এনইসি ফান্ডে অর্থ বৃদ্ধির দাবি মুখ্যমন্ত্রীর!!

 এনইসি ফান্ডে অর্থ বৃদ্ধির দাবি মুখ্যমন্ত্রীর!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যের জন্য এনইসি ফান্ডেরঅর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধি করার অনুরোধ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা।

শুক্রবার শিলংয়ে স্টেট কনভেনশন সেন্টারে উত্তর পূর্বাঞ্চল পর্ষদের ৭১তম প্ল্যানারি অধিবেশনে তিনি এই দাবি রেখেছেন।সেই সাথে অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজকে এইমসের মতো প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা দিতে,ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদ এলাকায় মেডিকেল কলেজ স্থাপন, শিল্পক্ষেত্রের জন্য প্রাকৃতিক গ্যাসের বরাদ্দ বৃদ্ধি,আগরতলা-কক্সবাজারর মধ্যে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালু,বিদেশি আর্থিক সহায়তায় রূপায়িত প্রকল্পগুলির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আর্থিক সহায়তার পরিমাণ তুলে দিতে ও বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্যিক লেনদেনে বিভিন্ন বিধিনিষেধ তুলে দিতে অনুরোধ জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে ড্রোননির্ভর রিমোট সেন্সিং ডাটা সংগ্রহ হাব স্থাপনেরও প্রস্তাব রাখেন অধিবেশনে।

প্ল্যানারি অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন উত্তর পূর্বাঞ্চলের আটটি রাজ্যের রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রীগণ,উত্তর পূর্বাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী (ডোনার) জি কিষান রেড্ডি,ডোনারের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বি এল বর্মা এবং সংশ্লিষ্ট উচ্চপদস্থ আধিকারিকগণ।অধিবেশনে উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন সুবিধা ও সমস্যা,এনইসি, ডোনার ও ভারত সরকারের পক্ষ থেকে নীতিগত করণীয় ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়।মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরা রাজ্যের উন্নয়নে বিশেষ নজর দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ধন্যবাদ জানান।অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী ডা. সাহা বলেন, ত্রিপুরাতে নর্থ ইস্টার্ন স্পেস অ্যাপ্লিকেশনস সেন্টার (এনইএসএসি) কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী ২১টি প্রকল্প হাতে নিয়েছে।ত্রিপুরা স্পেস অ্যাপ্লিকেশনসের সহায়তায় তার মধ্যে আটটি প্রকল্প ইতিমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে।এই আটটি প্রকল্পের মধ্যে বনাধিকার আইনের অন্তর্গত জমির সমীক্ষার সুবিধার্থে মোবাইল অ্যাপ ও ড্যাশবোর্ড চালু করা,বন্যা ও বজ্রপাত সম্পর্কে আগাম সতর্কতা জারি,সংরক্ষিত বন এলাকায় ফাঁকা এলাকা চিহ্নিতকরণ ইত্যাদি – উল্লেখযোগ্য।মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এ সমস্ত কর্মসূচি রূপায়ণের ফলে ত্রিপুরায় ইতিমধ্যে সুফল পাওয়া যাচ্ছে।তাছাড়া ধান ও ভুট্টা উৎপাদনে একরভিত্তিক পরিমাণ নির্ধারণ, বিভিন্ন উদ্যানজাত ফসলের জন্য সম্ভাব্য চাষের এলাকা চিহ্নিতকরণ,আগর চাষের সম্প্রসারণের লক্ষ্যে চাষের আওতাভুক্ত এলাকা চিহ্নিতকরণ ইত্যাদি চলতি প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ত্রিপুরায় উদ্যানজাত ফসল, কৃষি, আগর ও বিপর্যয় ব্যবস্থাপনার উন্নতির ক্ষেত্রে মূল্যবান তথ্য পাওয়া যাবে। তাছাড়া সরকারী জমি বেআইনিভাবে দখল হওয়ার উপর নজরদারি রাখতে ও সতর্কতা জারি করতে সমস্ত সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলির কাজে সহায়ক ভূমিকা নেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে একটি ড্রোননির্ভর রিমোট সেন্সিং ডাটা সংগ্রহ হাব স্থাপনের প্রস্তাব দেন।অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী ডা. সাহা বায়ো-ইথানল প্ল্যান্ট স্থাপন, আয়ুর্বেদ কলেজ, হোমিওপ্যাথি কলেজ স্থাপনের প্রস্তাবও দিয়েছেন। তিনি নেতাজী সুভাষ আঞ্চলিক কোচিং সেন্টারকে জাতীয় জিমনাস্ট অ্যাকাডেমি হিসেবে ঘোষণা করারও অনুরোধ করেছিলেন।ডা. সাহা উদয়পুর এবং ধর্মনগরকে স্মার্ট সিটি মিশনের আওতায় আনার অনুরোধ করেছেন এবং আগরতলা থেকে পুরী, জম্মু এবং গুয়াহাটি পর্যন্ত ট্রেনের দাবি জানিয়েছেন।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.