বিভৎস ট্রেন দুর্ঘটনা, ছিটকে গেল চলন্ত তিনটি মালগাড়ির কামরা!!
ওএনজিসি’র বিপর্যয় মোকাবিলা মহড়া!!

দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি,অমরপুর। ওএনজিসি ত্রিপুরা অ্যাসেটের উদ্যোগে সিপাহিজলা জেলা প্রশাসন এবং এনডিআরএফ ইউনিটের সক্রিয় সহায়তায় কোনাবনস্হিত গ্যাস সংগ্রহ কেন্দ্রে মক-ড্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোনাবনস্হিত গ্যাস সংগ্রহ কেন্দ্রের একটি গ্যাস কূপের জরুরি ভিত্তিতে গ্যাস লিক বন্ধ করা নিয়েই মকড্রিল অনুষ্ঠিত হয় বুধবার।
গ্যাস কূপের লেভেল-I এবং লেভেল-II গ্রেডের দুর্যোগ মোকাবিলায় জরুরী অবস্থাগুলি ওএনজিসির স্থানীয় ক্ষমতার পরিধির মধ্যে পরিচালিত এবং নিয়ন্ত্রিত হয়।

তবে গ্যাস কূপের লেভেল-III গ্রেডের ক্ষেত্রে জরুরী ভিত্তিতে দুর্যোগ সম্পদনের জন্য ওএনজিসি ত্রিপুরার অ্যাসেটের তরফে রাজ্য সরকারের জেলা প্রশাসন,পুলিশ, এনডিআরএফ ইউনিট, মেডিকেল, দমকল কর্মীদের, এবং সিকিউরিটি ও ট্রাফিক ইউনিটের কর্মী এবং আধিকারিকদের মধ্যে সমন্বয় সাধন রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
এদিন কোনাবান জিসিএস থেকেও সকাল সাড়ে নয়টায় কূপ থেকে গ্যাস লিক হওয়ার খবর পাওয়ার মাধ্যমেই মক-ড্রিলের মহড়া শুরু হয়।
পরবর্তীতে ওএনজিসির বাধারঘাটস্হিত অফিস কমপ্লেক্সে অ্যাসেট ম্যানেজার তরুণ মালিকের পর্যবেক্ষণে একটি বেস কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়। ওই বেস কন্ট্রোল রুমে ওএনজিসি ত্রিপুরা অ্যাসেটের অ্যাসেট ইমার্জেন্সি টাস্ক ফোর্সকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ এবং সরাসরি অন-গ্রাউন্ড হস্তক্ষেপ ব্যবস্থার জন্য মেতায়েন করা হয়েছিল।

লেভেল-III গ্রেডের জরুরী অবস্থার জন্য, ওএনজিসির সম্পদ ব্যবস্থাপক তরুণ মালিক নিজেই প্রধান জরুরী সমন্বয়কারী হিসাবে মক-ড্রিলে অংশ গ্রহণ করেন। গ্যাস লিকের খবর পাওয়ার পরপরই, নিরাপত্তা কর্মী, দমকল কর্মী এবং মেডিকেল কর্মীদের পাশাপাশি ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট টিমের সমন্বয়ে গঠিত ডেডিকেটেড ইমার্জেন্সি রেসপন্স ইউনিটকে কূপের কাছে মোতায়েন করা হয়েছিল। গুরত্বের নিরিখে রাজ্যের এনডিআরএফ টিমের সাথে জেলা মেডিক্যাল টিম এবং দমকল ইউনিটগুলির তরফে ওএনজিসি ক্রুদের গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা দেওয়া হয়েছিল। রাজ্যের গ্যাস ব্যবসায় ওএনজিসির অংশীদার হিসাবে গেইলের কর্মী ও আধিকারিকাও মক-ড্রিলে অংশ গ্রহণ করেন। মক-ড্রিলে ওএনজিসির সম্পদ ব্যবস্থাপক তরুণ মালিক প্রত্যক্ষ ভাবে মুখ্য ভুমিকা পালন করেন। পরে সিপাহিজলার এ ডি এম জে, ভ্যানলাল দুয়াতিকে মক-ড্রিলের প্রধান জরুরী সমন্বয়কারী হিসাবে মনোনিত করা হয়।

অনেক প্রচেষ্টার পর গ্যাস লিক বন্ধ করার জন্য গ্রাউন্ডে থাকা ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট টিম দুপুর সোয়া বারোটা নাগাদ কূপ থেকে নির্গত গ্যাস বন্ধ করতে সক্ষম হয়। ওএনজিসির মাইনস সেফটি অফিসার মক-ড্রিলের সাইটের চারপাশে গ্যাসের শূন্য উপস্থিতি নিশ্চিত করার পরেই মক-ড্রিলের প্রধান সমন্বয়কারী সিপাহিজলা জেলার এডিএম দুপুর একটা নাগাদ মক-ড্রিল বন্ধ করে দিয়ে সমাপ্তি ঘোষনা করেন।
নিয়মিত মক-ড্রিল করা তেল ও গ্যাস সেক্টরে অপরিহার্য এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর ফলে প্রকৃত জরুরী পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্টর কর্মী এবং দলগুলি যে সদা সর্বদাই প্রস্তুত রয়েছে তা অনুধাবন করা যায় এবং সেইসঙ্গে ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কর্মীদের দুর্যোগ মোকাবিলায় কোনও ফাঁক ফোকর কিংবা ত্রুটি বিচ্যুতি থাকলে সেটা সনাক্ত করতে এবং সংশোধন করার ক্ষেত্রেও সহায়ক হয়। মক-ড্রিলের সফল সম্পাদন হওয়ায় ওএনজিসি ত্রিপুরা অ্যাসেটের অ্যাসেট ম্যানেজার তরুণ মালিক সিপাহিজলার জেলা শাসক আইএএস বিশ্বশ্রী বি কে এবং সিপাহিজলা জেলার পুলিশ সুপার আইপিএস বি জে রেড্ডিকে এবং জেলা স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানান। মক-ড্রিল চলাকালীন সময়ে দুর্দান্ত অন-গ্রাউন্ড সমন্বয়ের জন্য গেইলের উচ্চশিত প্রশংসা করেন উপস্থিত সকলেই।