এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রামঃ বীরজিৎ সিনহা

 এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রামঃ বীরজিৎ সিনহা
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি।। বুধবার বিকেলে কৈলাসহর জেলা কংগ্রেসের উদ্যোগে ঊনকোটি কলাক্ষেত্রে অনুষ্ঠিত হয় ত্রিপুরার পর্যবেক্ষক তথা প্রাক্তন সাংসদ ডা: অজয় কুমারকে অভ্যর্থনা ও কর্মী সম্মেলন। অনুষ্ঠানে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোঃ বদরুজ্জামান, প্রাক্তন মন্ত্রী বিল্লাল মিয়া, কংগ্রেস মুখপাত্র হরে কৃষ্ণ ভৌমিক, কংগ্রেস ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট সুশান্ত চক্রবর্তী, প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত সেন চৌধুরী, জয়দুল হোসেন, এন.এস.ইউ.আই রাজ্য সভাপতি সম্রাট রায় সহ রাজ্য ও জেলা স্তরের কংগ্রেস নেতৃবৃন্দরা।

সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহা বলেন, এবারের লড়াই মুক্তির লড়াই, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এই লড়াই করে বাঁচতে হবে। তিনি কংগ্রেস পর্যবেক্ষক ডা: অজয় কুমারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, মানুষের মনের কথা বলতে হবে, মানুষের মনের আশা বুঝতে হবে। এমন ইস্তেহার বানাতে হবে যা মানুষের মনে থাকে। এবারের হাওয়া বিজেপির বিরুদ্ধে। তিনি জোট আমলের ঋণ মেলার কথা তুলে ধরেন। তাছাড়া জোট আমলে বয়স উত্তীর্ণ বেকারদের কিভাবে সরকারি চাকরি দিয়েছিলেন সেই প্রসঙ্গও তুলে ধরেন।

ত্রিপুরার কংগ্রেস পর্যবেক্ষক ডা: অজয় কুমার বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, দেশের সামনে অনেক বড় সতর্কতা। বিজেপি এখন হঠাৎ অনেককে বাবা বানিয়ে দিচ্ছে। কখনো মোদি, অমিত, মোহন ভাগবত। কিন্তু আসল বাবা হচ্ছেন মহাত্মা গান্ধী। সারা বিশ্ব যখন গরিব ছিল তখন শতকরা ২৫% খাদ্য সারা বিশ্বে ভারত থেকে রপ্তানি হত। তখন ভারতে রাজত্ব করছিল মুঘল রাজারা। এখন তারা মুসলমানদের আলাদাভাবে দেখছে। ২০১৪ সালের আগে দেশে ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, প্রফেসর তৈরি হতো। আর এখন ইঞ্জিনিয়াররা উবের গাড়ি চালাচ্ছে। শিক্ষিত যুবকরা বিভিন্ন হোম ডেলিভারি করছে। কংগ্রেস গরিবদের মধ্যবিত্ত করেছিল।

এখন তারা আবার নিচে নামিয়ে দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী দিনে পাঁচবার কাপড় বদলান। কোন কাজ নেই, শুধু হিন্দু মুসলিম করছেন। ক্রিসমাসের দিন ঝাড়খন্ডে ছোট ছোট শিশুরা যখন আনন্দ মেতে উঠেছিল তখন একদল দুষ্কৃতী রামের নামে এসে তাদের হুমকি দেয়। ছেলেমেয়েদের বাইক বাহিনীতে ঢুকাতে চাইলে বিজেপিকে ভোট দিন আর ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বানাতে চাইলে কংগ্রেসকে ভোট দিন। তাই ভোট দেওয়ার সময় ছেলেমেয়েদের কথা চিন্তা করবেন,বলেন অজয় কুমার।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.