কমলাসাগরে জাতীয় সড়ক নির্মাণে সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ উঠলো।।

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাস্তারমাথা টু কমলাসাগর কালী মায়ের মন্দির পর্যন্ত জাতীয় সড়ক নির্মাণে চলছে সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ। আর অভিযোগের তির রাজ্যের এক কন্ট্রাকটর কনস্ট্রাকশনের বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের তরফে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ। নিম্নমানের কাজের এই অভিযোগ জানানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে। ডিডি কনস্ট্রাকশনের সাইট ম্যানেজাররা প্রথমদিকে নিম্নমানের কাজের কথা স্বীকার না করে সংবাদ প্রতিবেদকের সাথে তর্কে জড়ালেও একটা সময় পিছু হটতে বাধ্য হয়ে কাজ বন্ধ রাখতে সম্মত হন। উল্লেখ্য, কমলাসাগর কালী মায়ের মন্দিরে যাওয়ার এই সড়কটি গত এক দশক ধরে বেহাল দশায় পরিণত ছিল।
বর্ষার সময় পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছে এই মায়ের মন্দিরে যাওয়ার মূল সড়কের মধ্যে ধানখেত লাগানোর মতো অবস্থা তৈরি হয়ে গিয়েছিল। তখন নবনির্বাচিত এলাকার বিধায়িকা সহ পূর্ত দপ্তরের আধিকারিকরা পুরো রাস্তাটি সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে এই রাস্তাটি জাতীয় সড়ক নির্মাণকারী সংস্থা (NHIDCL) এর অধীনে মোট সাঁইত্রিশ লক্ষ টাকা অর্থ বরাদ্দ করা হয় রাস্তাটি তৈরি করার জন্য এবং এই কাজের বরাত পায় রাজ্যের প্রথম শ্রেণীর জনৈক কন্ট্রাক্টর।ওই ঠিকাদার শুরু থেকেই রাস্তা নির্মাণের ক্ষেত্রে দু’নম্বরির আশ্রয় নিয়ে আসছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। রাস্তার দুই ধারে রিটার্নিং ওয়াল তৈরির ক্ষেত্রেও গুণগত মান নিয়ে স্থানীয়দের অভিযোগকে কোনও পাত্তাই দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। কিন্তু রবিবার আর শেষ রক্ষা হয়নি। মধুপুর হাসপাতাল চৌমুহনী সংলগ্ন এলাকায় একটি কালভার্ট নির্মাণের ক্ষেত্রে দুধারে যে রিটার্নিং ওয়াল তৈরি করা হচ্ছিল তাতে ব্যবহার করা হচ্ছিল অত্যন্ত নিম্নমানের ভাঙা ইট। বিষয়টি স্থানীয়দের তরফে সঙ্গে সঙ্গেই সংবাদ মাধ্যমের নজরে নেওয়ায় বেশ বেকায়দায় পড়ে নির্মাণ সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা। একটা সময় তারা তাদের আকাদের নির্দেশে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিকেও ধমকানোর সুরে কথা বলা শুরু করে। কিন্তু স্থানীয়রা একে একে জড়ো হয়ে যখন প্রতিবাদের সুরে কথা বলা শুরু করে তখনই পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় সাইড ম্যানেজার। স্থানীয়দের একটাই বক্তব্য, গত এক দশক ধরে এই রাস্তা নিয়ে যে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে নিম্নমানের কাজের ফলে আগামীদিনে তারা সেই দুর্ভোগ আর পোহাতে রাজি নয়। ফলে কাজের গুণগত মান নিয়ে কোনও কম্প্রোমাইজ করা চলবে না বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন জাতীয় সড়ক নির্মাণ সংস্থার ইঞ্জিনীয়াররা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঠিকাদারকে কি নির্দেশ দেন সে দিকেই তাকিয়ে সকলে।