অনলাইন প্রতিনিধি :-নিরাপত্তাহীনতাজনিত অবস্থার প্রেক্ষাপটে আগরতলাস্থিত বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনে সকল প্রকার ভিসা প্রদানসহ কনসুলার সেবা কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার পর দুই দিনের মধ্যেই দুই দেশের মধ্যে যাত্রী চলাচল উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় কমে গেছে। গত তিন ডিসেম্বর বাংলাদেশ ভিসা বন্ধ করার ঘোষণা দেয়। তার দুই দিনের মধ্যেই যাত্রী সংখ্যা কমে প্রায় অর্ধেক হয়ে গেছে। বুধবার আগরতলা আইসিপি হয়ে ১৬০ জন যাত্রী এসেছিল আগরতলায়। আগরতলা ল্যান্ডপোর্ট হয়ে বাংলাদেশ যায় ১৪০ জন। যাত্রীদের মধ্যে ভারত-বাংলাদেশ উভয় দেশের মানুষ রয়েছেন। বৃহস্পতিবার আগরতলা আইসিপি হয়ে ত্রিপুরায় এসেছে ১১০ জন, প্রতিবেশী দেশে গেছে ৮০ জন। এদিন সোনামুড়ার শ্রীমন্তপুর স্থলবন্দর হয়ে ৭০ জন রাজ্যে এসেছে, বাংলাদেশে গেছে ৬০ জন।বুধবার সোনামুড়ার শ্রীমন্তপুর স্থলবন্দর হয়ে ৯৯ জন যাত্রী ত্রিপুরায় এসেছিল।প্রতিবেশী দেশে যায় ৮৮ জন যাত্রী। আগরতলা আইসিপি সূত্রে জানা গেছে, যাদের বৈধ ভিসা রয়েছে তারাই যেতে পারছেন।খুব জরুরি প্রয়োজনেই তারা সীমান্ত অতিক্রম করছেন। অনির্দিষ্টকালের জন্য নতুন করে ভিসা দেওয়া হবে না। যার ফলে যাত্রীদের সংখ্যা আগামী দিনগুলিতে -আরও কমে যেতে পারে।ওই সূত্র জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে যাত্রীদের মধ্যেও উৎকণ্ঠা দেখা যাচ্ছে।যার ফলে দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত তলানিতে গিয়ে ঠেকতে পারে।আগরতলা আইসিপি হয়ে দৈনিক গড়ে ৫০০ এর মতো যাত্রী চলাচল করে দুই দেশের মধ্যে। যা বর্তমান পরিস্থিতিতে কমে গেছে। এদিকে, আগরতলা সীমান্ত এলাকায় নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। বিএসএফের সাথে পুলিশও সতর্ক নজর রাখছে আখাউড়া রোডে।অনভিপ্রেত ঘটনা রুখতেই এই পদক্ষেপ বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাক্রমের প্রেক্ষিতে আগরতলা আইসিপি হয়ে পণ্য চলাচল প্রক্রিয়ায় তেমন প্রভাবিত হয়নি। আইসিপি সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবারও বাংলাদেশ থেকে ২৮টি পণ্যবাহী গাড়ি এসেছে। বুধবার এই সংখ্যা ছিল ৩২টি।এদিকে, বাংলাদেশে উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে আগরতলা ভায়া ঢাকা কলকাতাগামী যাত্রী সংখ্যাও কমেছে।গত ৩০ নভেম্বরের পর শ্যামলী পরিবহণ সংস্থার যাত্রী সংখ্যা অনেকটাই কমে গিয়েছিল। যার ফলে বাসটি বর্তমানে দুই দিন যাচ্ছে। আগে মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শনিবার যেত। এই মুহূর্তে যাচ্ছে মঙ্গল ও শনিবার। সংস্থার এক কর্মকর্তা জানান, আগামী শনিবার বাসটি আগরতলা থেকে সকাল নয়টার দিকে ছাড়বে। ৩০টি সিটের মধ্যে ইতিমধ্যে ১৬টি বুকিং হয়ে গেছে বলেও তিনি জানান। তিনি জানান, বাংলাদেশের নরসিংদী, ভৈরব এবং ঢাকাতেই বেশি যাচ্ছে যাত্রীরা। যাত্রীদের মধ্যে উভয় দেশের নাগরিকরাই রয়েছে।
উল্লেখ্য, সোমবারের হামলার জেরে মঙ্গলবার আগরতলাস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের অফিস বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ সরকার। নিরাপত্তাহীনতাজনিত অবস্থার প্রেক্ষাপটে পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আগরতলাতে বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনে সকল প্রকার ভিসা ও কনসুলার সেবা কার্যক্রম সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।
অনলাইন প্রতিনিধি :-দক্ষিণ কোরিয়ায় নয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হলেন বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী লি…
অনলাইন প্রতিনিধি :-পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে হেরে যেতেই মঙ্গোলিয়ার প্রধানমন্ত্রী লুভাসান্নামস্রাইন ওয়ুন-এর্দেন পদত্যাগ করলেন। ওয়ুন-এর্দেন ও…
অনলাইন প্রতিনিধি :-চট্টগ্রামে পাঁচটি মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিনের আবেদন…
অনলাইন প্রতিনিধি :-অবশেষে অপেক্ষার অবসান। দুই দশকেরও বেশি সময় পরে শুক্রবার উদ্বোধন হতে চলেছে বিশ্বের…
পুলিশি ব্যবস্থার কী হইয়াছে।বিশেষ করিয়া বিশালগড়।বিশালগড় পুলিশি যেন বিহার উত্তরপ্রদেশের কোনও ফিলমের পটভূমি। গত কয়েকদিন…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যের প্রধান সরকারী রেফারেল হাসপাতাল জিবি'র চিকিৎসা পরিষেবার হালহকিকত খতিয়ে দেখতে দিল্লীস্থিত অল…