ঝাড়খণ্ডে জমি দুর্নীতি সংক্রান্ত বেআইনি আর্থিক লেনদেনের ঘটনায় সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে, মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার ছেড়ে জেলে যেতে হয়েছিল হেমন্ত সোরেনকে।এই নিয়ে ঝাড়খণ্ডের রাজনীতি এবং জাতীয় রাজনীতিতে বিস্তর জল ঘোলা হয়েছে।দেশে লোকসভা নির্বাচন যখন অনুষ্ঠিত হয়,তখন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন জেলে বন্দি ছিলেন।তার অবর্তমানে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেছিলেন, তারই ঘনিষ্ঠ দলের বরিষ্ঠ নেতা চাম্পাই সোরেন।সম্প্রতি জামিনে মুক্ত হয়েছেন হেমন্ত সোরেন।জেল থেকে বেরিয়ে পুনরায় ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন।বিধানসভায় শক্তি পরীক্ষাতেও উত্তীর্ণ হয়েছেন।কিন্তু এই জামিনে মুক্তি যে ক্ষণস্থায়ী, তা বিলক্ষণ বুঝতে পারছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী।কেননা, মুখ্যমন্ত্রী পদে পুনরায় শপথ নেওয়ার সাথে সাথে জেএমএম নেতার জামিন যাতে খারিজ হয়ে যায়,তাই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে ইডি।গত সপ্তাহেই হেমন্তের জামিন বাতিল করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে ইডি।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের গত ৩১ জানুয়ারী ঝাড়খণ্ডে জমি দুর্নীতি সংক্রান্ত বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মামলায় জেএমএম নেতা হেমন্ত সোরেনকে গ্রেপ্তার করেছিল ইডি।যদিও গ্রেপ্তারির আগে হেমন্ত মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন।এরপর গত ১৩ মে বেআইনি আর্থিক লেনদেন প্রতিরোধ আইন সংক্রান্ত রাঁচির বিশেষ আদালত হেমন্তের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল।তারপরে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন।গত ২৮ জুন ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট তার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে।প্রায় পাঁচ মাস পর জামিনে মুক্তি পান জেলবন্দি হেমন্ত।
গত ৪ জুলাই তৃতীয়বার ঝাড়খণ্ডের জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী পদে পুনরায় শপথ নেন। কথায় আছে রাজনীতিতে কখন কি হয়, কেউ বলতে পারে না।রাজনীতিতে অসম্ভব বলে কিছু নেই।এমনই কিছু ঘটতে চলেছে ঝাড়খণ্ডে। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।কেননা, গত সোমবার ১৫ জুলাই আচমকাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে একান্তে সাক্ষাৎ করেন জেল ফেরত হেমন্ত সোরেন।আচমকা কেন এই সৌজন্য (1) সাক্ষাৎ?এই প্রশ্নেই এখন তোলপাড় হচ্ছে ঝাড়খণ্ড এবং জাতীয় রাজনীতি।যেখানে অভিযোগ রয়েছে,মোদি সরকার তাকে জেলে আটকে রাখার জন্য ইডি লাগিয়েছে তার বিরুদ্ধে। লোকসভা নির্বাচনেও তামাম বিরোধীরা হেমন্ত সোরেনের গ্রেপ্তারকে মোদির রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে অভিযোগ তুলে প্রচার করেছিল।এখন কি এমন ঘটনা ঘটে গেল যে, হেমন্ত বিশাল ফুলের তোড়া নিয়ে দিল্লীতে পৌঁছে গেলেন প্রধানমন্ত্রী মোদির সাথে একান্তে কথা বলতে?দুর্নীতি মামলায় জামিনে থাকা হেমন্তের পুনরায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়া এবং ইডির সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া,এই সবের মাঝে আচমকা প্রধানমন্ত্রী মোদির সাথে হেমন্তের সাক্ষাৎ ঘিরে তৈরি হয়েছে জোর জল্পনা।যদিও হেমন্ত তার এক্স হ্যান্ডেলে ছবি পোস্ট করে দাবি করেছেন, এটি সৌজন্য সাক্ষাৎ।কিন্তু সৌজন্য স্বাক্ষাতে কি বার্তালাপ হলো,তা কিন্তু কেউ জানে না।জানেন শুধু দুই জনই।মোদি এবং হেমন্ত। রাজনৈতিক মহলের অভিমত, আর জলে যেতে চান না হেমন্ত সোরেন।তাই ইন্ডি জোট ছেড়ে এনডিএ জাটে শামিল হতে চাইছে হেমন্ত ও তার দল জেএমএম।এই নিয়েই জল্পনা এখন তুঙ্গে।ফলে আরও একটি রাজ্যে (ঝাড়খণ্ড) এনডিএ জোটের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে, তা অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
অনলাইন প্রতিনিধি:- বাংলাদেশ থেকে কাঞ্চনপুর মহকুমার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে মিজোরামে যাওয়ার পথে মামিত জেলার…
অনলাইন প্রতিনিধি :- নিরাপত্তার কাজে নয়, টিএসআর জওয়ানদের খাটানো হচ্ছে আর্দালি হিসাবে। পুলিশ আধিকারিকদের ও…
অনলাইন প্রতিনিধি :- ইন্ডিগো আগরতলা- দিল্লী রুটের উভয় দিকে যাতায়াতে আরও একটি বিমান চালু করছে।…
দিল্লীর বিধানসভা ভোট নিয়ে সরগরম দিল্লী। দিল্লীতে এবার এক আঙ্গিকে বিধানসভা ভোট হচ্ছে। গত পরিস্থিতির…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরায় উৎপাদিত" অর্গানিক বার্ড আই চিলি " স্হানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ধানি…
২২জানুয়ারী,২০২৪।এক বছরের ব্যবুধানে ২০২৫ সালের ১৩ জানুয়ারি।গত বছরের মেগা ইভেন্টের আসর বসেছিল অযোধ্যায়। এবার মেগা…