এক নিমেষে ব্যথাহীন আত্মহত্যার যন্ত্র চালু হবে সুইৎজারল্যান্ডে!!

এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-ব্যথা-যন্ত্রণাহীন, যাকে বলে শান্তির মৃত্যু কি মৃত্যু আদৌ সম্ভব? তাও আবার আত্মহত্যা।এমনই এক আশ্চর্য যন্ত্র বছর পাঁচেক আগেই আবিষ্কার করে ফেলেছিলেন সুইৎজারল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা। সেই যন্ত্রের আইনি ছাড়পত্র জোটে আরও বছর দুয়েক বাদে।সেই যন্ত্রটির প্রয়োগকে এবার অনুমোদন দিয়েছে সুইস সরকার।এর ফলে,এক মিনিটেরও কম সময়ে ব্যথা-বেদনাহীন শান্তির মৃত্যু বেছে নিতে পারবেন স্বেচ্ছামৃত্যুর সরকারি অনুমতি পাওয়া কোনও সুইস নাগরিক।এ দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, চলতি বছর শেষের আগেই এই যন্ত্রের প্রথম ব্যবহার হতে চলেছে সুইৎজারল্যান্ডে।
এগঞ্জিট ইন্টারন্যাশনালের তৈরি গোলাকার কফিন আকৃতির যন্ত্রটির নাম ‘সারকো পড ক্যাপসুল’। ২০১৯ সালে যন্ত্রটির প্রাথমিক প্রোটোটাইপ তৈরি হয়।এর পর ২০২১ সালে ব্যবহারে আইনি ছাড়পত্র পায় সারকো পড।সব ঠিকঠাক চললে চলতি বছর শেষের আগেই এই যন্ত্রটি প্রথম বার ব্যবহার করা হতে পারে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে নির্মাণকারী সংস্থা।
আদতে ছোট ক্যাপসুলের মতো দেখতে এই যন্ত্রটি বহনযোগ্যও বটে।যেখানে প্রয়োজন, সেখানেই নিয়ে যাওয়া যাবে এই সারকো পড-কে।মূল মেশিন থেকে বিচ্ছিন্ন করলে একে দেখতে হবে খানিকটা কফিনের মতো।সেই কফিনে এক বার শুয়ে পড়লেই নিমেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বেন ব্যবহারকারী।যন্ত্রটিতে কৃত্রিম উপায়ে অক্সিজেন এবং কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা রয়েছে।কফিনে ঢুকে আত্মহত্যায় ইচ্ছুক ব্যক্তি একটি বোতাম টিপলেই নাইট্রোজেনে ভরে যাবে ক্যাপসুলটির অন্দর।এতে প্রথমে অক্সিজেন কমে আসায় অস্বস্তি বোধ করলেও ধীরে ধীরে জ্ঞান হারাবেন ওই ব্যক্তি।তবে কোনও আতঙ্ক বা দমবন্ধকর পরিস্থিতি গ্রাস করবে না তাকে।এর পর কিছু ক্ষণের মধ্যেই হাইপোক্সিয়া এবং হাইপোক্যাপনিয়ায় মারা যাবেন ওই ব্যক্তি।
এই যন্ত্র ব্যবহার করে আত্মহননে খরচ হবে মাত্র ১৮ সুইস ফ্রাঁ, যা ভারতীয় মুদ্রায় ১৬৭৩ টাকার কাছাকাছি। যদিও এই যন্ত্রের প্রথম ব্যবহারকারী কে হতে চলেছেন, সে বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি সংস্থা। ঘটনাটি না ঘটা পর্যন্ত এ বিষয়ে বিশদে মুখ খুলতেও নারাজ তারা।প্রাথমিক ভাবে সারকো পড ব্যবহারের জন্য ন্যূনতম বয়ঃসীমা ৫০ নির্ধারণ করা হয়েছে।শুনতে অবাক লাগলেও সুইৎজারল্যান্ডে আত্মহত্যার অধিকার রয়েছে নাগরিকদের।পরিসংখ্যান বলছে, সুইৎজারল্যান্ডে আত্মহত্যার ঘটনা প্রায়শই ঘটে। সেখানে আত্মহত্যায় সহায়তা করাও আইনত বৈধ। শুধুমাত্র ২০২০ সালেই ১৩০০ ব্যক্তিকে আত্মহত্যায় সহায়তা করা হয়েছিল।যদিও ভারতে স্বেচ্ছামৃত্যু, আত্মহত্যায় সহায়তা কিংবা ইউথেনেশিয়ার মতো বিষয়গুলি এখনও আইনত
অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়।

Dainik Digital

Share
Published by
Dainik Digital

Recent Posts

বিভৎস ট্রেন দুর্ঘটনা, ছিটকে গেল চলন্ত তিনটি মালগাড়ির কামরা!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-ফের লাইনচ্যুত ট্রেন। ছিটকে গেছে তিনটি কামড়া। ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার তিতলাগড় স্টেশনের কাছে।…

13 hours ago

চিনে আবার নতুন করে কোভিড নাইটিন!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-প্রথম সংক্রমণের ৫ বছরের রেষ কাটতে না কাটতেই নতুন করে চিনে খোঁজ মিলেছে…

17 hours ago

দিল্লিতে বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহ!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-গত ৫ আগস্ট হাসিনা জামানার পতনের পর বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কে ফাটল দেখা দেয়। তবে…

17 hours ago

মরিশাসের জাতীয় দিবসে প্রধান অতিথির মুখ নরেন্দ্র মোদী!!

শুক্রবার মরিশাসের সংসদে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন আসন্ন ন্যাশনাল ডে বা জাতীয় দিবসের উদযাপনে প্রধান অতিথি…

20 hours ago

ধন্যবাদার্হ!!

কোনও চাওয়া যখন পথের থেকে বেশি সংখ্যায় পথবন্ধক তৈরি করে, তাকে পরিত্যাগ করাই বিধেয়। কারণ…

20 hours ago

নয়া জঙ্গি তৎপরতার উপর নজর রাখছে পুলিশ :ডিজিপি!!

অনলাইন প্রতিনিধি:- নারী নির্যাতন কিংবা মহিলা সংক্রান্ত অপরাধের সংখ্যা রাজ্যে উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। পাশাপাশি…

22 hours ago