কাঞ্চনপুরে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে দেওয়া হচ্ছে না ডিম-সয়াবিন!!

এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-এডিসির প্রশাসনিক ব্যবস্থা পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।প্রায় এক বছর হতে চললো কাঞ্চনপুরে চারশ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পুষ্টি প্রকল্পে ডিম সয়াবিন বন্ধ করে দিয়েছে এডিসি প্রশাসন।রাজ্য সরকারের সরবরাহকৃত চাল ডাল দিয়ে খিচুড়ি রান্না করে নামকাওয়াস্তে পুষ্টি প্রকল্প চলছে।
এডিসির সমাজ কল্যাণ এবং সমাজ শিক্ষা দপ্তরের সিদ্ধান্তহীনতা ও অচলাবস্থার কারণেই গত এক বছর ধরে কাঞ্চনপুর আইসিডিএস প্রজেক্টের আওতাধীন দশদা সিডিপিও অফিসের অধীনস্থ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে পুষ্টি প্রকল্পে ডিম সয়াবিন সরবরাহ বন্ধ আছে। কাঞ্চনপুর আইসিডিএস প্রজেক্টের দশদা প্রকল্পে তেরোটি সেক্টরেই ডিম সরবরাহ বন্ধের কারণে শিশু ও প্রসূতি মায়েদের পুষ্টি প্রকল্প বন্ধ আছে।দীর্ঘ এক বছর ধরে পুষ্টি প্রকল্পে ডিম সয়াবিন বন্ধ থাকলেও এডিসি প্রশাসন রহস্যজনকভাবে নীরব দর্শকের ভূমিকায় রয়েছে। উল্লেখ্য, কাঞ্চনপুর আইসিডিএস প্রজেক্টের দশদা সিডিপিও অফিস এডিসির সমাজ কল্যাণ এবং সমাজ শিক্ষা দপ্তরের আওতাধীন।দশদা সিডিপিওর আওতাধীন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির মধ্যে অধিকাংশই উপজাতি অধ্যুষিত এলাকাগুলিতেই চলছে।ওইসব এলাকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ডিম সয়াবিন সরবরাহ হচ্ছে না বছর ধরে।জানা গেছে, এডিসি প্রশাসনের সমাজ শিক্ষা এবং সমাজ কল্যাণ দপ্তরের তুঘলকি কাজকর্মের কারণেই মুখ থুবড়ে পড়ে কাঞ্চনপুর আইসিডিএস প্রজেক্টের পুষ্টি প্রকল্প বন্ধ হয়ে রয়েছে।জানা গেছে, প্রজেক্টের প্রত্যন্ত জনপদের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে পুষ্টি প্রকল্পে ডিম সয়াবিন না থাকায় শিশু প্রসূতি মায়ের উপস্থিতি নেই।অথচ পুষ্টি প্রকল্পের নামে আইসিডিএস প্রজেক্টে ভুয়ো বিলে লক্ষ লক্ষ টাকার পেমেন্ট হচ্ছে।তাছাড়া দশদা প্রজেক্টের প্রত্যন্ত এলাকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে পুষ্টি প্রকল্প কার্যত কাগজেপত্রে হচ্ছে। নথিভুক্ত শিশুরা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বছরের পর বছর ধরে আসছে না।বহু শিশু বিভিন্ন স্কুলে ভর্তি হয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ছেড়ে চলে গেছে।কিন্তু অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের বক্তব্য, পুষ্টি প্রকল্পের সামগ্রী নাকি নথিভুক্ত শিশুদের বাড়ি ঘরে চাল ডাল পৌঁছে দেন তারা। প্রশ্ন উঠেছে,অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে যদি রান্নাই না হয় তাহলে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা কীভাবে মাসে মাসে ফিডিং বিল করছে এবং সেক্টর সুপার ভাইজাররা কীভাবে তাতে সার্টিফায়েড করেছেন? অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে নথিভুক্ত শিশু এবং সেক্টর সুপার ভাইজাররা কীভাবে তাতে সার্টিফায়েড করেছেন? অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে নথিভুক্ত শিশু এবং প্রসূতি মায়ের যে সংখ্যা দেখানো হয়েছে তাদের অধিকাংশ বাস্তবে মিল পাওয়া যাচ্ছে না। এডিসি এলাকায় কার্যত কাগজেপত্রে পুষ্টি প্রকল্প নিয়মিত চলছে।বাস্তবে মুখ থুবড়ে পড়েছে পুষ্টি প্রকল্প।

Dainik Digital

Recent Posts

ইন্ডিগো ফ্লাইটে বোমার হুমকি!! কলকাতা বিমানবন্দর হাই অ্যালার্ট!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-মঙ্গলবার বিকেলে কলকাতার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উচ্চ সতর্কতা জারি করা…

15 hours ago

আওয়ামী লীগের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করল নির্বাচন কমিশন!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-গেজেট নোটিফিকেশন দিয়ে আওয়ামী লীগের সবরকম কার্যকলাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী প্রশাসন…

16 hours ago

অবসর নিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-সুপ্রিম কোর্টের ব্যাটন তুলে দিয়ে গেলেন বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের হাতে। বুধবার ১৪…

18 hours ago

সিঁদুর’ প্রসঙ্গে বিজেপির ১০ দিনের ‘তিরঙ্গা যাত্রা’!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে প্রচারে নামতে চলেছে বিজেপি।পাকিস্তানকে জবাব দেওয়ায় ভারতীয় সেনা বাহিনীকে ধন্যবাদ…

18 hours ago

পুরনো ছন্দে ফিরছে উপত্যকা!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে শ্রীনগর। শ্রীনগর বিমানবন্দরও মঙ্গলবার খোলার সম্ভাবনা রয়েছে। রাস্তা ঘাটে স্বাভাবিক…

18 hours ago

পঞ্জাবের বায়ুসেনাঘাঁটিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যে সামরিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল, তা প্রশমনের পর মঙ্গলবার…

20 hours ago