আসেন।তার পরই জানতে পারেন তাদের বিমান বাতিল করা হয়েছে।কলকাতা থেকে আইএক্স ১৫৯০ আগরতলায় সকাল ৮ টা ২০ মিনিটে আসার কথা ছিল। বিমান বাতিলে কলকাতায়ও বিমানের ১৭৬ আসনের সব যাত্রী আটকে পড়েছেন। এদিকে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বিমান পরিষেবা আগরতলা সেক্টরে চালু হয়। আগরতলা- কলকাতার মধ্যে সকালের এই বোয়িং বিমানটি প্রতিদিন যাতায়াতের সূচি রয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস এই বিমানে টিকিট বুকিংও যাত্রীর কাছ থেকে যথারীতি নিচ্ছে।কিন্তু এই বিমানটি মাঝেমধ্যেই বাতিল করা হচ্ছে।আচমকাই বিমান বাতিল করায় আগরতলা- কলকাতা রুটের উভয়দিকে যাত্রীরা আটকে পড়েছেন। আটক যাত্রীরা চরম বিপাকে পড়ছেন।কিছু দিন আগে পর পর দু’দিন এই বিমানের উড়ান বাতিল করা হয়। এছাড়াও আরও কয়েকদিন বিমান বাতিল করা হয়েছে। কেন বিমান বাতিল করা হয়েছে সেই বিষয়ে বিমান সংস্থার একটাই বক্তব্য, টেকনিক্যাল রিজন। বৃহস্পতিবারও বিমান সংস্থার একই কথা, টেকনিক্যাল রিজনে বিমান বাতিল করা হয়। টেকনিক্যাল রিজনটা কী সেই বিষয়ে জানতে চাইলে বিমান সংস্থার তরফে বিস্তারিত জানানো হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের এই বিমান বাদে ইন্ডিগো, আকাশা এয়ারলাইন্সেরও দিনভর সব বিমান যথাসময়ে আগরতলায় আসে ও গন্তব্যস্থলে উড়ে যায়। কোন বিমান কুয়াশার জন্য বিমানবন্দরে উঠা নোমায় সমস্যা হয়নি। এই রুটে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বিকালের ১৭৬ আসনের বোয়িং বিমানটিও যথা সময়ে যাতায়াত করেছে। ফলে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে চালু এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের আগরতলা-কলকাতা রুটে যাতায়াতকারী ১৭৬ আসনের বোয়িং বিমানটি ক’দিন পর পর আচমকা বাতিল হওয়ায় যাত্রীরা প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। এদিকে আগরতলা-কলকাতা রুটের উভয়দিকে যাতায়াতে বিমান ভাড়া এখনও লাগামছড়া নিচ্ছে ইন্ডিগো ও এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস। আগরতলা থেকে শুক্রবার কলকাতায় যেতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যারা টিকিট নিয়েছেন ১৫হাজার টাকার উপর পড়েছে। যাত্রীভিড়ে কোন কোন বিমানে টিকিটও নেই। কলকাতা থেকে আসতেও একই অবস্থা। ১৪হাজার, ১৫ হাজার টাকার নিচে শুক্রবারের কোন বিমানে টিকিট মিলছে না। অস্বাভাবিক জুলুম ভাড়ায় টিকিট নিতে না পারায় আগরতলা ও কলকাতার উভয়দিকে বহু মানুষ আটকে রয়েছেন। টিকিটের আগুন মূল্যের দরুন জরুরি কাজেও বিমানে যাতায়াত করতে পারছেন না। আগরতলা থেকে কলকাতায় দূরত্ব আকাশপথে মাত্র ৩২৭ কিলোমিটার। বিমানে সময় লাগে ৪০-৪৫ মিনিট। এই স্বল্প দূরত্ব ও স্বল্প সময়ের বিমান জার্নিতে দেশের কোনও রুটে এতো আকাশছোঁয়া ও জুলুম ভাড়া নেওয়ার নজির নেই। শুধু ব্যতিক্রম আগরতলা-কলকাতা রুটে। বিমান সংস্থাগুলি দিনের পর দিন রাজ্যের অসহায় যাত্রীর কাছ থেকে গলাকাটা ভাড়া নিলেও কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকার রহস্যজনক ভাবেই নির্লিপ্ত, নির্বিকার, উদাসীন বলেই ক্ষুব্ধ যাত্রীর অভিযোগ।
অনলাইন প্রতিনিধি:- বাংলাদেশ থেকে কাঞ্চনপুর মহকুমার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে মিজোরামে যাওয়ার পথে মামিত জেলার…
অনলাইন প্রতিনিধি :- নিরাপত্তার কাজে নয়, টিএসআর জওয়ানদের খাটানো হচ্ছে আর্দালি হিসাবে। পুলিশ আধিকারিকদের ও…
অনলাইন প্রতিনিধি :- ইন্ডিগো আগরতলা- দিল্লী রুটের উভয় দিকে যাতায়াতে আরও একটি বিমান চালু করছে।…
দিল্লীর বিধানসভা ভোট নিয়ে সরগরম দিল্লী। দিল্লীতে এবার এক আঙ্গিকে বিধানসভা ভোট হচ্ছে। গত পরিস্থিতির…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরায় উৎপাদিত" অর্গানিক বার্ড আই চিলি " স্হানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ধানি…
২২জানুয়ারী,২০২৪।এক বছরের ব্যবুধানে ২০২৫ সালের ১৩ জানুয়ারি।গত বছরের মেগা ইভেন্টের আসর বসেছিল অযোধ্যায়। এবার মেগা…