মণিপুরে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হামলা, বন্ধ ইন্টারনেট,, কার্ফু জারি!!
কুকুরের মাংস বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি ঘিরে উত্তপ্ত মিজোরাম।
অনলাইন প্রতিনিধি || কুকুরের মাংস বিক্রির উপর সরকারী নিষেধাজ্ঞা জারি করার পরিকল্পনা করতেই প্রতিবেশী রাজ্য মিজোরাম উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। মিজোরামের অধিকাংশ বাসিন্দারা রাজ্য সরকারের কুকুরের মাংস বিক্রি বন্ধ করার পরিকল্পনা নেওয়ায় প্রচণ্ড ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এবং কুকুরের মাংস বিক্রিতে সরকারী ভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলে মিজোরাম জুড়ে তীব্র আন্দোলনেরও হুমকি দিয়েছে। অন্যদিকে, মিজোরাম সরকারের পক্ষ থেকে এতদিন স্পষ্ট কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়ার জন্য বিভিন্ন মহল থেকে কুকুরের মাংস বিক্রি ইস্যুতে সমালোচনার সম্মুখীন হচ্ছে।পশুদের প্রতি নিষ্ঠুরতা প্রতিরোধ (কুকুর প্রজনন ও বিপণন) বিধিমালা ২০১৭ আরও জোরদার এবং বিষয়টি নেটিজেনদের দ্বারা উত্তপ্তভাবে বিতর্কিত হচ্ছে মিজোরাম সরকার।সাম্প্রতিক মিজোরাম রাজ্য প্রাণী কল্যাণ বোর্ড (এমএসএডব্লিওবি)এবং রাজ্যের পশুপালন ও পশু চিকিৎসা মন্ত্রী লালরিনাউমার নেতৃত্বে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে মিজোরাম প্রিভেনশন অফ ক্রুয়েলটি টু অ্যানিম্যালস (কুকুরের প্রজনন ও বিপণন) বিধিমালা ২০১৭ আরও কঠোর ভাবে প্রয়োগ করা হবে।এই বিধিমালা প্রয়োগ করা হলে গোটা মিজোরামে কুকুরের মাংস বিক্রি সরকারী ভাবে নিষিদ্ধ হবে।উল্লেখ্য,মিজোরামে কুকুরের মাংস দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যের বসবাসকারী অধিকাংশ মানুষের প্রিয় খাবার হিসাবে পরিচিত এবং মিজোরা ব্যাপকভাবে কুকুরের মাংস সেবন করে আসছে। কিন্তু বিধি প্রণয়ন হলে মিজোরামে কুকুর হত্যা এবং কুকুরের মাংস বিক্রি ও খাওয়া নিষিদ্ধ করা হবে সরকারী ভাবে। আর এই ইস্যুটিই বর্তমানে মিজোরামে প্রধান ইস্যু এবং সর্বত্র এটা নিয়ে চর্চা চলছে। আইজল উইসা জুর সমিতি নামে মিজোরামের একটি মাংস বিক্রেতা সংগঠন কুকুরের মাংস বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা হলে তারা এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করবে বলে জানিয়েছে। উইসা জুর সমিতির সম্পাদক এস সাইলো সোমবার জানায়, একজন ব্যক্তির খাবারের পছন্দকে হ্রাস করা যেমন উচিত নয় এবং তেমনি রাজ্য সরকারের তথাকথিত কুকুর প্রেমীদের চাপের কাছে নতি স্বীকার করাও উচিত নয়। উল্লেখ্য, সম্প্রতি গুয়াহাটি হাইকোর্টের কোহিমা বেঞ্চ নাগাল্যান্ডে কুকুরের মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ করার জন্য ২০২০ সালের সরকারী বিজ্ঞপ্তিটি বাতিল করেছে। ২০২০ সালের ৪ জুলাই নাগাল্যান্ডের মুখ্য সচিবের কার্যালয় থেকে একটি আদেশ জারি করে বাণিজ্যিক আমদানি এবং কুকুরের মাংস বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো।কিন্তু গুয়াহাটি হাইকোর্টের কোহিমা বেঞ্চ মুখ্যসচিবের ওই আদেশটি বাতিল করে। যদিও নাগাল্যান্ডে এখনও কুকুরের মাংস প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে না। কিন্তু মিজোরাম সরকার কুকুরের মাংস বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞ জারি করার পরিকল্পনা নেওয়ার পর মিজোরামের অধিকাংশ মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। উল্লেখ্য, কুকুরের মাংসের ব্যবহার উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির কিছু অংশে মাত্র সীমাবদ্ধ আছে। জানা গেছে, ত্রিপুরা থেকে প্রতি বছর দশ- এগারো হাজার কুকুর অবৈধভাবে মিজোরাম এবং নাগাল্যান্ডে পাচার করছে কুকুর পাচারকারীরা।