রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারী মাসে করার উদ্যোগ!!
এখন থেকে গুঁড়ামশলাও মিলবে রেশনশপে: সুশান্ত
দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি || সরকারী বিভিন্ন ন্যায্য মূল্যের দোকানগুলিতে এখন থেকে মিলবে রান্নার যাবতীয় গুঁড়ামশলাও।রবিবার খাদ্য ও জনসংভরণ দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী একথা জানান। তিনি বলেন, মশুর ডালের পর এখন থেকে সরকারী বিভিন্ন ন্যায্য মূলের দোকানগুলিতে ধনে, জিরে থেকে শুরু করে হলুদ এবং মরিচ মিলে মোট চার ধরনের মশলাদি মিলবে। তার কথায় আগামী দিনে সরিষার তেল থেকে শুরু করে রান্নার আনুষঙ্গিক অন্যান্য উপকরণগুলিকেও ভোক্তাদের কাছে ন্যায্য মূল্যে পৌঁছে দেওয়ার কথা ভাবছে সরকার।খাদ্য ও জনসংভরণ দপ্তরের উদ্যোগে এদিন গোর্খাবস্তিস্থিত খাদ্য ও জনসংভরণ দপ্তরের কনফারেন্স হলে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কী করে বিভিন্ন অংশের ভোক্তারা আরও বেশি করে সুবিধা পেতে পারেন এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। আলোচনা শেষে মন্ত্রী বলেন, রেশনশপের মাধ্যমে এই সুযোগ প্রদানের ফলে এখন থেকে এপিএল,বিপিএল থেকে শুরু করে সব ধরনের রেশনকার্ডের মোট ৯ লাখ ভোক্তা এ থেকে উপকৃত হবেন।বৈঠকে দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সচিব রাভেল হেমেন্দ্রকুমার, অধিকর্তা নিৰ্মল অধিকারী, উপ-অধিকর্তা অনিমেষ দেববর্মা, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য এবং আরও অনেকে। ত্রিপুরা সরকারী ন্যায্য মূল্য দোকান পরিচালন সমিতির সভাপতি উত্তম কুমার ঘোষ সহ বিভিন্ন রেশনশপের ডিলাররাও উপস্থিত ছিলেন।মন্ত্রী বলেন, গণবন্টন ব্যবস্থাকে আরও বেশি করে শক্তিশালী করার ব্যাপারে ২০১৮ সালের পর থেকেই প্রচেষ্টা চালিয়ে যায় সরকার। মূলত ভারতীয় জনতা পার্টি সরকার রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত হবার পর নবগঠিত সরকারের মূল লক্ষ্যই ছিল যাতে এই গণবন্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে আরও বেশি করে সুবিধা প্রদান করা যায় রাজ্যের বিভিন্ন অংশের জনগণকে।এরপরই নতুন করে এই রেশনশপের মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে ভোক্তাদের কাছে অন্যান্য জিনিসগুলির পাশাপাশি মশুর ডালকেওপৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।মানুষ সেই অনুযায়ী বিগত দিনগুলিতে চাল,চিনি,আটা,লবণ, কেরোসিনের পাশাপাশি মশুর ডালও পায় ন্যায্যমূল্যে। তিনি বলেন, এখন থেকে এই সবক’টি জিনিসের পাশাপাশি নতুন করে জুড়ে দেওয়া হলো মোট চার ধরনের গুঁড়ামশলা।আগামী দিনে সরিষার তেলকেও কীভাবে ন্যায্যমূল্যে পৌঁছে দেওয়া যায় ভোক্তাদের কাছে তাও ভেবে দেখা হচ্ছে বলে তিনি জানান।মন্ত্রী জানান,আগামী ১৬ মে এ উপলক্ষে আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের সূচনা করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা। অনুষ্ঠানের অঙ্গ হিসাবে রাজ্যের মোট আট জেলা থেকে আগত আটজন ভোক্তার হাতে এদিন প্যাকেটজাত গুঁড়ামশলা তুলে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। খাদ্যমন্ত্রী এ দিন আরও বলেন, মানুষকে যাতে অতিরিক্ত দাম দিয়ে খোলাবাজার থেকে তা কিনতে না হয়,সেই ব্যবস্থাই করবে সরকার।মশলা প্রদানের অনুষ্ঠানিক সূচনা পর্বের অনুষ্ঠানে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মোট ২,০৫০টি রেশনের বিভিন্ন ডিলার এবং অন্যরাও উপস্থিত থাকবেন।অনুষ্ঠানে আলোচনাচক্র এবং মতবিনিময় সভার মধ্য দিয়ে কার্যত তাদের কাছ থেকেই বিভিন্ন মতামতের ভিত্তিতে গণবন্টন ব্যবস্থাকে আগামী দিনে আরও বেশি করে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়া হবে ।