Categories: বিদেশ

কুমিরের চোখ কামড়ে বেঁচে ফিরলেন কৃষক।।

এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

ধন্যি যুবক বললেও যেন কম বলা হবে।কথায় বলে,ডাঙায় বাঘ জলে কুমির।দুটি-ই সাক্ষাৎ যম! সেই কুমিরের চোখ কামড়ে দিয়েও বেঁচে ফিরে এলেন অস্ট্রেলিয়ার এক কৃষক। কিছুদিন আগে নিজের খামারের সামনের জলাশয়ে ওই কৃষক দেখেন, কয়েক গজ দূরে মূর্তিমান বিভীষিতার মতো নিশ্চল হয়ে পড়ে আছে একটি প্রমাণাকৃতির কুমির।কিছু বুঝে ওঠার আগেই, চকিতে কুমিরটি তাকে আক্রমণ করে। কিন্তু ঘাবড়ে না গিয়ে কুমিরের সঙ্গে লড়াই শুরু করেন তিনি।শক্তিতে পেরে না উঠতে পারলেও বুদ্ধির জোরে ঠিকই কুমিরটিকে মল্লযুদ্ধে পরাস্ত করে ফেলেন।কৌশলে কুমিরের চোখে তিনি মোক্ষম কামড় বসিয়ে দেন।অবশ্য কুমিরের আক্রমণে তিনিও ক্ষতবিক্ষত হয়েছিলেন। দিন পনেরো হাসপাতালে কাটিয়ে এখন সুস্থ হয়ে ওই কৃষক বাসায় ফিরেছেন।ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই খবর ছেপেছে।ধন্যি ওই কৃষকের নাম কলিন ডেভেরক্স।তিনি কুমিরের আক্রমণের শিকার হওয়ার পরও বেঁচে থাকতে পেরে নিজেকে খুবই সৌভাগ্যবান মনে করছেন। গবাদিপশুর খামারি কলিন গত মাসে অস্ট্রেলিয়ার নর্দার্ন টেরিটরিতে লোনা জলের মধ্যে ৩.২ মিটার (১০ ফুট) লম্বা একটি কুমিরের আক্রমণের শিকার হন। কুমিরের মুখে পড়ার গল্প শোনাতে গিয়ে তিনি বিবিসিকে জানান,তিনি যখন ফিনিস নদীর কাছে বেড়া নির্মাণের জন্য বিলাবং (হ্রদ)-এর তীর ঘেঁষে যাচ্ছিলেন, তখন জলে মাছের সাঁতার কাটা দেখে দাঁড়িয়ে যান। তিনি ঘুর্ণাক্ষরেও টের পাননি যে সেখানে একটি কুমির ওঁৎ পেতে বসে আসে। কলিন সামনের দিকে পা বাড়াতেই কুমিরটি তার ডান পা কামড়ে ধরে। তারপর তাকে টেনেহিঁচড়ে জলে নিয়ে যেতে থাকে। বিচলিত না হয়ে প্রাণে বাঁচার জন্য কলিন বাঁ পা দিয়ে প্রথমে কুমিরটির পাঁজরে লাথি মারার চেষ্টা করেন। কিন্তু এতে ব্যর্থ হওয়ার পর তিনি কুমিরটির চোখের পাতায় বার কয়েক মোক্ষম কামড় বসিয়ে দেন।চোখে কামড় খেয়েই কুমির কিছুটা নেতিয়ে পড়ে এবং তাকে ছেড়ে দেয়।তিনি লাফ দিয়ে, প্রাণ হাতে ডাঙায় উঠে আসেন। ডাঙায় উঠে তিনি গাড়ির দিকে ছুটতে থাকেন। পিছনে কুমিরটি প্রায় চার মিটার পর্যন্ত কলিনকে তাড়া করেছিল।পরে রণে ভঙ্গ দিয়ে সে নিজেই জলের দিকে চলে যায়।কুমিরের কামড়ে কলিনের পা থেকে প্রচুর রক্তপাত হচ্ছিল।সেটি বন্ধ করতে কিছু দড়ি দিয়ে ক্ষতস্থানে তোয়ালে বেঁধে ফেলেন তিনি।তারপর বাড়িতে পৌঁছালে তার ভাই তাকে রয়্যাল ডারউইন হাসপাতালে নিয়ে যান।কলিন বলেন, ‘যদি কুমিরটি আমার শরীরের অন্য কোথাও কামড় দিত তাহলে হয়তো পরিস্থিতি অন্য রকম হতো। আমি জলাভূমির এই অঞ্চলে চার পাশে দীর্ঘকাল ধরে বেড়া বানিয়ে জীবনযাপন করছি।কিন্তু এই ঘটনা আমার চোখ খুলে দিয়েছে।”স্থানীয় সরকারের মতে, নর্দার্ন টেরিটরিতে কুমির একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্পের ভিত্তি।কুমির সংরক্ষণের জন্য সেখানে আইন রয়েছে।এসব কুমির বৈজ্ঞানিক ও মানবিক আগ্রহের পাশাপাশি মূল্যবান পর্যটন আকর্ষণ হিসাবে বিবেচিত হয়।

Dainik Digital

Share
Published by
Dainik Digital

Recent Posts

নিগো – অন্ধ প্রশাসন!!

নিগো বাণিজ্যের রমরমা চালানোর জন্যই কি ১৮ সালে রাজ্যের মানুষ বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছিলো?রাজ্যের আকাশ…

19 hours ago

বিমানযাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যু নিয়ে পুলিশের তদন্ত শুরু!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-এয়ারইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের কর্মীর চরম গাফিলতি ও উদাসীনতার কারণে রীতা বণিক (৫৯) বিমান যাত্রীর…

19 hours ago

হরিয়ানাঃ পাল্লা কার পক্ষে?

হরিয়ানা কি বিজেপির হাত থেকে ফসকে যাচ্ছে?শাসক বিজেপির হাবভাব দেখে তেমনটাই অনুমান করছে রাজনৈতিক মহল।প্রধানমন্ত্রী…

2 days ago

রাজধানীতে চাঁদার জুলুমে অতিষ্ঠ মানুষ!!

অনলাইন প্রতিনিধি:-মুখ্যমন্ত্রীডা. মানিক সাহার নির্বাচনি এলাকার আপনজন ক্লাবের চাঁদার নামে বড় অঙ্কের তোলাবাজির অভিযোগের রেশ…

3 days ago

ইন্ডিয়ান বুকে রাজ্যের মেয়ে ঝুমা!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-ইচ্ছে ছিলো অনেক আগে থেকেই। অবশেষে নিজের ইচ্ছেকেই বাস্তবে পরিনত করলো ঝুমা দেবনাথ।…

3 days ago

সুশাসনে আইনশৃঙ্খলা!

রাজ্যে কি সত্যিই আইনের শাসন রয়েছে?সাধারণ মানুষ কিন্তু প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে।সরকার বলছে রাজ্যে সুশাসন…

3 days ago