ত্রিপুরার সাহিত্য চর্চায় নয়া ইতিহাস রচনা করেছে উড়ান: জয় গোস্বামী।।
কংগ্রেসের হাত ধরতে রাজি তবে শর্ত দিলেন তৃণমূল নেত্রী

দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি || কর্ণাটকে বিজেপির পরাজয়কে ‘বিজেপির শেষের শুরু’ বলে দাবি করলেও বিপুল জয়ের জন্য কংগ্রেসকে কোনও নম্বর দিতে চাননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।নিজের প্রতিক্রিয়ায় কংগ্রেসের নাম মুখে আনেননি, আনেননি রাহুল গান্ধীর নাম।কংগ্রেসের ব্যাপারে তৃণমূল নেত্রীর নীরবতা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চায় কেন্দ্রে উঠে আসে।দুই দিনের মধ্যে সেই অবস্থান থেকে কিছুটা সরে গিয়ে সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বোঝালেন কংগ্রেসের সঙ্গে আঞ্চলিক দলগুলির সম্ভাব্য জোটের ফরমুলা।কেমন সেই ফরমুলা?কংগ্রেস প্রসঙ্গে এদিন মমতা বলেন,‘দুশো আসনে বিজেপির সঙ্গে মুখোমুখি লড়াই হবে কংগ্রেসের।আমরা চাই, কংগ্রেস সেখানে ভালো করে লডুক।তৃণমূল তাদের সমর্থন করবে।তবে একই ভাবে কংগ্রেসেরও তাদের সমর্থন করা উচিত।’মমতার কথায়,“আমরা ওদের সমর্থন করব আর ওরা এখানে আমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে,সেটা তো হয় না।’বস্তুত, বঙ্গ রাজনীতিতে বিজেপি যতখানি মমতা-বিরোধী,প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর দিদি-বিরোধিতা তেজ তার চেয়ে বেশি বই কম নয়। হয়তো সেই জায়গা থেকেই মমতা এদিন বোঝাতে চেয়েছেন,একদিকে অধীররা সকাল- সন্ধ্যা তার সরকারের সমালোচনা করবেন,আর তিনি কংগ্রেসের পাশে থেকে তাদের মজবুত করার কথা বলবেন, দুটো সমান্তরালভাবে চলতে পারে না।এদিন বিজেপির সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়ের প্রশ্নে কংগ্রেসের ক্ষমতার চেয়ে আঞ্চলিক দলগুলির শক্তিকে এগিয়ে রাখেন মমতা।তিনি বলেন,‘যেখানে আঞ্চলিক দলগুলো শক্তিশালী যেখানে বিজেপি লড়াই করতে পারে না। বিহার,ওড়িশা,বাংলা,চেন্নাই, তেলেঙ্গানা,পাঞ্জাব সব জায়গায় আঞ্চলিক দল শক্তিশালী। সেখানে বিজেপি হেরেছে। কংগ্রেস সেখানে শক্তিশালী এবার তাদের সেখানে ভালো করে লড়া দরকার।’রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তৃণমূল-সমাজবাদী পার্টি – আপ, তিনটি দল বিজেপির বিরোধিতা করলেও কংগ্রেস সম্পর্কে তাদের ‘অ্যালার্জি’আছে।তাই কর্ণাটকে বিপুল জয়ের হাত ধরে যদি তেইশে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস বিজেপিকে পরাজিত করতে পারে,তবে বিরোধী রাজনীতিতে কর্তৃত্বরক্ষার প্রশ্নে তখন মমতা-কেজরি-অখিলেশ, তিনজনই সমস্যাই পড়বেন। অন্যদিকে কংগ্রেস আশাবাদী যে কর্ণাটকের রসদ তাদের চলতি বছরে রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ে ক্ষমতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে, উপরি পাওনায় হয়তো মধ্যপ্রদেশও চলে আসতে পারে। কর্ণাটকে জয়ের পর প্রবীণ কংগ্রেস নেতা চিদাম্বরমের প্রতিক্রিয়া ছিল,‘এই প্রথম কোনও গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে কংগ্রেস মুখোমুখি লড়াইয়ে বিজেপিকে হারাল।ফলে কংগ্রেস মুখোমুখি লড়াইয়ে বিজেপিকে হারাতে পারে না,আঞ্চলিক দলগুলির দেওয়া এই অপবাদ ঘুচে গেল।’ তৃণমূল নেত্রী বিজেপিকে রুখতে যতই যে যেখানে শক্তিশালী’ তত্ত্বে ‘একের বিরুদ্ধে এক’লড়াইয়ের ফরমুলা দিন, গোয়া, মেঘালয়, ত্রিপুরায় বিজেপির বিরুদ্ধে কংগ্রেস অন্যতম শক্তি হওয়া সত্ত্বেও তৃণমূল লড়াইয়ের ময়দানে পূর্ণ শক্তি নিয়ে নেমেছিল কেন,পর্যবেক্ষক মহল সে প্রশ্ন বার বার তুলেছে। তাই কংগ্রেস সম্পর্কে নিজের অনমনীয় অবস্থান থেকে মমতার কংগ্রেসকে শর্তাধীন দোস্তির বার্তা দেওয়া তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।