নেতা-মন্ত্রীদের বারবার ঘোষণা সত্ত্বেও গ্রুপ ডি নিয়োগ হচ্ছে না!!
কলকাতায় দুর্গাপুজোর থিম কেকে
শহর কলকাতা সাক্ষী থেকেছে তার শেষ কনসার্টের। মৃত্যুর পর প্রায় এক সপ্তাহ কেটে গেলেও এখনও শোক বিহ্বল শহর। তাই কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ ওরফে কেকে এবার কলকাতার দুর্গাপুজোতেও। মন্ডপে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকবে সিলিকন দিয়ে তৈরি কেকের মূর্তি। দিনভর বাজবে শেষ কনসার্টে কেকের গাওয়া ২০ টা গান। এলইডি স্ক্রিনে চালানো হবে নজরুল মঞ্চে কেকে-র শেষ অনুষ্ঠানটি।
পুজো কমিটির অন্যতম উদ্যোক্তা তথা কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর অমর চক্রবর্তী জানিয়েছেন, গুরুদাস মহাবিদ্যালয়ের আয়োজনে কেকে-র শেষ কনসার্টটি হয়, সেই কলেজটিও এই ওয়ার্ডের অন্তর্গত। বিশেষ কাজ থাকায় আমন্ত্রিত হয়েও শিল্পীর শেষ অনুষ্ঠানে থাকতে পারেননি অমলবাবু। সেই আক্ষেপ থেকেই শিল্পীকে শ্রদ্ধা জানাতে এমন অভিনব ভাবনার জন্ম। প্রাথমিক পরিকল্পনার পর্ব পেরোলে পুজোর আগে কেকে-র পরিবারকে অবশ্যই আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে জানিয়েছেন পুজো কমিটির জনসংযোগ আধিকারিক দীপান্বিতা।
দুর্গাপুজো বাঙালির কাছে আবেগের। আর কলকাতার একেকটি পুজো প্যান্ডেলের থিম সেই আবেগকে আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। তাই, এবার কলকাতার দুর্গাপুজোর থিমে ফুটে ওঠতে চলেছে বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী কৃষ্ণকুমার কুন্নাথের শেষ দৃশ্য। এবছরে উল্টোডাঙ্গার কবিরাজ বাগানের পুজোর থিম জুড়ে থাকবে শুধুই কেকে। অমলবাবু প্রত্যেকবার নিজেই পুজোর থিম সাজান। আর এই বছর তিনিই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পুজোর থিম হবে কেকে, মন্ডপ তৈরি হবে নজরুল মঞ্চের মত করে আর সেখানে থাকবে একাধিক কেকের মূর্তি। তার কথায়, ‘এবারের দুর্গাপুজোর থিমে পুরোপুরি নজরুল মঞ্চের সেই এক রাতের দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হবে।’ গোটা মন্ডপে থাকবে একাধিক কেকে-র মূর্তি। যা সিলিকন দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে। সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কুমোরটুলির শিল্পী মিন্টু পালকে। তার কলকাতায় আসা থেকে তার গান স্যালুট পর্যন্ত প্রত্যেকটি ঘটনা ফুটিয়ে তোলা হবে সেই মন্ডপের মধ্যে। এছাড়াও একটি বড় আকর্ষণ থাকছে সেখানে। নজরুল মঞ্চের অনুষ্ঠানে কেকে ২০ টি গানের একটি লিস্ট তৈরি করে এনেছেন অমলবাবু। আর এবার পুজোর কটা দিন মন্ডপে সারাদিন ওই ২০ টি গানই ‘রিপিট’ করা হবে।
‘যারা সঙ্গীতপ্রেমী তাদের কাছে কেকে-র গান বেশ খানিকটা ওষুধের মতো কাজ করেছে জীবনের সব পর্যায়ে। কাজেই এই বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পীর অকালপ্রয়াণে তাদের জীবনে একটা বড় শূণ্যস্থান তৈরি করে দিয়ে গিয়েছে। তার থেকেও বড় বিষয় হল, যে সকল বাঙালী অনুরাগী রয়েছে তাঁর তাদের কাছে এই বিষয়টি মেনে নেওয়া আরও কষ্টের যে বাংলার মাটিতে এসে প্রাণ হারিয়েছেন তিনি। সেই জায়গায় কবিরাজ বাগানের এই উদ্যোগ বলিউডের বিখ্যাত প্লেব্যাক সিঙ্গার কেকে’র স্মৃতিচারণা করবে বলেই মনে হয়।’ জানালেন মিন্টুবাবু।