এলিয়েনের খোঁজ পেতে নাসা থেকে ডাক পেলেন বঙ্গ প্রযুক্তিবিদ!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-পেশায় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার।গাড়ির যন্ত্রাংশ, ইঞ্জিন, মোটর নিয়ে কারবার।কিন্তু ছোট থেকেই ভূতত্ত্ব ও প্রত্নতত্ত্ব নিয়ে অগাধ উৎসাহ পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার উত্তরপাড়ার শখেরবাজারের বাসিন্দা বছর চল্লিশের সমর চৌধুরির।চাকরি করতে করতেই চলছিল পড়াশোনা।একটা সময় কার্যত তা নেশার পরিণত হয়ে যায়।বিগত ১৫ বছর ধরে কর্মজীবনের বাইরে পুরোপুরি ভূতাত্ত্বিক গবেষণার সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করে ফেলেন তিনি।
দেশ-বিদেশের নানা ভৌগোলিক বিষয়, প্রাকৃতিক আশ্চর্য নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে করতেই তার হাতে আসে চমকে দেওয়ার মতো তথ্য। যার জেরে আজ সুদূর আমেরিকা থেকে গবেষণার ডাক এসেছে সমরবাবুর কাছে।নিতান্ত শখের বশে করা গবেষণার জোরে মার্কিন মুলুকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা সংস্থা বা নাসায় ডাক পেয়েছেন উত্তরপাড়ার মেক্যানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার।
সমরের গবেষণার বিষয় মূলত ভূতত্ত্ব ও প্রত্নতত্ত্ব।তা করতে করতেই অতিমানবীয় কার্যকলাপ বা এলিয়েনদের সম্পর্কে আগ্রহ জাগে তার।গবেষণা শুরু করেন মেগালিথস ও টেরা-ফর্মিং নিয়ে। উল্লেখ্য,বর্তমানে বিজ্ঞানীরা এই টেরাফর্মিংয়ের মাধ্যমে মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল ও তাপমাত্রা পৃথিবীর মতো করে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছেন।আর,মেগালিথস হল এমন ধরনের পাথর বা পাথরের তৈরি কোনও প্রতিকৃতি যা প্রকৃতি বা মানুষের তৈরি নয়।মেগালিথস ও এলিয়েনদের সঙ্গে সেগুলির যোগ নিয়ে পড়াশোনা করতে করতেই সমরবাবু একপ্রকার নিশ্চিত হন যে, মার্কিন মুলুকের বিখ্যাত গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন আর কিছুই নয়, আসলে এক বিশাল মেগালিথস।
এনিয়ে তার দীর্ঘ গবেষণাপত্র দেখার পর অভিভূত আমেরিকার
জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইউনাইটেড স্টেটস।তারা সমরকে আমেরিকায় গিয়ে টিম তৈরি করে গবেষণার জন্য সুযোগ দিতে চায় বলে জানিয়েছে।কীভাবে এই অসাধ্য সাধন করলেন তিনি? প্রশ্নের জবাবে সমরবাবু জানালেন, ‘ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সময় থেকেই ভূতত্ত্ব ও ভূগোল আমাকে টানত। পরে চাকরিজীবনে এনিয়ে পড়াশোনা করতে শুরু করি। মেগালিথস নিয়ে গবেষণা করতে করতে গুগল আর্থ থেকে ভিডিও সংগ্রহ করে প্রথমে তার হাইপোথিসিস, তারপর মাস ছয়েক আগে থেকে গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন নিয়ে কাজ শুরু করি।’গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন তৈরি হয়েছে মেগালিথস দিয়ে-এই মর্মে গবেষণাপত্র তিনি সম্প্রতি জমা দেন জিওলজিক্যাল
সার্ভে অফ ইউনাইটেড স্টেটস-এ।
সপ্তাহখানেকের মধ্যেই ই-মেলে সেখান থেকে গবেষণা করতে আসার জন্য উত্তর পান সমর। তারপর থেকেই তিনি নিজের রিসার্চের উপর আরও জোর দিচ্ছেন।তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ এখন মঙ্গল গ্রহে টেরাফর্মিংয়ের চেষ্টা চালাচ্ছে যাতে সেখানে জীবের বসবাসযোগ্য পরিবেশ তৈরি হতে পারে।পৃথিবীতেও কয়েক লক্ষ কোটি বছর আগে এই টেরাফর্মিং হয়েছে যার ফলে পৃথিবীতে জীবের আবির্ভাব ঘটেছে।এই টেরাফর্মিং করেছে কোনও অতি মানবীয় শক্তি যারা এই ব্রহ্মাণ্ডের অন্য কোনও জায়গা থেকে এসেছিল।এনিয়ে বিস্তারিত গবেষণা করার জন্যই ডাক পেয়েছি।’