অনলাইন প্রতিনিধি :-মানুষ পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ জীব।আর সৃষ্টিকর্তা প্রত্যেকটা মানুষকেই কিছু না কিছু বিশেষ প্রতিভা দিয়েই এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন।আমাদের কাজ শুধুমাত্র নিজের কঠোর পরিশ্রম ও একাগ্রতাকে কাজে লাগিয়ে সেই প্রতিভার বিকাশ ঘটানো। আর এই প্রতিভার বিকাশ ঘটানোর পাশাপাশি বিকাশ ঘটে শৈল্পিক সত্ত্বার এবং তাতেই আসে সাফল্য। শিল্পী মাত্রই রূপ বিলাসী আর তার সৃষ্ট রূপই হল শিল্প। শিল্পী মাত্রই নতুন কিছু করার তাগিদ, শিল্পী মানেই সৌন্দর্য রচনার অনন্য কারিগর। ঠিক একইভাবে বালির ভাস্কর্যের মাধ্যমে এক নতুন গল্পের সূচনা করেছেন ত্রিপুরার দক্ষিন জেলার বিলোনিয়া মহকুমার বড়পাথারি এলাকার তরুণ প্রতিভাবান শিল্পী কৃষ্ণ দেবনাথ। সর্ববৃহৎ বালির ভাস্কর্য তৈরি করে ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস ইন্ডিয়া’তে স্থান করে নিলেন এই শিল্পী।
তিনিই ত্রিপুরার প্রথম যিনি বালির ভাস্কর্য তৈরি করে এ সম্মান অর্জন করেছেন। তারই শিল্পসত্ত্বার গল্প আজ তুলে ধরছি দৈনিক সংবাদের পাঠকদের সম্মুখে।ছোটবেলা থেকেই বালির প্রতি তাঁর আকর্ষণ ছিল খুব।প্রায়শই বালি দিয়ে নতুন কিছু ভাস্কর্য তৈরি করার চেষ্টা করতেন কৃষ্ণ দেবনাথ।
এরই মধ্যে একদিন তাঁর নজরে আসে ভারত বিখ্যাত বালি ভাস্কর্য শিল্পী সুদর্শন পট্টনায়ক ও তাঁর করা নানান ভাস্কর্য। এরপর থেকেই এই শিল্পের প্রতি তাঁর আকর্ষণ আরও বাড়তে থাকে। এবং পদ্মশ্রী সুদর্শন পট্টনায়ককে আদর্শ হিসেবে মেনেই আরও দৃঢ় মনোভাব নিয়ে কাজ শুরু করেন কৃষ্ণ দেবনাথ।তিনি জানান, ছোট থেকেই বিভিন্ন ছোটখাটো ভাস্কর্য তৈরি করলেও বিগত ৩-৪ বছর ধরে বড় পরিসরে কাজ শুরু করেন তিনি। ধীরে ধীরে তাঁর এই শিল্প ব্যাপক সাড়া ফেলে রাজ্য জুড়ে এবং স্বল্প সময়েই বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করতে শুরু করে।সম্প্রতি শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে ইন্দ্রনগর ইউনিটি সামাজিক সংস্থার পুজো থিমে বালি ভাস্কর্যের জন্য ডাক পান তিনি।
সেখানে ৪২০ বর্গফুট জায়গায় ৬ ফুট উচ্চতা ও ৭০ ফুট প্রস্থ সম্পন্ন ভাস্কর্য তৈরি করেন যা ইতিপূর্বে কোথাও তৈরি হয়নি। সেখানে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ যেমন- খেলো ইন্ডিয়া, জি-২০, নতুন করে গড়ে ওঠা ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির,চন্দ্রযান-৩, সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল এর প্রতিচ্ছবি সহ বেশ কয়েকটি ভাস্কর্য তৈরি করেন এই শিল্পী। পরবর্তী সময় ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস ইন্ডিয়ার সমস্ত নিয়মাবলি অনুসরণ করেই তাঁর ভাস্কর্যের ছবি সহ যাবতীয় নথিপত্র জমা করেন কৃষ্ণ দেবনাথ। এবং বিচারকদের মনেও জায়গা করে নেয় তাঁর এই শিল্পকলা।তিনিই রাজ্যে প্রথম যিনি বালির কাজের মধ্য দিয়ে এই সম্মান অর্জন করেছেন।পেশায় তিনি বর্তমানে সরকারি চারু ও কারু শিল্প মহাবিদ্যালয়ে গেস্ট লেকচারার হিসেবে কর্মরত।ইতিপূর্বেও রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবন প্রাঙ্গনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, কলেজটিলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অবয়ব, বাইসন ফেস্টিভ্যালে তৃষ্ণা অভয়ারণ্যেও প্রস্ফুটিত হয়েছিল তাঁর কারুকার্য। এছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বালি দিয়ে নানান ভাস্কর্য তৈরির মাধ্যমে নজর কেড়েছেন প্রত্যেকেরই। কৃষ্ণ দেবনাথ জানান, এই শিল্পকে নিয়েই বহুদূর এগিয়ে যেতে চান তিনি। এবং আগামীদিনে আরও অনেকেই এই শিল্পের প্রতি আকর্ষিত হবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন কৃষ্ণ দেবনাথ।সর্বোপরি নি:সন্দেহেই বলা যায়, নিজের এই নিদারুণ ভাস্কর্যকে ‘ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস ইন্ডিয়া’তে জায়গা করে দেওয়ার মাধ্যমে নিজের পাশাপাশি রাজ্যেরও নাম উজ্জ্বল করেছেন এই প্রতিভাবান শিল্পী কৃষ্ণ দেবনাথ।
অনলাইন প্রতিনিধি:- বাংলাদেশ থেকে কাঞ্চনপুর মহকুমার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে মিজোরামে যাওয়ার পথে মামিত জেলার…
অনলাইন প্রতিনিধি :- নিরাপত্তার কাজে নয়, টিএসআর জওয়ানদের খাটানো হচ্ছে আর্দালি হিসাবে। পুলিশ আধিকারিকদের ও…
অনলাইন প্রতিনিধি :- ইন্ডিগো আগরতলা- দিল্লী রুটের উভয় দিকে যাতায়াতে আরও একটি বিমান চালু করছে।…
দিল্লীর বিধানসভা ভোট নিয়ে সরগরম দিল্লী। দিল্লীতে এবার এক আঙ্গিকে বিধানসভা ভোট হচ্ছে। গত পরিস্থিতির…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরায় উৎপাদিত" অর্গানিক বার্ড আই চিলি " স্হানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ধানি…
২২জানুয়ারী,২০২৪।এক বছরের ব্যবুধানে ২০২৫ সালের ১৩ জানুয়ারি।গত বছরের মেগা ইভেন্টের আসর বসেছিল অযোধ্যায়। এবার মেগা…