কাশ্মীর নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে তো বটেই , উপত্যকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে একপ্রকার জেরবারই মোদি সরকার । একের পর এক কাশ্মীরি পণ্ডিত , ভিন্ রাজ্য থেকে কাশ্মীরে কাজ করতে আসা বহিরাগত হিন্দু সম্প্রদায়কে টার্গেট করে হত্যা করছে সন্ত্রাসবাদীরা । গত কয়েকদিনের মধ্যেই কখনও সরকারী কর্মী রাহুল – ভাট , টিভি সঞ্চালিকা আমরিনা ভাট ,স্কুল শিক্ষক রজনী বালা এবং বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্ক ম্যানেজার বিজয় কুমারকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলী করে হত্যা করেছে জঙ্গিরা । গত বছরের অক্টোবর মাস থেকে বিশেষ করে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের বেছে বেছে হত্যা করা একটি প্রবণতায় পরিণত করেছে জঙ্গিরা ।যা নিয়ে তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়েছে । কাশ্মীরি পণ্ডিতরা কাশ্মীর থেকে দিল্লী সর্বত্র এই আক্রমণ আর খুনের উৎসবের বিরুদ্ধে এবং নিরাপত্তার দাবিতে রাস্তায় নেমে আন্দোলন ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন । এমনকী তুমুল ক্ষোভও প্রকাশ করা হচ্ছে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে আশঙ্কা করে সোমবার থেকেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক দফায় দফায় বৈঠক করছে । এই হত্যালীলা যে নিছক সেনা ও আধা সেনা নামিয়ে দমনপীড়নের কঠোরতায় প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না সেটা স্পষ্ট । কারণ সম্পূর্ণ প্রত্যন্ত কোনও এলাকায় কোনও একটি সরকারী দপ্তর অথবা ব্যাঙ্ক কিংবা স্কুলে একজন অথবা দু’জন জঙ্গি আচমকা হাজির হয়ে কাউকে টার্গেট করে হত্যা করে পালাচ্ছে । সুতরাং সংঘবদ্ধ কোনও গণহত্যা অথবা আগের মতো বিস্ফোরণ ঘটছে না । এক্ষেত্রে গোটা কাশ্মীরকেই সেনা ও আধাসেনায় মুড়ে দেওয়া হলেও এরকম বিক্ষিপ্তভাবে আক্রমণ চলতেই থাকবে সেটা স্পষ্ট । তাহলে কী করা উচিত ? এই সমাধানের সন্ধানে মরিয়া কেন্দ্র ।
কারণ এদিকে , যেমন সরকারের মুখরক্ষা হচ্ছে না । বরং যথেষ্ট বিব্রত হতে হচ্ছে । লাগাতর বিরোধীরা অভিযোগ ও আক্রমণ করছে যে , নব্বইয়ের দশক থেকে বিজেপি বিরোধী রাজনীতির দলকে আক্রমণ করে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপর হামলা ও কাশ্মীরি পণ্ডিতদের নির্বাসনে পাঠানোর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে । সুতরাং কাশ্মীরি পণ্ডিতরা নিশ্চিত হয়েছিলেন যে , একবার ক্ষমতাসীন হলে বিজেপি সরকার তাদের আবার সুরক্ষা তো দেবেই নির্বাসিত জীবন ছেড়ে ঘরে ফেরার সুযোগ করে দেবে । সেই প্রয়াস শুরুও করেছিল মোদি সরকার । শুধুই কাশ্মীরি পণ্ডিত নয় । অন্য রাজ্য থেকেই নানাবিধ সরকারী চাকরিতে সাধারণ সরকারী কর্মীদের নিয়ে আসা হয়েছে কাশ্মীরে । কাশ্মীরের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক পরিকাঠামো প্রকল্পে কাজ করতে ভিন্ রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিক ও কর্মীরা হাজির হয়েছে । কিন্তু সন্ত্রাসবাদীরা এদেরই টার্গেট করছে । আর একের পর এক হত্যাকাণ্ড ঘটছে । কংগ্রেস আজও জবাবদিহি চেয়েছে মোদি সরকারের কাছে । কংগ্রেস মুখপাত্র বিবেক তাঙ্কা বলেছেন , কাশ্মীরি পণ্ডিতরা এখন কাশ্মীর ছেড়ে পালাচ্ছেন কেন ? এখন তো সরকারে মোদি সরকার ! কেন মোদি সরকার কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদের নির্মূল করতে পারছে না ?গতকাল বিজেপির রাজ্যসভার এমপি সুব্রহ্মনিয়াম স্বামী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগ পর্যন্ত দাবি করেছেন । আজও অমিত শাহ সেনাপ্রধান ও জাতীয় নিরাপত্ত উপদেষ্টার সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন । সেখানে কাশ্মীরে উপরাজ্যপালও হাজির ছিলেন । সোজা কথায় কাশ্মীরি নিয়ে এখন চরম এক উদ্বেগ তৈরি হয়েছে মোদি সরকারের অন্দরে ।
অনলাইন প্রতিনিধি :-স্বাস্থ্য পরিষেবার সুযোগ নিতে গিয়ে এমপ্লয়িজ স্টেট ইনশিয়োরেন্স কর্পোরেশন (ইএসআইসি) ভুক্ত সাধারণ কর্মচারী…
২০১৯ সালে করোনা মহামারির পাঁচ বছর পর ফের শিরোনামে চিন।এবার এইচএমপিভি (HMPV) নামক নয়া ভাইরাসের…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যসরকারের বিদ্যাজ্যোতি স্কুলের পড়াশোনাও লাটে উঠেছে। বিদ্যাজ্যোতি স্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়ন করছে না শিক্ষা…
অনলাইন প্রতিনিধি :-তিব্বতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে কমপক্ষে ৫৩ জনের মৃত্যু। তাছাড়াও ৬০ জন আহত হয়েছেন। তবে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-কেন্দ্রীয়সরকারের সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রক ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন মহকুমার জাতীয় সড়ক নির্মাণের জন্য…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ফ্লোরেন্সনাইটিঙ্গেলের কথা স্মরণ করে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই পৃথিবীতে এমন কিছু মানুষ জন্মগ্রহণ…