দ্বিতীয়দিন ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হলো হাজারো দর্শক-শ্রোতা!!
এটাই তো জীবন!!!

দৈনিক সংবাদ অনলাইন।। কথায় আছে, ছবি কথা বলে। কোনটা বাস্তব কোনটা অবাস্তব,কোনটা সত্য কোনটা অসত্য, সব কিছু বলে দেয় ছবি। ফলে চারদিকে উন্নয়নের জোয়ার বইছে বলে ঢাক ঢোল বাজিয়ে প্রচার করা হলেও ছবি বলছে রাজ্যের পাহাড়ের অধিকাংশ এলাকায় বসবাসকারী জনজাতিদের ভাগ্য একটুকুও পাল্টায় নি। এক ফোঁটা পানীয়জলের জন্য তাদের যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হচ্ছে। এটাই বাস্তব ঘটনা।

কেন্দ্রীয় সরকার এবং বর্তমান রাজ্য সরকার বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা নিরসনের জন্য প্রধানমন্ত্রী অটল জলধারা মিশন প্রকল্প হাতে নিলেও, রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকার বাস্তব চিত্র কিন্তু অন্য কথা বলছে। এমনই এক বাস্তবতা উঠে এলো মুঙ্গিয়াকামি আরডি ব্লক এর অধীন আঠারমুরা এডিসি ভিলেজের ৪৭ মাইল এলাকার মনিজয় রিয়াং পাড়াতে। এলাকায় অধিকাংশই রিয়াং সম্প্রদায়ের জনজাতিদের বসবাস। দশকের পর দশক ধরে এলাকার জনজাতি পরিবারগুলো পানীয় জলের সমস্যায় জর্জরিত।

কিন্তু এই সমস্যা সমাধানের জন্য ডান,বাম,রাম কোনও সরকারই কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। অভিযোগ, দীর্ঘ বছর ধরে চলে আসা পানীয় জলের সমস্যা নিরসনের ব্যাপারে একাধিকবার এলাকার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে বিভিন্ন নেতা এবং প্রশাসনিক বিভিন্ন আধিকারিক কে জানানো হলেও, প্রতিশ্রুতি ছাড়া কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই বেঁচে থাকার জন্য ছড়া ও পাহাড়ের ঝর্না এবং পাহাড় চুয়ে পড়া অপরিশোধিত জলই তাদের একমাত্র ভরসা। সেই জলও পাওয়া যায় না সবসময়। এই দুর্বিষহ জীবন যন্ত্রণা থেকে কবে তাড়া মুক্তি পাবেন কেউ জানেনা। তারপরও আশা নিয়ে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন, একদিন হয়তো দিন পাল্টাবে।