এডিসির উন্নয়নে দেশের সরকার আমাদের সাথে একমত : প্রদ্যোত!!

 এডিসির উন্নয়নে দেশের সরকার আমাদের সাথে একমত : প্রদ্যোত!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যে
এডিসির মান উন্নয়নে সরাসরি অর্থ প্রদানের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে তিপ্রা মথার ত্রিপাক্ষিক চুক্তির বৈঠকের মাধ্যমে এই পথেই আরও একধাপ এগিয়ে গেলেন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিরা।বুধবার নয়াদিল্লীতে কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে ত্রিপুরার উপজাতি জনসমাজের আর্থ সামাজিক অধিকার রক্ষায় ত্রিপাক্ষিক চুক্তির দ্বিতীয় বৈঠক সম্পন্ন হলো।রাজ্যের ইতিহাসে এই প্রথম ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদের প্রতিনিধিদের সাথেও সরাসরি বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় সরকার।গত দুই মার্চ দিল্লীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পৌরোহিত্যে তিপ্রা মথার সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মাএর নেতৃত্বে তিপ্রা মথার সাথে বহুচর্চিত ত্রিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও ওই সময়ে এই চুক্তি ঘিরে রাজনৈতিক মহলে নানা সংশয় ছড়িয়ে পড়ে। তবে গত ২০ সেপ্টেম্বর ত্রিপাক্ষিক চুক্তির প্রথম বৈঠক এবং আজ দ্বিতীয় বৈঠকের পর সংশয় আর থাকছে না।
বুধবার দিল্লীতে ত্রিপাক্ষিক চুক্তির বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় বিষয়ের উপদেষ্টা এ কে মিশ্র, তিপ্রা মথার সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ, মথার সভাপতি বিজয় কুমার রাঙ্খল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের আধিকারিকরা বুধবার এডিসি প্রশাসনের সাথেও ত্রিপাক্ষিক চুক্তি নিয়ে পৃথকভাবে বৈঠক করেছেন দিল্লীতে।আগামী জানুয়ারী মাসে ত্রিপাক্ষিক চুক্তির তৃতীয় পর্যায়ের বৈঠক হবে।
তিপ্রা মথার সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ বলেন, ত্রিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী এডিসিকে সরাসরি অর্থ প্রদান করবে কেন্দ্রীয় সরকার।রাজ্যের একটি অংশের প্রচার ছিল ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদকে সরাসরি অর্থ প্রদান সম্ভব হবে না। তবে এখন ত্রিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে আমরা সব অধিকার ফিরে পাবো এবং আগামীদিনে এডিসিকে সরাসরি অর্থও প্রদান করবে কেন্দ্রীয় সরকার।তবে এর জন্যে আমাদের আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হতে পারে।তিনি বলেন, ট্রাইবেল মানুষকে তাদের ভাষার অধিকার, ভূমির অধিকার, আর্থ সামাজিক অধিকার, শিক্ষার অধিকার, অন্ন বস্ত্র বাসস্থানের অধিকার প্রদান করতে হবে ত্রিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে।১২৫তম সংবিধান সংশোধনী বিলে অনুমোদন প্রদান হবে। আর্টিকেল ২৩-তে অনুমোদন প্রদান ও ত্রিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুমোদন করতে হবে। এটাই হলো সাংবিধানিক সমাধান। এখন এই পথেই যাচ্ছি আমরা।
তিপ্রা মথার সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ ত্রিপাক্ষিক চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায়ের বৈঠকের পর যারা ত্রিপাক্ষিক চুক্তি নিয়ে মিথ্যাচারে ব্যস্ত ছিলেন। তারা এখন হতাশ। রাজ্যের এই অতি ক্ষুদ্র অংশটি বর্তমানে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি ঘিরে বাঙালি জনসমাজকে বিভ্রান্তি করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, ত্রিপাক্ষিক চুক্তির জন্য বাঙালি জনসমাজের কোনও সমস্যা হবে না। এই সত্যটা রাজ্যবাসী বুঝে গিয়েছেন। এরপরও রাজ্যবাসীকে তিনি সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ বলেন, ত্রিপুরা বিধানসভায় ২৬টি আসন সংরক্ষিত করার লক্ষ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি হয়েছে। এরমধ্যে একটি আসন সংরক্ষিত থাকবে মণিপুরী জনসমাজের জন্য। আর বাকি ২৫টি আসন থাকবে উপজাতি জনসমাজের জন্য সংরক্ষিত।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালে ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের আগেই রাজ্যের ৬০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ২৫টি আসন রাজ্যের উপজাতি জনসমাজের জন্য সংরক্ষিত করতে হবে।তবেই আমাদের সমস্যার নিরসন হবে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.