এয়ার ইন্ডিয়া বিমান তুলে নিলে স্ট্রেচারে রোগী নিতে বিপত্তির শঙ্কা!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান আগরতলা সেক্টর থেকে উঠিয়ে নেওয়া হলে সবচেয়ে বেশি সমস্যা দেখে দেবে স্ট্রেচারে উন্নত চিকিৎসার জন্য কলকাতায় রোগী নিতে।এমনটাই আশঙ্কা করছে বিমানবন্দরের সংশ্লিষ্টরা।কারণ এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে আগরতলা থেকে কলকাতায় মুমূর্ষু ও গুরুতর অসুস্থ রোগী নিতে যে সব পদ্ধতি ও সুবিধা রয়েছে অন্য বিমান সংস্থার বিমানে তার সব সুবিধা নেই।ইন্ডিগো বা এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসে স্ট্রেচারে রোগী নিতে গেলে উদ্ভট অনেকগুলি নিয়ম ও পদ্ধতি রয়েছে।সেই সব নিয়ম ও পদ্ধতি মেনে স্ট্রেচারে ইন্ডিগো ও এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বিমানে রোগী উড়িয়ে নিতে নানা জটিল সমস্যায় পড়তে হবে বলে বিমানবন্দর সূত্র জানিয়েছে। প্রসঙ্গত, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান তুলে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে।১ সেপ্টেম্বর এয়ার ইন্ডিয়ার সন্ধ্যার ১৮৬ আসনের এয়ারবাস বিমান আগরতলা- কলকাতা রুটের উভয়দিক (এআই- ৭৪৫ ও এআই – ৭৪৬) থেকে পুরোপুরিভাবে উঠিয়ে নেওয়া হচ্ছে।এই বিমানটি উঠিয়ে নিলে শুধু আর দুপুরের দিকে একটি বিমান থাকবে। এআই-৭৪৩ ও এআই-৭৪৪ এই ১৮৬ আসনের এয়ারবাসটি আগরতলা-কলকাতা রুটের উভয়দিক থেকে উঠিয়ে নেওয়ার ঘোরণা না দেওয়া হলেও এই বিমানটিও উঠিয়ে নেওয়া হবে।বিমানবন্দরের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যার এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি ১ সেপ্টেম্বর থেকে উঠিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হলেও এর বদলে বা এই জায়গায় এখন পর্যন্ত কোনও বিমান সংস্থার কোনও বিমান দেয়নি।ফলে ১৮৬ আসনর বিমানটি তুলে নিলে যাতায়াতে যাত্রীদের চরম সমস্যায় পড়তে হবে। তবে বিমানবন্দরের সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন এই জায়গায় এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বিমান দেওয়া হতে পারে। এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বিমান আগরতলা সেক্টরে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে চালু হচ্ছে।১ সেপ্টেম্বর থেকে এই রুটে সকালের দিকে ১৮২ আসনের একটি বোয়িং চালাবে। আগরতলা-গুয়াহাটি এবং আগরতলা ভায়া গুয়াহাটি – দিল্লী রুটের উভয়দিকেও একটি করে বিমান যাতায়াত করবে।কিন্তু এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান ১ সেপ্টেম্বর থেকে উঠিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হলে আগরতলা থেকে স্ট্রেচারে মুমূর্ষু ও গুরুতর অসুস্থ রোগী উন্নত চিকিৎসার জন্য কলকাতায় নিতে প্রচণ্ড বিপাকে পড়তে হবে।স্ট্রেচারে রোগী নেওয়ার ক্ষেত্রে ইন্ডিগোর বিমানে উদ্ভট নিয়ম ও পদ্ধতি চালু রয়েছে। ন্যূনতম ৭২ ঘণ্টা আগে মেইল করে স্ট্রেচারে রোগী নেওয়ার জন্য ইন্ডিগোকে জানাতে হবে।তারপর অনুমতি মিললে ভাড়ার রেইট জানানো হবে ইত্যাদি। বিমানে স্ট্রেচারে রোগী নিতে অতিরিক্ত অক্সিজেন প্রয়োজন পড়লে ইন্ডিগো আবার অক্সিজেনের সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করে না। যদিও এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে সেই সুবিধা রয়েছে।ফলে ইন্ডিগোর বিমানে মুমূর্ষু রোগীর অতিরিক্ত অক্সিজেনের প্রয়োজন পড়লে ইন্ডিগো সেই ব্যবস্থা না করায় ইন্ডিগোর বিমানে স্ট্রেচারে রোগী নেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ছে। অক্সিজেনের সাপোর্ট না লাগলেই একমাত্র ইন্ডিগোর বিমানে স্ট্রেচারে রোগী নেওয়া যায়।চিকিৎসক রোগীর প্রেসক্রিপশনে লিখে দেন বিমানে কোন্ রোগীর অক্সিজেনের সাপোর্ট প্রয়োজন। বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বিমান চালু হলেও স্ট্রেচারে রোগী নিতে ইন্ডিগোর মতোই সব পদ্ধতি ও নিয়ম রয়েছে। তাই এয়ার ইন্ডিয়ার • বিমান উঠিয়ে নেওয়া হলে স্ট্রেচারে কি করে কলকাতায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রোগী নেওয়া হবে তা নিয়ে বিমানবন্দরের সংশ্লিষ্ট মহলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। দাবি উঠেছে রাজ্যে ডবল ইঞ্জিন সরকার যাতে এই বিষয়টির দিকে নজর দিয়ে সুব্যবস্থা করে দেয়। নতুবা এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান উঠে গেলে স্ট্রেচারে রোগী নিতে চরম সংকটে পড়তে হবে। রোগীরা পড়বে মহাবিপদে।