বিভৎস ট্রেন দুর্ঘটনা, ছিটকে গেল চলন্ত তিনটি মালগাড়ির কামরা!!
ওপারে অশান্তি, মৈত্রী বাস বন্ধ ৫ মাস : যাত্রী সংকটে শ্যামলী!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-বাংলাদেশের
সাম্প্রতিক ঘটনাবলিতে মারাত্মক সঙ্কটে পড়েছে আগরতলা- ঢাকা- কলকাতা যাতায়াতের আন্তর্জাতিক বাস পরিষেবা।বাংলাদেশের বিআরটি পরিবহণ সংস্থায় শ্যামলী বাস বাংলাদেশের এই পরিস্থিতির মধ্যেও আগরতলা- ঢাকার মধ্যে যাতায়াত এখনো চালু থাকলেও যাত্রী সঙ্কটে ধুঁকছে।ত্রিপুরা সড়ক পরিবহণ সংস্থার রয়েল মৈত্রী বাস গত পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরেই আগরতলা- ঢাকা- কলকাতার মধ্যে যাতায়াত বন্ধ হয়ে রয়েছে। ত্রিপুরা সড়ক পরিবহণ সংস্থার এক কর্তৃপক্ষ শনিবার জানান,শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন যখন আচমকা বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রচণ্ড খারাপের দিকে চলে যায় তখন নিরাপত্তাজনিত কারণে
ত্রিপুরার রয়েল মৈত্রী বাস পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়।তবে রয়েল মৈত্রী বাস বন্ধ থাকলেও বাংলাদেশের পরিবহণ সংস্থার বিআরটিসির শ্যামলী বাস
শুধুমাত্র আগরতলা- ঢাকার মধ্যে কোনভাবে যাত্রী স্বল্পতার মধ্যে দিয়ে এখনও চালু রয়েছে। শ্যামলী বাস সপ্তাহে দু’দিন আগরতলা- ঢাকার মধ্যে যাতায়াত করার সুচি রয়েছে। শুক্রবার শ্যামলী বাসে বাংলাদেশ তথা ঢাকা থেকে কোন যাত্রী আগরতলায় আসেনি। পুরো যাত্রীশূন্য বাসটি আগরতলায় আসে। এই বাসটি শনিবার ঢাকায় ২৪ জন যাত্রী নিয়ে গেছে। তার মধ্যে বাসের ১৯ জন যাত্রীই ছিলেন ভারতীয় নাগরিক।
বাকি তিনজন যাত্রী বাংলাদেশের নাগরিক। একদিকে বাংলাদেশে চলা অস্থির ঘটনাবলি, অপরদিকে আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশের ভিসা অফিস বন্ধ থাকায় তার পুরো প্রভাব পড়েছে আন্তর্জাতিক বাস পরিষেবার উপর। যাত্রী সঙ্কট যদি এই ভাবে চলতে থাকে তা হলে শ্যামলী বাস কতদিন আগরতলা- ঢাকার মধ্যে চালু থাকবে তা নিয়ে কৃষ্ণনগর টিআরটিসির বাস ডিপোতেও প্রশ্ন উঠেছে।কারণ বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে ও আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশের ভিসা অফিস কবে চালু হবে তার উপর নির্ভর করছে আন্তর্জাতিক বাস পরিষেবার স্থায়িত্বকাল। ভারত তথা রাজ্য সরকারের ত্রিপুরার মৈত্রী বাস পাঁচ মাস আগে বন্ধ হয়ে থাকলেও পুনরায় কবে চালু হবে তা নির্ভর করছে বাংলাদেশের পরিস্থিতির উপর। বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও আগরতলায় বাংলাদেশের ভিসা অফিস পুনরায় চালু হলে তখনই ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশের মধ্যে দুই দেশের নাগরিকরাই আগের মতো ‘আন্তর্জাতিক বাসে যাতায়াত করবে বলে কৃষ্ণনগরস্থিত টিআরটিসির আন্তর্জাতিক বাস টার্মিনাস মনে করছে। এদিকে টিআরটিসি’র আন্তর্জাতিক বাস টার্মিনাসে শনিবার দুপুরে গিয়ে দেখা গেছে শ্যামলী বাস কাউন্টার আগের মতো চালু রয়েছে। কিন্তু বাসে বাংলাদেশে যাওয়ার জন্য আগের মতো আর কাউন্টারে টিকিট নিতে কাউন্টারের সামনে ব্যস্ততা নেই।বাস টার্মিনাসেও লোকের ছোটাছুটি চোখে পড়ার মতো নেই।