রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারী মাসে করার উদ্যোগ!!
কাঞ্চনপুরে আইসিডিএস প্রোজেক্টে ১১.৬২ লক্ষ টাকা ডিম কেলেঙ্কারি
দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি || এডিসির কাঞ্চনপুর আইসিডিএস প্রোজেক্টে ডিম কেনার দরপত্রে নজিরবিহীন কেলেঙ্কারির পর আরও কিছু দুর্নীতির তথ্যচিত্র পাওয়া গেছে। কাঞ্চনপুর মহকুমার দশদা অঞ্চলের দুর্গম এলাকা গুডুরাই পাড়া, পূর্ব মধুচন্দ্র পাড়া, খাসনাম পাড়া, নয়রাম- কামাখ্যাপুর সহ আনন্দবাজার এবং ভান্ডারীমা সেক্টরের বেশ কয়েকটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র সরেজমিনে পরিদর্শন করে জানা গেল শেষ কবে ওই এলাকায় শিশু এবং প্রসূতি মা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ডিম পেয়েছে তা তারা জানে না ৷ এমনকি সপ্তাহে কবে
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে পুষ্টি প্রকল্প দেওয়া হয়েছে তাও ওইসব এলাকার নথিভুক্ত শিশু এবং প্রসূতিরা জানে না। অথচ ১ লক্ষ ৮৬ হাজার ডিম কেনার জন্য ১১ লক্ষ ৬২ হাজার ৫০০ টাকা গত মার্চ মাসে আইসিডিএস প্রোজেক্টের তেরজন সেক্টর সুপার ভাইজারদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দেওয়া হয়। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এই বিপুল অংকের টাকা দেওয়া হলেও আনন্দবাজার,গছিরামপাড়া, ভান্ডারীমা সেক্টরে একটি ডিমও আনা হয়নি বলে অভিযোগ। ডিম কেনার নামে ভুয়ো বিল করা হয়েছে এক ডিম ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ভুয়ো ভাউচার এনে। ডিম কেনার গোটা বরাদ্দ লোপাট করা
হলেও এডিসির প্রিন্সিপাল অফিসার সুধন দেববর্মা সব কিছু জানার পরও নীরব রয়েছেন রহস্যজনক কারণে। এই নজিরবিহীন দুর্নীতি বিষয়টি জানতে এডিসির সমাজ শিক্ষা এবং সমাজ কল্যাণ দপ্তরের প্রিন্সিপাল সুধন দেববর্মাকে একাধিকবার ফোন করলেও তার সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। এদিকে, প্রত্যন্ত অঞ্চল পূর্ব মধুচন্দ্রপাড়া, জ্ঞানবাড়ি, বিজয় কুমার পাড়া, বিশ্বমণি পাড়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে পুষ্টি প্রকল্প কার্যত কাগজেপত্রে হচ্ছে। ওইসব এলাকায় সমাজ কল্যাণ এবং সমাজ শিক্ষা দপ্তরের কোনও আধিকারিকের পরিদর্শনের রেকর্ড নেই। মর্জি মতো সেক্টর সুপার ভাইজার চালাচ্ছে।