কাঞ্চনপুর হাসপাতালে অচলাবস্থা অ্যাম্বুলেন্সে প্রসূতি মায়ের সন্তান প্রসব!!

 কাঞ্চনপুর হাসপাতালে অচলাবস্থা অ্যাম্বুলেন্সে প্রসূতি মায়ের সন্তান প্রসব!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :- অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে প্রসূতি মায়ের সন্তান প্রসব। তাও সন্তান প্রসব করাচ্ছেন পুরুষ নার্স! এ ধরনের ঘটনা কাঞ্চনপুর মহকুমায় চলছে দীর্ঘ বছর ধরে। এতে প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়েছেন কাঞ্চনপুর মহকুমা হাসপাতাল সহ সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের আশাকর্মীরা। অভিযোগের তির ইমার্জেন্সি পেশেন্ট টেন্সপোটেশন সার্বিক এনএইচএমের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার কাঞ্চনপুর মহকুমার গোবিন্দ পাড়া থেকে কাঞ্চনপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় প্রসূতি মা ডুলুবতি রিয়াংকে। অ্যাম্বুলেন্স গোবিন্দ পাড়ায় গিয়েছে কিন্তু মহিলা নার্স বা ধাই পাঠানো হয়নি। ফলে কাঞ্চনপুর মহকুমা হাসপাতালে আসার পথে অ্যাম্বুলেন্সে প্রসূতি মায়ের সন্তান প্রসব করান পুরুষ নার্স। মঙ্গলবারের ঘটনা এই প্রথম নয়, এর আগেও বহুবার একই ধরনের ঘটনা
ঘটেছে। নজিরবিহীন ঘটনা হলো, প্রসূতি মায়ের সন্তান প্রসব করিয়ে প্রসূতি মা সহ পুরুষ নার্সের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করা হয়েছে প্রচার পাওয়ার জন্য। এই ধরনের ঘটনা কাঞ্চনপুর হাসপাতাল বছরের পর বছর ধরে চলছে। তাহলে কি প্রসূতি মায়ের ডেলিভারি করানোর পরিকাঠামো কাঞ্চনপুর মহকুমা হাসপাতালে নেই? কেন মহিলা নার্স বা ধাই পাঠানো হয়নি?এই প্রশ্ন সর্বত্র উঠেছে। এক অচলাবস্থা চলছে কাঞ্চনপুর মহকুমার হাসপাতালে হাসপাতালে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া সাধারণ জ্বরের রোগী থেকে শুরু করে সন্তান সম্ভাবা প্রসূতি মায়ের ন্যূনতম চিকিৎসা না করেই জেলা হাসপাতাল ধর্মনগরে রেফার করে দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার এক সন্তানসম্ভাবা প্রসূতি মা প্রসবব্যথা নিয়ে কাঞ্চনপুর মহকুমা হাসপাতালে আসার পথে রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্সে প্রসূতি মা সন্তান প্রসব করে পুরুষ নার্সের হাতে। এদিকে দেখা যাচ্ছে কোনও ধরনের জটিল সমস্যা না থাকলেও প্রসূতি মায়ের ন্যূনতম চিকিৎসা না করে জেলা হাসপাতালে রেফার করে দেওয়া হয়। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে কাঞ্চনপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসা আশ পরিষেবা মুখ থুবড়ে পড়েছে। মহকুমাবাসীর অভিযোগ, মহকমা মেডিকেল অফিসার ডা. হরেন্দ্র রিয়াং রোটেশন ডিউটি এবং কাজে গাফিলতির কারণেই মহকুমার স্বাস্থ্য পরিষেবা সম্পূর্ণভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অভিযোগ, কাঞ্চনপুর মহকুমা হাসপাতালে কোনও চিকিৎসা পরিষেবা নেই। সাধারণ জ্বরের রোগীকেও ন্যূনতম চিকিৎসা পরিষেবা না দিয়ে ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে রেফার করে দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে কাগজেপত্রে কাঞ্চনপুর মহকুমা হাসপাতালটি মাত্র ছয়জন চিকিৎসক দিয়ে চলছে। বর্তমানে কাঞ্চনপুর
মহকুমার জুড়ে জ্বর সর্দির ব্যাপক প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। সাধারণ মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসক এবং ওষুধ না পেয়ে ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে খাচ্ছেন। এছাড়া গ্রামগঞ্জের এবং প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা না পেয়ে গ্রাম্য ওঝা কবিরাজের উপর নির্ভরশীল ভয়ে পড়েছেন। বাধ্যতামূলকভাবে গ্রামাঞ্চলের গরিব মানুষকে স্থানীয়ভাবে ওব কবিরাজ দিয়ে রোগীর চিকিৎসা করাতে হচ্ছে। এদিকে দেখা যাচ্ছে জেলা স্বাস্থ নাধিকারিক নীরব দর্শকের ভূমিকায়। কাঞ্চনপুর মহকুমা হাসপাতাল সূত্রে জান কাছে, এই অবস্থা আরও কিছুদিন বজায় থাকলে কাঞ্চনপুর মহকুমা হাসপাতালে কিৎসা পরিষেবা তলানিতে এসে পড়বে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসক এবং ভালে পরিষেবা, ওষুধপত্রের জন্য এলাকার মানুষ দাবি জানালেও স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ নীর শকের ভূমিকায় আছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে এলাকার মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর দূষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.