করোনাতঙ্ক!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-ফের দেশজুড়ে করোনাতঙ্ক।এর জেরে তড়িঘড়ি বৈঠকে বসলো কেন্দ্র।রাজ্যগুলিকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে তারা যাতে সাবধান থাকে। ২০২০ সালের মার্চ মাসে গোটা বিশ্বের সাথে ভারতেও করোনা নামক শব্দের সাথে পরিচিতি ঘটে।মূলত এর উৎপত্তি হয়েছিল চিন দেশ থেকে।চিন দেশের এক প্রান্তিক শহরেই প্রথম করোনা নামক ভাইরাসের দেখা মিলেছিলো।এর জন্য এর নাম রাখা হয়েছিলো কোভিড- ১৯ হিসাবে।পরবর্তীতে একে একে গোটা বিশ্বে তা ছড়িয়ে পড়ে। করোনা নামক সংক্রামক রোগের কারণে হয়তো দেশ জুড়ে কিংবা বিশ্ব জুড়ে যত প্রাণহানি হয়েছে এর থেকে বেশি প্রাণহানি হয় মারণ অনেক রোগের কারণে।কিন্তু করোনার জন্য প্রায় সবকিছু স্তব্ধ হয়ে গেছিল।জনজীবন তো স্তব্ধ হয়ে গেছিল,মানবজীবন এক অসহায়ত্বের মুখোমুখি হয়ে দাঁড়িয়েছিলো করোনাকালে।এই রোগটি নিয়ে বিশ্বব্যাপী এক অজানা আতঙ্ক গ্রাস করেছিলো।কেননা এটি সম্পূর্ণ একটি নয়া রূপের ভাইরাস ছিল।চিকিৎসকদের কাছে তা ছিল এক নয়া বিষয়।এর মোকাবিলায় তাই জনসচেতনতা এবং কিছু পালনীয় কর্তব্যগুলিকেই মানুষের কাছে নিয়ে যায় • সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রগুলি।জারি হয় বিভিন্ন এমওপি।বিভিন্ন নয়া শব্দ বিশ্ববাসী জানতে পারে করোনাকালেই,যেমন সোশ্যাল ডিসটান্সিং,হোম কোয়ারেন্টাইন,জনতা কার্ফু, করোনা কার্ফু, লকডাউন ইত্যাদি। বিশ্ববাসীর সাথে এদেশের মানুষজনও করোনা কালে নানা অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়।সে এক অজানা আতঙ্ক।করোনা ছিল মহামারি নয়,অতিমারি।বিশ্বের সাথে ভারতেও করোনা মোকাবিলায় জারি হয় লকডাউন।লকডাউনে কী করা যাবে,কী করা যাবে না এ নিয়ে সরকারী নির্দেশিকা জারি হয়।চিকিৎসক এবং চিকিৎসা কর্মীদের প্রথম সারির যোদ্ধা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়।করোনা অতিমারি হওয়ায় তা মহামারির চাইতে ভয়ঙ্কর হিসাবে পরিগণিত হতে যাচ্ছিল।মানুষ ভেবে পাচ্ছিলেন না এই অতিমারির শেষ কবে হবে।করোনার সবথেকে বেশি বলি হয়েছেন বয়স্ক রোগীরা এবং যে সমস্ত ব্যক্তির পূর্বের কোনও জটিল রোগ রয়েছে এমন রোগীদের বেশি করে করোনার উপসর্গ ধরা পড়ার পর হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছে।করোনা নামক রোগটি মূলত ছিল শ্বাসনালীর প্রদাহ।এজন্য এই রোগের আক্রান্তদের বেশিরভাগই শ্বাসকষ্ট হতো। এর জন্য প্রয়োজন হতো অক্সিজেনের।করোনাকালে দেশজুড়ে অক্সিজেনের হাহাকার লেগেছিলো।তবে করোনা আসায় দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবায় কিছু নতুন পরিকাঠামো যুক্ত হয়েছে।এর অন্যতম ছিল হাসপাতালে হাসপাতালে অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানো,হাসপাতালে আইসিইউ’র শয্যা বাড়ানো ইত্যাদি।এই সমস্ত পরিকাঠামো কিছু বাড়ানো হয় করোনাকালে।২০২০ সাল থেকে শুরু হওয়া করোনা চলে ২০২২ সাল পর্যন্ত।এর মধ্যে ভ্যাকসিন পর্যন্ত বের হয়ে যায়।পরবর্তী সময় কোভিডের প্রথম যে প্রজাতি মানবদেহে আক্রমণ শুরু করে এর প্রজাতিরও পরিবর্তন হতে থাকে।যদিও যতই ভ্যারিয়েন্ট এখন অবধি কোভিডের বের হয়েছে তা তেমন মানবদেহে আঁচড় কাটতে পারেনি।মানবদেহে করোনার সংক্রমণ দ্রুত হয় বলে সচেতনতাকেই এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে বড় হাতিয়ার বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।মাস্ক পরা, সোশ্যাল ডিসটান্স মেনে চলা, বারবার হাত ধোয়া ইত্যাদির উপর প্রথম থেকে জোরই দেওয়া হয়েছিলো।পরবর্তীতে ভ্যাকসিন বের হবার ভ্যাকসিনেশনের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।তবে এখনও এটুকু বলা যাবে না যে করোনা শেষ হয়ে গেছে, মাঝেমধ্যেই করোনা আক্রান্তের কথা শোনা যায়। মৃত্যুর কথাও শোনা যায়। সম্প্রতি দেশ জুড়ে করোনার এক নয়া ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান মেলায় ফের উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরা।কেন্দ্রীয় সরকার এ নিয়ে সব রাজ্যকে সতর্ক করে দিয়েছে যাতে এই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ নিয়ে রাজ্যগুলি যাতে সতর্ক থাকে। সব রাজ্যের সাথে বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য সচিব প্রমুখ।নজরদারি রাখার এবং বাড়াবার কথা বলা হয়েছে।গোয়া,কেরল, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড ইত্যাদি রাজ্য থেকেই কোভিডের নয়া ভ্যারিয়েন্টটির সন্ধান মিলেছে।সুতরাং সচেতনতা এবং গোড়াতেই পরীক্ষার মাধ্যমে করোনা চিহ্নিতকরণ জরুরি।কেননা, নয়া ভ্যারিয়েন্টটির উপসর্গ তেমন মারাত্মক কিছু নয়। বাড়িঘরেই চিকিৎসিত হচ্ছেন বেশিরভাগ রোগী।সুতরাং আতঙ্কিত হবার কারণ নেই। সচেতন এবং সজাগ থাকা জরুরি।