অনলাইন প্রতিনিধি :-মাত্র একদিন আগেই রাজ্যের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ খোলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী রতনলাল নাথ।সেখানে তিনি স্পষ্টভাবে জানান, রাজ্যের মাত্র ৪১ শতাংশ মানুষ বিদ্যুতের বিল সময়মতো পরিশোধ করেন। বাকি ৫৯ শতাংশ গ্রাহক নিয়মিত বিল না দেওয়ার কারণে রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম আর্থিক সংকটে পড়েছে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, রাজ্য সরকারের সহায়তা ছাড়া বিদ্যুৎ নিগমের পক্ষে পরিষেবা বজায় রাখা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এই প্রেক্ষাপটে বিদ্যুৎমন্ত্রী আপামর জনগণের কাছে আবেদন জানান- সময়মতো বিদ্যুৎ বিল মিটিয়ে দেওয়া হোক, যাতে পরিষেবা স্বাভাবিক রাখা যায়।
এই মন্তব্যের একদিন পরেই কার্যত এক দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ নিল ত্রিপুরা স্টেট ইলেকট্রিসিটি কর্পোরেশন লিমিটেড। টানা এক বছর ধরে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করায় ধর্মনগর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে বিদ্যুৎ নিগম। নিগমের ধর্মনগর বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় এক বছর ধরে এই অ্যাসোসিয়েশন বিদ্যুৎ বিল জমা দিচ্ছে না।বর্তমানে তাদের বকেয়া বিলের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা।
নিগমের কর্মকর্তারা জানান, অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের একাধিকবার মৌখিকভাবে অনুরোধ করা হয়েছে। এমনকী লিখিত নোটিশও পাঠানো হয়েছে একাধিকবার। তবুও কর্তৃপক্ষ কোন সাড়া দেয়নি, এমনকী নোটিশের জবাবও দেয়নি। ফলে নিরুপায় হয়ে নিয়ম মেনেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে বাধ্য হয়েছে বিদ্যুৎ নিগম।
এ বিষয়ে নিগমের এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা কোনওভাবেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে চাই না। কিন্তু সংস্থা যদি বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও বিল না মেটায়, তাহলে শেষ পর্যন্ত এই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়। তিনি আরও বলেন, সময়মতো বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করলে সকলেরই সুবিধা হয়। পরিষেবাও স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হয়।তাই সবাইকে আমরা অনুরোধ করছি, দয়া করে বিদ্যুৎ বিল নিয়মিত পরিশোধ করুন।
এই ঘটনার পর জনমানসে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, বিদ্যুৎ নিগমের এই পদক্ষেপ অত্যন্ত ন্যায়সঙ্গত এবং সময় উপযোগী, কারণ সরকারী বা বেসরকারী হোক- কোন প্রতিষ্ঠানকেই নিয়ম লঙ্ঘনের সুযোগ দেওয়া উচিত নয়। একই সঙ্গে এটা মনে করিয়ে দিচ্ছে, সরকারের বারবার অনুরোধ যদি আমল না পায়, তাহলে কঠোর পদক্ষেপ অনিবার্য।
উল্লেখযোগ্যভাবে, বিদ্যুৎমন্ত্রী রতনলাল নাথ বিদ্যুৎ নিগমের আর্থিক সংকটের কথা তুলে ধরে বলেছিলেন, বিদ্যুৎ নিগম রাজ্য সরকারের সহায়তা না পেলে পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার ক্ষেত্রে হুমড়ি খেয়ে পড়তো। আর এটা বুঝে ওঠা আমাদের সকলের দায়িত্ব যে পরিষেবা সচল রাখতে হলে নাগরিকদেরই সচেতন হতে হবে।
এই প্রেক্ষিতে ধর্মনগর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া একটি বার্তা – যেখানে সবার জন্য এক নীতির প্রয়োগ হচ্ছে।
এখন দেখার বিষয়, এই ঘটনাকে নজির হিসেবে ধরে রাজ্যের অন্যান্য বকেয়াদার গ্রাহকরা কীভাবে সাড়া দেন। বিদ্যুৎ পরিষেবা সচল রাখতে হলে সকলেরই সচেতন অংশগ্রহণ যে আবশ্যক- এই বাস্তবতাই আরও একবার ওঠে এলো রাজ্যবাসীর সামনে।
অনলাইন প্রতিনিধি :-একদিকে আর্থিক সংকট অপরদিকে শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় রেকর্ড ফলাফল…
অনলাইন প্রতিনিধি :এবছর কমলপুর দ্বাদশ শ্রেণি বিদ্যালয় থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে ৩৮০ নম্বর…
বিয়ের ছয়দিনের মাথায়, মধুচন্দ্রিমা যাপনে গিয়ে চোখের সামনে জঙ্গিদের বুলেটে স্বামীকে হারানো স্ত্রীর বুকফাটা কান্না…
দৈনিক সংবাদ অনলাইন :-বর্তমানে সারা বিশ্বের প্রতিদিনে খাদ্য তালিকা খাদ্যের আঁশের ওপর বেশ জোর দেওয়া…
অনলাইন প্রতিনিধি :-মু 'খের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রতি মনোযোগ না দেওয়া এবং অতিরিক্ত পরিমাণে মিষ্টি খাবার বা…
অনলাইন প্রতিনিধি :-জনগণের দাবিবর্তমান পরিস্থিতিতে কৈলাসহর বিমানবন্দর চালু অতি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। একদিকে যেখানে ভারতের…