কম ভাড়ার অ্যালায়েন্স এয়ারের বিমান নেই আগরতলায়, ক্ষোভ!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-বিমান
পরিষেবায় রাজ্যের প্রতি বৈষম্য দূর হচ্ছে না।কেন্দ্রীয় সরকারের কম ভাড়ার অ্যালায়ন্স এয়ারের বিমান গুয়াহাটি সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সব রাজ্যে চালু থাকলেও সেই বিমান একমাত্র চালু নেই আগরতলায়।কেন্দ্রীয় সরকারের অ্যালায়েন্স এয়ারের বিমান পরিষেবা বুধবার আরও সম্প্রসারণ করা হলেও তাতে আগরতলা তথা ত্রিপুরায় নাম নেই।বুধবার অ্যালায়েন্স এয়ারের বিমান সংযোগ করা হয়েছে গুয়াহাটি ও অরুণাচল প্রদেশের তেজুর মধ্যে।
অর্থাৎ গুয়াহাটি-তেজুর মধ্যে চলাচল করবে।এখন অরুণাচল প্রদেশের চারটি বিমানবন্দরেই অ্যালায়েন্স এয়ারের বিমান যাতায়াত করবে।আগে ইটানগর,পাসি, জিরো অরুণাচল প্রদেশের এই তিনটি বিমানবন্দরে অ্যালায়েন্স এয়ারের পরিষেবা চালু ছিল।বুধবার থেকে তেজু বিমানবন্দরে পরিষেবা চালু করল কেন্দ্রীয় সরকার।গুয়াহাটি সহ আসামের সব ক’টি বিমানবন্দ বহু আগেই অ্যালায়েন্স এয়ারের বিমান পরিষেবা চালু রয়েছে।
আসামের গুয়াহাটির, ডিব্রুগড়, লিলাবাড়ি, জোরহাট ও রূপসী (ধুবড়ি)-শিলচর-এই সব বিমানবন্দরে অ্যালায়েন্স এয়ারের বিমান পরিষেবা চালু রয়েছে।তাছাড়াও মেঘালয়ের,শিলং,মণিপুরের ইম্ফল, নাগাল্যান্ডের কোহিমা,মিজোরামের আইজল -উত্তর পূর্বাঞ্চলের এই সব বিমানবন্দরেও কেন্দ্রীয় সরকারে অ্যালায়েন্স এয়ারের বিমান পরিষেবা চালু রয়েছে।উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সেই সব বিমানবন্দরের সঙ্গে অ্যালায়েন্স এয়ারের বিমান পরিষেবা কলকাতার মধ্যেও চালু রয়েছে। শুধু তাই নয়, পূর্ব ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও ওড়িশায় অ্যালায়েন্স এয়ারের বিমান পরিষেবা চালু রয়েছে। শুধু বঞ্চিত আগরতলা তথা ত্রিপুরা। কেন্দ্রীয় সরকারের কম ভাড়ার বিমান পরিষেবা নেই আগরতলা বিমানবন্দরে।বুধবার নতুন করে কেন্দ্রীয় সরকারের বিমান পরিষেবা সম্প্রসারণ করে গুয়াহাটি ও তেজুর মধ্যে চালু করা হলেও কেন সেই ক্ষেত্রেও আগরতলাকে বঞ্চিত করা হলো তা নিয়ে ক্ষুব্ধ রাজ্যবাসী প্রশ্ন তুলেছেন।কেন্দ্রীয় সরকারের কম ভাড়ার বিমান পরিষেবাই সুবিধা থেকে ত্রিপুরার মানুষকে কেন বঞ্চিত করা হচ্ছে তাতে রাজ্যবাসী শুধু ক্ষুব্ধই নয়, বিস্মিতও। কেন ত্রিপুরার প্রতি অ্যালায়েন্স এয়ারের বিমান পরিষেবায় চরম ও নজিরবিহীন বৈষম্য করা হচ্ছে সেই বিষয়ে রাজ্য সরকারের নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। রাজ্যে ডবল ইঞ্জিন সরকার ক্ষমতায় থাকলেও কম ভাড়ার কেন্দ্রীয় সরকারের অ্যালায়েন্স এয়ারের বিমান পরিষেবার সুবিধা থেকে ত্রিপুরা রাজ্যকে বঞ্চনা করার ঘটনা কেউ মেনে নিতে পারছেন না। অ্যালায়েন্স এয়ারের বিমানে সব সময়ই যাত্রী ভাড়া খুব কম। যাত্রীর নাগালের মধ্যে ভাড়া নেওয়া হয়। যাত্রীরা স্বস্তিতে অ্যালায়েন্স এয়ারের বিমানে যাতায়াত করেন। অথচ ত্রিপুরার মানুষ অ্যালায়েন্স এয়ারের বিমানের সুবিধা থেকে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর বঞ্চিত হয়ে রয়েছেন। আগরতলা- কলকাতা রুটের উভয়দিকে যাতায়াতে আগরতলা সেক্টরে চালু ইন্ডিগো ও এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বিমানে সারা বছর ধরেই অস্বাভাবিক চড়া ভাড়া নেওয়া হয়।যাকে যাত্রীরা সব সময়ই জুলুম ভাড়া, গলাকাটা ভাড়া বলছেন। আগরতলা- গুয়াহাটি রুটের উভয় দিকে যাতায়াতেও ইন্ডিগো, এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস ও আকাশা এয়ারের ভাড়াও নেওয়া হয় চড়া। ফলে এই জায়গায় কেন্দ্রীয় সরকারের কম ভাড়ার বিমান অ্যালায়েন্স এয়ার চালু থাকলে রাজ্যের মানুষের ভালো উপকার ও সুবিধা হতো। কিন্তু ২০১৮ সালে বিজেপি জোট সরকার রাজ্যের ক্ষমতায় এলেও গত ৭ বছরেও বিমান পরিষেবা রাজ্যবাসী কম ভাড়ার অ্যালায়েন্স এয়ারের বিমানের সুবিধা পেলো না।