অনলাইন প্রতিনিধি :-চরম সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় দুই দশক পেরিয়ে আজ কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে রাজ্যে। এর জন্য অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য রাজ্য পুলিশ সহ কেন্দ্রীয় স্তরের আরক্ষা বাহিনীর জওয়ানদের ভূমিকা। এক সময় রাজ্যের বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় বৈরী গোষ্ঠীর আস্ফালন স্মরণাতীত আজকের প্রজন্মের কাছে।
কিন্তু এরই মাঝে ইদানীং পুলিশ এবং বিভিন্ন কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে বিভিন্ন বৈরী গোষ্ঠীর ক্যাডারদের আত্মসমর্পণে জনমণে সৃষ্টি হচ্ছে আলোড়ন। সোমবার সন্ত্রাসের পথ ছেড়ে জীবনের মূল স্রোতে ফিরে আসতে রাজধানীর ত্রিপুরা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের মুখ্য কার্যালয়ে গোয়েন্দা শাখার ডিআইজিপি কৃষ্ণেন্দু চক্রবর্তীর কাছে বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র সহ আত্মসমর্পণ করে পাঁচজন এনএলএফটি (পিডি) গ্রুপের বৈরী। মূলত রক্তপাতের পথ পরিত্যাগ করে বাংলাদেশের গোপন আস্তানা থেকে ভারতের দিকে পাড়ি জমায় তারা। এদিন আত্মসমর্পণকারী বৈরীদের নাম উত্তর ত্রিপুরা জেলার বাগিচন্দ্র পাড়ার আনন্দবাজার থানাধীন এলাকার নেতাজয় রিয়াং উরফে নয়সিং (৩৩), একই জেলার খেদাছড়া থানার অন্তর্গত মনাছড়া এলাকার মহনদা রিয়াং উরফে সালথাং (৩৬), আনন্দবাজার থানা অন্তর্গত খাশিথাই পাড়া এলাকার সুকুমার রিয়াং উরফে সিনাই (২৭), কিরণজিৎ রিয়াং উরফে বেরেম (২০) এবং মানিকরাই পাড়ার বিষ্ণুরাম রিয়াং উরফে বাইকং (২৭)। তাদের কাছে আটক হয় একটি চাইনিজ পিস্তল, দুটি চাইনিজ তৈরি রাইফেল সহ সতেরোটি লাইভ রাউন্ড। এছাড়াও উদ্ধার হয় দশটি ৭০ এমএম শর্ট গানের শেল, চার্জিং পোর্ট সহ ওয়াকিটকি, ৭৭০ বাংলাদেশি মুদ্রা, দুটি বাংলাদেশি মোবাইল সিম কার্ড এবং বিভিন্ন চাঁদাবাজির নোটিশ, চাঁদাবাজির রসিদ। এদিকে, লংতরাইভ্যালি মহকুমার ছামনু এবং মানিকপুর এলাকায় তিন এনএলএফটি (বি) গোষ্ঠীর বৈরী আত্মসমর্পণ করে বিএসএফের ১২৬ নং বাহিনীর নিকট। আটককৃতদের নাম মানিকপুর রোয়াজা থানা এলাকার অনিরঞ্জন ত্রিপুরা (২৮) এবং ছামনু থানা অন্তর্গত থালছরা এলাকার চিন্তাজয় ত্রিপুরা (২৮) এবং রাবণজয় ত্রিপুরা (৩৮)।
এদিন সকালে ইন্দো বাংলা সীমান্তে গোবিন্দবাড়ি দিয়ে বাংলাদেশের এনএলএফটির গোপন আস্তানা থেকে পালিয়ে এলে, বিএসএফের ১২৬ বাহিনীর সেক্টর কমান্ডার পবনজিৎ সিং, ইউনিট কমান্ডার নারেন্দিশ কুমার এবং ডেপুটি কমান্ডেন্ট তেলিয়ামুড়া নিজেদের হেফাজতে নেন তাদের। পরে ওই দুপুরে ছামনু থানার হাতে হস্তান্তর করা হয় তাদের। বর্তমানে ছামনু এবং মানিকপুর থানার আধিকারিকরা যৌথভাবে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছেন তাদের বলে জানান, ছামনু থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক রাজু দত্ত।
এদিকে গোয়েন্দা শাখা সূত্রে জানা যায়, বিগত বছরের জানুয়ারী থেকেই বিপুল সংখ্যক এনএলএফটি ক্যাডার আত্মসমর্পণ করেছে নিরাপত্তাবাহিনীর কাছে। এনএলএফটির ছাব্বিশজন সক্রিয় সদস্য ত্রিপুরা পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে এ যাবৎ। এছাড়াও ত্রিপুরা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে আট এনএলএফটি ক্যাডারকেও। রাজ্যকে সন্ত্রাসমুক্ত রাখতে আগামীতেও জারি থাকবে এহেন অভিযান বলে জানানো হয় এদিন।
অনলাইন প্রতিনিধি :-শুক্রবার রাতভর ইউক্রেনের একাধিক শহরে ৪০০-র বেশি ড্রোন এবং অন্তত ৪০ মিসাইলের মাধ্যমে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ফের একবার জুন মাসে রাজ্য সফরে আসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । সূত্রের…
অনলাইন প্রতিনিধি :-কর্নাটকের শিবমোগা জেলার সমাজকর্মী এএম বেঙ্কটেশ ভারতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক বিরাট কোহলির বিরুদ্ধে অভিযোগ…
অনলাইন প্রতিনিধি :-কেদারনাথ যাওয়ার পথে ঘটল বিপত্তি। ছয়জন পুণ্যার্থী নিয়ে কেদারনাথ যাওয়ার পথে রাজপথেই জরুরি…
অনলাইন প্রতিনিধি :-পবিত্র ঈদুল আজহার দিনেও থেমে থাকল না গাজার মৃত্যমিছিল। স্থানীয় চিকিৎসা সূত্রের দাবী,…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে পবিত্র ঈদুল আজহারে তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। একটি বন্দিদের জন্য…