এ কে-৪৭ ও প্রচুর কার্তুজ সহ ৬ বৈরী ধৃত মিজোরামে, চাঞ্চল্য!!

 এ কে-৪৭ ও প্রচুর কার্তুজ সহ ৬ বৈরী ধৃত মিজোরামে, চাঞ্চল্য!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি:- বাংলাদেশ থেকে কাঞ্চনপুর মহকুমার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে মিজোরামে যাওয়ার পথে মামিত জেলার সাইথাহ এলাকায় ছয়টি এ কে ৪৭ রাইফেল, দশ হাজার এ কে ৪৭-এর গুলী এবং বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র সহ মিজোরাম গোয়েন্দা এবং পুলিশের হাতে ধরা পড়ল ছয় জন আগ্নেয়াস্ত্র বহনকারী বৈরী। বুধবার সন্ধ্যায় মিজোরামের মামিথ জেলার সাইথাহ এলাকায় ধরা জর পড়ে এই অস্ত্র সরবরাহকারী বৈরীরা। এই ঘটনায় গোটা উত্তর জেলা জুড়ে – চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখ্য কাঞ্চনপুর মহকুমার সীমান্তপুর -ওয়ান, সীমানাপুর টু, ছয়ঘরপুর, অমর বিওপি এলাকায় বাংলাদেশ থেকে ট্রেনিং প্রাপ্ত বৈরীরা এ কে ৪৭ রাইফেল সহ স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করার খবর একাধিকবার পত্র পত্রিকায় প্রকাশের পর কাঞ্চনপুর মহকুমার সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সংখ্যা কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। জেলার পুলিশ সুপার সরেজমিনে কাঞ্চনপুর মহকুমার বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী পরিদর্শন করেছেন। কিন্তু বৈরী তৎপরতা যে কমেনি মিজোরামে বাংলাদেশ শিবির থেকে চার বৈরী গ্রেপ্তারের পর পরিষ্কার হয়ে গেল। যদিও ওই বৈরীরা কাঞ্চনপুর দিয়ে মিজোরামে প্রবেশ করেছে কিনা তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। কারও বক্তব্য ধৃতরা বৈরী নয়। আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রেতা। এদিকে জানা গেছে ছয়ঘরপুর কাঁটাতারের বেড়ার ওপার বাংলাদেশ থেকে বৈরী নেতা সিংহ মণি রিয়াং, লালথাঙ্গা, অলিদা রিয়াং কাঞ্চনপুর মহকুমা ঠিকাদারদের চাঁদার হুমকি দিচ্ছে। বাংলাদেশের ইউনুস সরকারের প্রত্যক্ষ মদতে ত্রিপুরায় অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যে বৈরী আতঙ্কে কয়েকজন ঠিকাদার কাজকর্ম বন্ধ করে ঘরে বসে আছে। বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি এলাকায় বৈরী ঢেরায় বাংলাদেশ গোয়েন্দা সংস্থা লোকজন বৈরীদের সাথে যোগসূত্র রক্ষা করে চলছে। বেশ কিছুদিন ধরে কাঞ্চনপুর মহকুমার প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতে বৈরী আতঙ্কে স্তব্ধ হয়ে গেছে সারা জনজীবন। বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি এলাকার শংকর চোরখোলা থানাধীন ভিকিনালা গ্রামে ত্রিপুরা থেকে যাওয়া কিছু জনজাতি যুবক বৈরী ট্রেনিং দিয়েছে তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছে বাংলাদেশের ইউনুস সরকারের গোয়েন্দারা। কাঞ্চনপুর মহকুমার ভাণ্ডারীমা সীমানাপুর থেকে বেশ কিছু যুবক ছয়ঘরপুর সীমানার মাধ্যমে ভারত থেকে বাংলাদেশ গিয়ে অস্ত্রের ট্রেনিং দিচ্ছে মিজোরাম এবং কাঞ্চনপুর মহকুমার স্থায়ী পূনর্বাসন প্রাপ্ত রিয়াং শিবিরগুলি থেকে বাছাই করা জনজাতির যুবক। বাংলাদেশের খাগড়াছড়িতে ট্রেনিং দিয়ে রাজ্যে অশান্তির লক্ষ্যে যারা প্রবেশ করছে তারা। এদিকে উগ্রপন্থী নামধারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা আরক্ষা প্রশাসন, টিএসআর ১৩ নম্বর ব্যাটেলিয়ন এবং বিএসএফের জওয়ানরা তৎপর রয়েছে। ফলে বর্ডার এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে কিছুটা মনোবল বেড়েছে। পুলিশ, টিএসআর এবং বিএসএফ যৌথভাবে বৈরীদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার পরেই বাংলাদেশে ট্রেনিংরত বৈরীরা কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছে। কাঞ্চনপুর মহকুমার ভাণ্ডারীমা, বিজয়কুমার পাড়া, সাগরপুর এলাকার ভারত-বাংলাদেশ বর্ডারের দিকে সতর্ক দৃষ্টি রেখেছে সাথে বিএসএফ এবং ত্রিপুরা পুলিশ। এদিকে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি ট্রেনিং ক্যাম্পে এখনও দেড়শ বৈরী রয়েছে। তাদের প্রায় প্রত্যেকের হাতে এ কে ৪৭ তুলে দিয়েছে ইউনুস সরকারের গোয়েন্দা দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্তরা। বৈরী নেতা সিংহ মণি রিয়াং ত্রিপুরায় অশান্তি চালানোর লক্ষ্যে সেখানে বসে রয়েছে বলে জানা গেছে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.