অবশেষে দীর্ঘবছর পর সরকারী অনুদানপ্রাপ্ত (গভ: এইডেড) স্কুলগুলির পরিচালনা সংক্রান্ত আইনের সংশোধন করা হলো। এটাই প্রথম সংশোধন । গভ:এইডেড স্কুলগুলি পরিচালনার জন্য ২০০৫ সালে একটি রুলস তৈরি করা হয়েছিলো। এত বছর ওই রুলসের উপর ভিত্তি করেই স্কুলগুলি পরিচালিত হতো। এতে নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছিলো। শিক্ষাক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তনের পর, এখন ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে ২০০৫ সালে তৈরি করা রুলস সংশোধন করা হয়েছে। রবিবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ। শিক্ষামন্ত্রী জানান, শিক্ষা আইন কার্যকর হওয়ার পর দীর্ঘ বছর ধরে সরকারী অনুদানপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে শিক্ষক নিয়োগ করা যাচ্ছিল না। বর্তমানে রাজ্যে ৪৩টি সরকারী অনুদানপ্রাপ্ত বিদ্যালয় রয়েছে। এগুলির মধ্যে একাধিক স্কুলে প্রচুর শিক্ষক রয়েছে। কোথাও আবার শিক্ষক আছে ছাত্র নেই। আবার কোথাও ছাত্র আছে শিক্ষক নেই। বহু স্কুলে প্রধানশিক্ষক বা শিক্ষিকা নেই। এই ৪৩টি বিদ্যালয়ে বর্তমানে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ২৬,৪০৯ জন। এর মধ্যে শিক্ষক রয়েছে ইউজিটি ১৫৩জন, জিটি ৪১৩ জন, পিজিটি ৪৭৯ জন, প্রধানশিক্ষক ৭জন, গ্রুপ সি কর্মী ১২৬ জন এবং গ্রুপ ডি কর্মী ২২৯ জন। সব মিলিয়ে ১৪২৬ জন। মন্ত্রী জানান, এইভাবে চলতে পারে না। তাছাড়া নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছিল স্কুলগুলি। এই সমস্যা দূর করার জন্য সমস্ত সরকারী অনুদানপ্রাপ্ত স্কুলগুলিকে ডেকে একটি বৈঠক করা হয়। বৈঠকে পূর্বতন রুলস সংশোধন করা যায় কিনা এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠকে সকলেই সংশোধনের পক্ষে মত দেয়। এরপর একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি সবকিছু দেখে এবং পর্যালোচনা করে একটি রিপোর্ট পেশ করে। সেই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে একটি সংশোধনী রুলস তৈরি করা হয়। সর্বশেষ মন্ত্রিসভার বৈঠকে সেই রুলস পাস করা হয়। মন্ত্রী জানান, নয়া সংশোধনী রুলস অনুযায়ী স্কুলগুলিকে এখন অনেক সুবিধা করে দেওয়া হয়েছে। ছাত্র সংখ্যার ক্ষেত্রে এখন অনেক সরলীকরণ করে দেওয়া হয়েছে। যেমন আগে ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রসংখ্যা ছিল ২৫০ জন। এখন প্রথম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ২৫০ জন করা হয়েছে। তেমনি অন্য ক্লাসের ছাত্রসংখ্যার ক্ষেত্রেও সংশোধনী আনা হয়েছে। আগে গভ: এইডেড স্কুলের শিক্ষক কর্মচারীদের জিপিএফ জমা হতো পোস্ট অফিসে। এখন সেটা জমা হবে ব্যাঙ্কে। সরকারী স্কুলগুলিতে কর্মরত শিক্ষক কর্মচারীরা হোম ট্র্যাভেলিং অ্যালাউন্স পায়। কিন্তু গভ:এইডেড স্কুলগুলির শিক্ষক কর্মচারীরা পেতো না । এখন সেই অ্যালাউন্স তারাও পাবে। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে আগের মতো স্কুল ম্যানেজিং কমিটি নিয়োগ করবে। তবে এখন টিআরবিটির মতো বোর্ড গঠন করতে হবে এবং শিক্ষা অধিকর্তার অনুমোদন নিতে হবে। ছাত্র শিক্ষকের আনুপাতিক হার মানতে হবে। স্কুলে এএইচএম থাকলে এবং এক বছরের অভিজ্ঞতা থাকলে প্রমোশন দিয়ে হেডমাস্টার করা যাবে। পিজিটি সাত বছরের অভিজ্ঞতা থাকলে প্রমোশন দিয়ে এএইচএম করা যাবে। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রয়োজন এবং দাবির ভিত্তিতে পরিস্থিতি বিবেচনা করে পার্শ্ববর্তী গভ: এইডেড স্কুলে একবার বদলি করা যাবে। পাঁচ বছর অন্তর একবার স্কুলগুলির পঠন-পাঠন থেকে শুরু করে সবকিছু পর্যালোচনা করা হবে। খারাপ হলে আরও দুই বছর সময় দেওয়া হবে শিক্ষার মান উন্নয়নে। এরপরও হাল না ফিরলে পার্শ্ববর্তী গভ:এইডেড স্কুলে যুক্ত করে দেওয়া যাবে। এমন বেশ কিছু সংশোধনী আনা হয়েছে।
দিল্লী বিধানসভা ভোটকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে যেন প্রতিশ্রুতির প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ভোটারদের মন…
অনলাইন প্রতিনিধি:- বাংলাদেশ থেকে কাঞ্চনপুর মহকুমার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে মিজোরামে যাওয়ার পথে মামিত জেলার…
অনলাইন প্রতিনিধি :- নিরাপত্তার কাজে নয়, টিএসআর জওয়ানদের খাটানো হচ্ছে আর্দালি হিসাবে। পুলিশ আধিকারিকদের ও…
অনলাইন প্রতিনিধি :- ইন্ডিগো আগরতলা- দিল্লী রুটের উভয় দিকে যাতায়াতে আরও একটি বিমান চালু করছে।…
দিল্লীর বিধানসভা ভোট নিয়ে সরগরম দিল্লী। দিল্লীতে এবার এক আঙ্গিকে বিধানসভা ভোট হচ্ছে। গত পরিস্থিতির…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরায় উৎপাদিত" অর্গানিক বার্ড আই চিলি " স্হানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ধানি…